a
ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে সার্বিয়ার বিপক্ষে রিচার্লিসনের জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে সূচনা জয় পায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
এদিন খেলার ১৩ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় ব্রাজিল। নেইমার সরাসরি গোলপোস্টে শট করেছিলেন। সার্বিয়ার গোলরক্ষক ভানজা মিলিঙ্কোভিচ-স্যাভিচ দারুণভাবে বলটা প্রতিহত করেন।
২১ মিনিটে আবারও নেইমার প্রথম গোলমুখে শট করেন। সেই শটটিও রুখে দেন ভানজার। আবার ২৮ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল।
৩৫ মিনিটে রাফিনিয়া বক্সের একটু ভেতরে সুযোগ পেয়েও জোড়ালো শট নিতে না পারায় প্রথমার্ধে গোল শূন্যভাবে খেলা শেষ হয়।
বিরতির পর ৬২ মিনিটে নেইমারের হারানো বলটা বক্সের ভেতর পান ভিনিসিয়াস। তার শটটা ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক মিলিঙ্কোভিচ-স্যাভিচ, তবে রিচার্লিসনের ফিরতি শটটা আর ফেরাতে পারেননি। তার গোলে ব্রাজিল শিবিরে প্রথম গোল এনে দেয়।
এরপর ৭৩ মিনিটে আবারও দ্বিতীয় গোলটি করেন রিচার্লিসন। বাম প্রান্ত থেকে ভিনিসিয়াস বলটা বাড়ান তাকে। হেভি টাচে বলটা আয়ত্বে নিয়ে পরিপূর্ণ গোল করেন রিচার্লিসন।
দ্বিতীয় গোলের পর ব্রাজিল শিবিরে জয়ের সুবাস বয়ে যায়। এরপর আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পর্বে রীতিমতো উড়ছে ব্রাজিল। শতভাগ জয় ধরে রেখে সেপ্টেম্বরের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শেষ করলো সেলেসাওরা। নেইমার জাদুতে ঘরের মাঠে পেরুকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা অষ্টম জয় পেলো ব্রাজিল। অর্থাৎ, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আট ম্যাচের আটটিতেই জিতলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। অ্যারেনা পেরনামবুকোয় এই জয়ের নায়ক নেইমার।
নিজে একবার লক্ষ্যভেদ করার আগে দলের প্রথম গোলটিতেও রেখেছেন অবদান। তার অ্যাসিস্ট থেকেই ব্রাজিলকে লিড এনে দিয়েছিলেন এভারতন রিবেইরো। ফলে শতভাগ জয় ধরে রেখে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিলে যথারীতি শীর্ষে ব্রাজিল। পূর্ণ ২৪ পয়েন্ট তাদের। সমান ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আর্জেন্টিনা।
সেপ্টেম্বরের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ব্রাজিল পায়নি প্রিমিয়ার লিগে খেলা ৯ খেলোয়াড়কে। করোনাভাইরাস ও কোয়ারেন্টিন জটিলতায় খেলোয়াড় ছাড়েনি ইংল্যান্ডের ছয় ক্লাব। এত খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়া ব্রাজিলের একাদশ গড়া নিয়েই দুশ্চিন্তার মেঘ জন্মেছিল।
তবে কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি সেলেসাওদের সামনে। থিয়গো সিলভা-গাব্রিয়েল জেসুস-আলিসনদের ছাড়াই জয়ের ধারা সচল রেখেছে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ পেরুকে বেশিরভাগ সময় আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। সুযোগ পেয়ে মাঝেমধ্যে ব্রাজিলের রক্ষণে হানা দিলেও সুবিধা করতে পারেনি। বিপরীতে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্রাজিলের প্রথম সুযোগটা আসে দশম মিনিটে। কিন্তু গেরসনের নেওয়া শট পেরু গোলকিপারের হাতে লেগে প্রতিহত হয়। তবে বেশিক্ষণ বাধায় দেয়াল টিকেনি সফরকারীদের। ১৪ মিনিটে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন রিভেইরো। নেইমারের কাট ব্যাক থেকে এই উইঙ্গারের গোলমুখে নেওয়া শট পেরু গোলকিপারের হাতে লাগলেও শেষরক্ষা হয়নি। বল ঠিকই জড়িয়ে যায় জালে।
এগিয়ে যাওয়া ব্রাজিলের আক্রমণ চলতেই থাকে। তবে কখনও নেইমার, কখনও গাব্রিয়েল বারবোসা, কখনও লুকাস পাকিতা নষ্ট করেছেন সুযোগ। এরপর ৪০ মিনিটে গিয়ে গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন নেইমার। রিবেইরোর দূর থেকে নেওয়া শট পেরুর এক খেলোয়াড় গোলের সামনে থেকে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল পায়ে ঠিকমতো না লেগে চলে আসে গোলের ঠিক সামনে ফাঁকায় থাকা নেইমারের কাছে। সহজ সুযোগটা কি আর মিস হয় প্যারিস সেন্ত জার্মেই ফরোয়ার্ডের! ওই লক্ষ্যভেদে আবার একটা রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন নেইমার।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন সবচেয়ে বেশি গোল করা ব্রাজিলিয়ান তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তার গোল এখন ১২। এত গোল পেলে, রোনালদো, রোনালদিনহো, রিভালদো, জিকো- কেউই করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছে ব্রাজিল। বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগও তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু গোলের দেখা আর পায়নি। তাই ওই ২-০ গোলের স্কোরলাইন ধরে রেখে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
ফাইল ছবি
আমেরিকার পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম একটি বি-৫২ বোমারু বিমানকে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়ার তিনটি এসইউ-৩৫ জঙ্গিবিমান।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, মার্কিন বোমারু বিমানটি প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশ দিয়ে রাশিয়ার সীমান্ত ঘেঁষে যাচ্ছিল। খবর সিএনএন
রাশিয়ার রাডার ব্যবস্থায় মার্কিন বিমান ধরা পড়ে এবং তার পরই মার্কিন বিমানটিকে রুশ জঙ্গিবিমানগুলো বাধা দেয়।
এ সময় রুশ জঙ্গিবিমানগুলো মার্কিন বোমারু বিমানকে এস্কর্ট করে নিয়ে যায়। পরে রাশিয়ার এসব বিমান নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
রুশ মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, তাদের দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
রাশিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমেরিকার সম্পর্ক ক্রমেই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন বিমান রুশ সীমান্তে প্রায়ই চক্কর দিয়ে থাকে।