a
সংগৃহীত ছবি
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২১২ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১১,৩২৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৫৪৩ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬০৩৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন।
উল্লেখ্য, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১২ জনের মৃত্যু হওয়ায় এখন পর্যন্ত একদিনের এটি সর্বোচ্চ মৃত্যু।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৯৮ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৪ হাজার ৫৪৭ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৭,৫৩৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯৬ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১২,৯৫০ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৯১৬ জন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ হাজার ৮৮১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৭৮টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ।
আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অন্যতম দিক হলো তার প্রতিটি আদেশ-নির্দেশের ওপর বিশ্বাস করা যে, মহান আল্লাহ সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি মহাশক্তির অধিকারী। তাঁর ওপর কেউ বিজয়ী হতে পারে না। আকাশ ও পৃথিবীর সব কিছু তাঁর অধীন। তাই নিজের প্রয়োজন পূরণের জন্য, বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষের তাঁর কাছে যাওয়ার বিকল্প নেই। তিনি মহান আল্লাহ, পরম করুণাময়। তাঁর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা করলে তিনি খুশি হন।
যেকোনো বান্দা তাঁকে ডাকলে তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দেন। আর যারা তাঁর কাছে দোয়া করেন না, তিনি তাদের ওপর রাগান্বিত হন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের রব (আল্লাহ) বলেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ, তারা অবশ্যই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা : মুমিন, আয়াত : ৬০)
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো জিনিস নেই। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮২৯)
এ জন্য পবিত্র রমজান মাসে প্রতিটি মুমিনের উচিত মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে বর্তমানে যেহেতু গোটা বিশ্বকে বিপদাপদ ঘিরে রেখেছে, তাই এখন দোয়ার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। বিশেষ করে ইফতারের সময় অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত, কারণ মহান আল্লাহ ইফতারের সময় বান্দার দোয়া কবুল করেন।
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. রোজাদার যখন ইফতার করে, ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, ৩. মজলুমের দোয়া। মজলুম ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং এ জন্য আসমানের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব, যদিও তা কিছুকাল পরে হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৯৮)
এবং এই মাসের প্রতিটি রাতেও আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজ অনুগ্রহে অসংখ্য বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ...আর একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, হে কল্যাণের প্রত্যাশী, অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের প্রার্থী, থেমে যাও। আর আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৮৭৯৪)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রমজান এলেই আল্লাহর রাসুল (সা.) সাহাবাদের বলতেন, ‘তোমাদের কাছে এই মাস সমাগত হয়েছে, তাতে এমন একটি রাত রয়েছে, যা এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে প্রকৃতপক্ষে সব কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত। একমাত্র দুর্ভাগাই এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৪৪)
তাই রমজানের প্রতিটি রাতে বেশি বেশি দোয়া-ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করা যেতে পারে। এবং সব প্রয়োজন, সমস্যার কথাগুলো মহান আল্লাহর কাছে বলা যেতে পারে। তা ছাড়া রমজানের প্রতিটি মুহূর্তই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রমজানের পরিপূর্ণ বরকত অর্জনের জন্য সুযোগ পেলেই মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, দোয়া ইবাদতের মূল। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭১)
মহান আল্লাহ সবাইকে পবিত্র রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়ায় মশগুল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
---মাইমুনা আক্তার/সূত্র:বিডিপ্রতিদিন