a
সংগৃহীত ছবি
কোপা আমেরিকার চলতি আসরে মেসি জাদুতে ইকুয়েডরকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডর। বাংলাদেশ সময় রবিবার (৪ জুলাই) সকাল ৭টায় এই ম্যাচ শুরু হয়। ম্যাচে ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে টুর্নামেন্টের ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিরার হয়ে গোল তিনটি করেন রড্রিগো ডি পল, লৌতারো মার্টিনেজ ও লিওনেল মেসি।
ম্যাচের শুরু থেকেই ইকুয়েডরকে বেশ চাপে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। একের পর এক সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছিল। কিন্তু গোল হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত মেসির পাসেই ডি পল ওই অবস্থার অবসান ঘটান। এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৩৯তম মিনিটে গোলটি হয়। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এবার লৌতারো মার্টিনেজ দিয়ে গোল করান মেসি।
সর্বশেষ, অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের ৯৩ মিনিটে আর্জেন্টিনার পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন লিওনেল মেসি নিজেই। সেই সাথে ৩-০ ব্যবধানে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
ফাইল ছবি
আজ সোমবার ২০২০ ইউরো কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে। ২৪ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি স্পেন অধিনায়ক সার্জিও রামোসের। তাছাড়া ঘোষিত দলে নেই কোন রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়।
করোনা কারনে যদিও ইউরোর জন্য সব দলকেই ২৬ জন করে ফুটবলার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে এনরিকে আপাতত ২৪ জনের দলই ঘোষণা করেছেন।
দলে সুযোগ পেয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ৪ জন, বার্সেলোনা থেকে ৩ জন, ভিলারিয়াল / অ্যাটলেটিকো থেকে ২ জন করে, ব্রাইটন / চেলসি / লিডস/লিভারপুল / ম্যান ইউনাইটেড / উলভস / পিএসজি / আরবি লেইপজিগ / জুভেন্টাস / নাপোলি / অ্যাথলেটিক / রিয়েল সোসিয়েদাদ / ভ্যালেন্সিয়া থেকে সুযোগ হয়েছে করে নিয়েছে একজন করে খেলোয়াড়, এখনো স্পেনের হয়ে না খেলে প্রথমবার যায়গা পেয়েছে ২ জন।
পুরো মৌসুমে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলা ২০ বছর বয়সী ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সেন্টার ব্যাক এরিক গার্সিয়া, গোটা মৌসুম ধরে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁকেও দলে রেখেছেন এনরিকে। আবার গার্সিয়ার সতীর্থ ম্যান সিটিরই আইমেরিক লাপোর্তে চোট সমস্যায় ভুগছেন তাও দলে যায়গা পেয়েছেন। তবুও তিনি দলে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু জায়গা হয়নি রামোসের।
এনরিকে বলেছেন, ‘রামোসকে নিয়ে আমি যেই সিদ্ধান্ত নিতাম, তাতেই বিতর্ক হত। আমি জানি, আমি কী করেছি। আর সংবাদমাধ্যমের বিরোধীতার মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত।
২০২০ ইউরোর জন্য স্পেনের ২৪ সদস্যের স্কোয়াড :
গোলরক্ষক: উনাই সাইমন, দাভিদ দি গিয়া, রবার্ত সানচেজ।
ডিফেন্ডার: হোসে গায়া, জর্দি আলবা, পাউ তরেস, আইমেরিক লাপোর্তে, এরিক গার্সিয়া, দিয়েগো লোরেন্তে, সিজার আজপিলিকুয়েতা, মার্কোস লোরেন্তে।
মিডফিল্ডার: সার্জিও বুসকেটস, রদ্রি, পেদ্রি, থিয়াগো, কোকে, ফ্যাবিয়ান রুইজ।
ফরোয়ার্ড: দানি ওলমো, মিকেল ওয়ারজাবল, আলভারো মোরাতা, জেরার্দ মোরেনো, ফেরান তরেস, অ্যাদামা ত্রাউরে, পাবলো সারাবিয়া।
সংগৃহীত ছবি
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) কোষাধ্যক্ষ পদে অবসরপ্রাপ্ত (পি আর এল) একজন অতিরিক্ত সচিবকে নিয়োগ দেওয়ায় এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শুক্রবার (৭মে) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে এ নিন্দা জানানো হয়।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃষ্টির স্থান। একজন কোষাধ্যক্ষ ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে সমন্বয়পূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সহ জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃষ্টির নানাবিধ কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করেন। কাজেই একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদই এই পদের যোগ্য। এই পদে একজন সরকারি কর্মকর্তার নিয়োগদান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর আমলাতন্ত্রের নগ্ন হস্তক্ষেপ।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পিআরএল ভোগরত) মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর চাকুরীজীবন শেষ করেছেন। এই নিয়োগাদেশ শিক্ষকসমাজে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এছাড়াও এ প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে অবিলম্বে এই নিয়োগাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি।
উল্লেখ্য, গত ৫মে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৭ এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী জনাব মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে (অতিরিক্ত সচিব, পি আর এল ভোগরত) বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়।