a
সংগৃহীত ছবি
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২১২ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১১,৩২৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৫৪৩ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬০৩৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন।
উল্লেখ্য, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১২ জনের মৃত্যু হওয়ায় এখন পর্যন্ত একদিনের এটি সর্বোচ্চ মৃত্যু।
ফাইল ছবি
খুলনায় আবু নাসের হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছে চিকিৎসকরা।
আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
কর্মবিরতি চলাকালে বুধবার সকাল থেকে খুলনার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ খুলনার আহবানে এই কর্মসূচি পালন করছে।
হামলার শিকার ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর শেখপাড়ায় অবস্থিত হক নার্সিং হোমে অপারেশন চলাকালে রোগীর স্বজনরা নিশাত আব্দুল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশে কর্মরত এএসআই নাঈম ও তার সঙ্গীরা প্রায় এক মাস আগে অপারেশন করা রোগীর শারীরিক জটিলতার কথা বলে তাকে লাঞ্ছিত ও অপারেশন থিয়েটার ভাংচুর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার খুলনায় বিএমএ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতীর ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।
তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত খুলনা জেলার সকল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকরা পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করবেন। শুধুমাত্র মানবিক কারণে জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে।’ সূত্র: বিডিপ্রতিদিন
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন চাঙ্গা করতে তৃণমূলে কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যন্ত এই আন্দোলন জোরদার করে আগামী মার্চ কিংবা এপ্রিলে ঢাকামুখী বড় ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দলটি। এর মাধ্যমে সরকারকে বড় ধরনের চাপে ফেলতে চায় দলটি।
দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, চলমান কর্মসূচি পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে নিতে পারলে এটিই হতে পারে বিএনপির চূড়ান্ত আন্দোলন।
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, তৃণমূলের এবারের কর্মসূচিতে দলের নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে গত বছর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ের বিক্ষোভ এবং পরে বিভাগীয় গণসমাবেশগুলো। ওই সময় জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল বলে মনে করেন তাঁরা।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেন, সরকারের মেয়াদ যত কমে আসছে, ততই আন্দোলনের গতি বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা কষছেন তাঁরা। কারণ সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনাও কমতে থাকবে। ফলে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দালন মাথায় রেখে পরিকল্পনা করছে দলটি।
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে তৃণমূলের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এবার ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আমরা পদযাত্রা শুরু করব। এরপর উপজেলা ও জেলা কর্মসূচি হবে। এরপর ঢাকামুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।’ সূত্র:কালের কন্ঠ