a
সংগৃহীত ছবি
ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে। বিশেষজ্ঞ এই ডাক্তারের মতে, মাত্র দুটি উপায় অনুসরণ করলেই উধাও হবে মরণব্যাধি এই ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-
১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।
২. এরপর এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।
মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।
৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।
চিনি পরিহারের পর নিচের উল্লেখিত দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই। ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডা. গুপ্তপ্রসাদ গত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রচার করছেন।
উল্লেখ্য ফেব্রুয়ারী ২০২১ রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারে ভুগছে। এটি এমন একটি রোগ, যার কারণে প্রতিবছর প্রায় ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ মারা যাচ্ছে এবং এর মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগই অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মানুষ।
ফাইল ছবি: বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শরীরে খনিজের অসমতা দেখা দিয়েছে। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমেছে। হঠাৎ করে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটারের অবনতি হওয়ায় উদ্বিগ্ন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এসব তথ্য জানান মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পেটে পানি বেড়েছে। ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স দেখা দিয়েছে। এ কারণে ঘুম হচ্ছে না। কয়েকদিন ধরেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। বোর্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার লিভারের সমস্যা জটিল হচ্ছে। আসলে এর শতভাগ চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু একাধিক জটিলতা থাকায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ জন্য তাঁকে বারবার উন্নত সেন্টারে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রেশার, ডায়াবেটিসসহ স্বাস্থ্যের প্রায় সব প্যারামিটারই ওঠানামা করছে। অ্যাটিবায়োটিক দিয়ে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। গত দু’দিনে অনেক টেস্ট করা হয়েছে। বোর্ড কয়েকটির রেজাল্ট দেখে উদ্বিগ্ন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন। নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত মাসের ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
এর আগে, গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়লে এর একটিতে রিং পরানো হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত: বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া টানা প্রায় ৫ মাস হাসপাতালে ছিলেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
এদিকে বিকাল ৩টা থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতালের চারপাশে জড়ো হন বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ভীড় সামলাতে হাসপাতালের ভেতরে সাংবাদিকসহ কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এসময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগানে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ মুখরিত করেন তুলে।