a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪৮ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২২ হাজার ১৫০ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১২,৬০৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ২০৭ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৫৪৯৪ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
সংগৃহীত ছবি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী নিজ দেশে তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে তিনি করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন।
'কোভ-ইরান বারাকাত' নামে ওই ভ্যাকসিন ইরানের তরুণ গবেষক ও বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল। সকল প্রকার ট্রায়াল শেষে অতি সম্প্রতি এই ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমতি মিলেছে।
ভ্যাকসিন গ্রহণের পর সর্বোচ্চ নেতা বলেন, 'প্রথমত আমি বিদেশি কোনো ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক ছিলাম না'। এ কারণেই টিকা নিতে অনেক পীড়াপীড়ির পরও তিনি ইরানি ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করেছেন। তিনি নিজ দেশে ভ্যাকসিন তৈরি ইরানের জাতীয় গর্ব বলে উল্লেখ করেন। ইরানের এই গর্বকে যথাযোগ্য সম্মান জানানো সকল ইরানির উচিত বলে তিনি মনে করেন।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, দেশের ভেতরেই যখন রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে তখন আমরা কেন সেই সুযোগকে কাজে লাগাবো না? তবে প্রয়োজনে বিদেশি ভ্যাকসিন নেওয়ার মধ্যে দোষের কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা।
ইরানি ভ্যাকসিন কোভ-ইরান বারাকাত তৈরির ক্ষেত্রে যেসব তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষক নিজেদের শ্রম ও মেধা দিয়ে জাতিকে সম্মানিত করেছেন এবং যারা এই ভ্যাকসিন উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
কোভ-ইরান বারাকাত ভ্যাকসিন ব্যবহারের লাইসেন্স পাবার মধ্য দিয়ে ইরান করোনার টিকা প্রস্তুতকারী বিশ্বের ছয়টি দেশের মধ্যে নিজেদের স্থান সংযুক্ত করেছে। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি: বিএনপির ৩ অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কমীদের পদযাত্রা ও স্মারকলিপি পেশ
নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির ৩ অঙ্গ-সহযোগীদের পদযাত্রা শুরুর লক্ষ্যে নয়াপল্টনে জড়ো হয়ে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে যাত্রা শুরু করলেও রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনে পুলিশের বিশাল বেরিকেড দিয়ে বাধা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে। বিশাল বহরটি রামপুরায় বাধার সম্মুখীন হলেও পুলিশের সহায়তায় স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য ৬ জন প্রতিনিধিকে সেখানে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়।
প্রস্তাবে রাজি হয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিনিধিরা ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশে রওনা দেন।
ছয় প্রতিনিধি হলেন— যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।
আজ রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশের গুলশান জোনের ডিসি তারেক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ যে কোনো কর্মসূচিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কিছু নিয়ম মানতে হয়। আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে কথা বলেছি। কথা অনুযায়ী বিএনপির তিন সংগঠনের ৬ জন প্রতিনিধিকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ পদযাত্রা উপলক্ষে আজ সকাল থেকে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। সকাল ৯টার আগে থেকেই নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করেন তারা। এসময় ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সূত্র: যুগান্তর