a
ফাইল ছবি
ফুটবল বিশ্বকাপের দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে চমকে দিয়েছে সৌদি আরব। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) কাতারে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের জয় বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনারও জন্ম দিয়েছে।
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে সৌদি আরবের জয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উল্লাসের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি গ্যাজেট। এতে দেখা যায়, বিলাসবহুল এক কক্ষে বিশাল টেলিভিশনের সামনে কয়েকজনের সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ছেন বিন সালমান।
এসময় হাসি মুখে অন্যদের জড়িয়ে ধরে জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, আর্জেন্টিনা-সৌদি ম্যাচের শেষ মিনিটের বাঁশি বাজার পর মাটিতে সিজদায় লুটিয়ে পড়েন যুবরাজ। এ সময় তার পাশে অন্য একজনকেও সিজদা দিতে দেখা যায়।
এ ছাড়া অন্য এক ছবিতে দেখা যায়, রেফারির বাঁশি বাজার পর এক ব্যক্তি সৌদি আরবের পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁকে জড়িয়ে ধরে হাসিমুখে ছবি তুলছেন সৌদি যুবরাজ।
টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে রীতিমতো উড়তে থাকা আর্জেন্টিনাধরাশায়ী হয় মঙ্গলবার সৌদি আরবের কাছে। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও আলবিসেলেস্তেদের হারায় ২-১ গোলে।
এই জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে বুধবার (২৩ নভেম্বর) সারাদেশে ছুটি ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি: ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি
প্রতিদ্বন্দ্বী দুইজনের চেয়ে পারফরম্যান্স খুব একটা বেশি ব্যবধান ছিলনা লিওনেল মেসির। তবে ভোটাভুটিতে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে। আর্লিং হালান্ড ও কিলিয়ান এমবাপেকে পেছনে ফেলে ২০২৩ সালের ফিফা বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের স্বীকৃতি ‘দা বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা।
লন্ডনে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে পুরস্কারটির বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে অষ্টমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
গত সেপ্টেম্বরে ফিফার বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রথমে ১২ জনের তালিকা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকা ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয় ফিফা ওয়েবসাইটে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের দেওয়া ভোটে।
ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পুরস্কারটি জিততে হালান্ডের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে মেসির। ভোটাভুটিতে দুইজনই সমান ৪৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়েছেন। কিন্তু (নিয়মের ধারা অনুযায়ী) জাতীয় দলের অধিনায়কদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যকবার প্রথমে থেকে এগিয়ে যান মেসি। এমবাপে ৩৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
বিভিন্ন নামে ১৯৯১ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থাটি। শুরু থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দা ইয়ার’ নামের পুরস্কারটি একবার জেতেন মেসি, ২০০৯ সালে। সেই থেকে শুরু সেরার মঞ্চে এই মহাতারকার আধিপত্যের।
পরের ৬ বছর ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ আর ফিফা মিলে দেয় ফিফা ব্যালন দ’র। এই পুরস্কারটি মেসি জেতেন ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে। এরপর বর্তমানের ‘দা বেস্ট’ নাম দেয় ফিফা, যেটি মেসি প্রথম জেতেন ২০১৯ সালে। এরপর টানা দুইবার পুরস্কারটি জিতলেন তিনি।
গতবার মেসির বর্ষসেরা হওয়ায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল কাতার বিশ্বকাপে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে দলকে বিশ্বকাপ জেতানোয় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।
তবে বিশ্বকাপ এবারের পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ের মধ্যে ছিল না। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই সময়ে পিএসজির লিগ আঁ শিরোপা জয়ে অবদান রাখেন মেসি। প্যারিসে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে লিগে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। ছিলেন লিগ আঁর মৌসুম সেরা দলে। গত মার্চে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
পিএসজি ছেড়ে গত জুলাইয়ে তিনি যোগ দেন মেজর সকার লিগের দল ইন্টার মায়ামিতে। সেখানেও গোলের পর গোল করে তিনি রাখেন ছাপ, বিবেচিত সময়ে দলটির হয়ে ৭ ম্যাচে করেন ১০ গোল। দলটির হয়ে লিগস কাপ জিতে ৪৪ ট্রফি নিয়ে ফুটবল ইতিহাসের সফলতম খেলোয়াড় হয়ে যান মেসি। এসবের স্বীকৃতি হিসেবে আরেকবার ফিফা বর্ষসেরা হলেন তিনি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
সম্পদের সঠিক ব্যবহারের জন্য প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের ধর্মে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, হারাম খেলে নামাজ হবে না। শুধু তাই নয়, হারাম টাকায় কেনা কোনো পোশাক যদি অন্য পোশাক স্পর্শ করে তবে নাপাক হয়ে যাবে।
প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়ান। সারা দিন কী কাজ করলেন, নিজেকে প্রশ্ন করুন। আমি যতদূর জানি, এলজিইডি প্রকল্পে আইন-কানুন মেনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। তারপরও আইনের মধ্যে থেকে অনেক কিছু করা হয়, আমি খবর রাখি। এখন আরও সঠিকভাবে খোঁজ-খবর রাখব, কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে রেহায় নেই। আপনারা প্রকৌশলী, আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম, আমিও হাফ প্রকৌশলী। সরকার আমাদের বেতন অনেক বাড়িয়েছে। তারপরও যদি কেউ চুরি করে, ধরা পড়লে সরাসরি অ্যাকশন নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নবিষয়ক মতবিনিময় সভায় শনিবার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ভবনে এই সভা হয়। সভায় এলজিইডি’র ৭৬ জন প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আপনাদের কারণে স্যারকে (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম) প্রধানমন্ত্রীর কাছে অপদস্ত হচ্ছেন। স্যারতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না। প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন আপনারা। এখন পর্যন্ত এলজিইডি একটা মাস্টারপ্ল্যান করতে পারল না। এলজিইডিকে অবশ্যই একটা মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। এলজিইডি’র কাজ নিয়ে অনেক আপত্তি আছে। কাজের মধ্যে অবশ্যই স্বচ্ছতা আনতে হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিইডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন