a লেবুতেই মিলতে পারে ক্যান্সার মুক্তি
ঢাকা বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

লেবুতেই মিলতে পারে ক্যান্সার মুক্তি


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শনিবার, ০৮ মে, ২০২১, ১২:০৪
লেবুতেই মিলতে পারে ক্যান্সার মুক্তি

সংগৃহীত ছবি

 

ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে। বিশেষজ্ঞ এই ডাক্তারের মতে, মাত্র দুটি উপায় অনুসরণ করলেই উধাও হবে মরণব্যাধি এই ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-

১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।

২. এরপর এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।

মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।

৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।

চিনি পরিহারের পর নিচের উল্লেখিত দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই। ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডা. গুপ্তপ্রসাদ গত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রচার করছেন।

উল্লেখ্য ফেব্রুয়ারী ২০২১ রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারে ভুগছে। এটি এমন একটি রোগ, যার কারণে প্রতিবছর প্রায় ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ মারা যাচ্ছে এবং এর মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগই অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মানুষ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

‘এভাবে রোগী ভর্তি হলে ঢাকা শহরকে হাসপাতাল বানালেও জায়গা হবে না’


স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১, ১১:২১
‘এভাবে রোগী ভর্তি হলে ঢাকা শহরকে হাসপাতাল বানালেও জায়গা হবে না’

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘প্রতিদিন যদি ৫০০-১০০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে তাহলে গোটা ঢাকা শহরকে হাসপাতাল করে ফেললেও রোগী রাখার জায়গা দেওয়া যাবে না। এ জন্য যা করার এখনই করতে হবে।

বুধবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) কর্তৃক আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে যা করতে হবে তা হচ্ছে, যে যে স্থান থেকে করোনা সৃষ্টি হচ্ছে সে সব স্থানে এখনই জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর ১৮টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।’

করোনা মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি উদ্যোগে দ্রুততার সঙ্গে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় আড়াই হাজার বেড বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে আরও ৪০টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশন হাসপাতালটি করোনা ডেডিকেটেড করা হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালসহ দেশের বেশিরভাগ হাসপাতালে শত শত শয্যা কোভিড ডেডিকেটেড করা হচ্ছে।’  সূত্র:যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দারিদ্র্যের কষাঘাতে মৃত্যু যেন না হয়!


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৩
দারিদ্র্যের কষাঘাতে মৃত্যু যেন না হয়

ফাইল ছবি

কান্নাভেজা চোখে বসেছিল তখন সবাই। হ্যাঁ করোনা আছে। তাই বলে পেটের ক্ষুধা যে লক ডাউন মেনে চলতে পারেনা। রাজধানী ঢাকা শহরের কামরাঙ্গীর চর এলাকায় সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রম যারা করে তাদের মধ্যে রিকশাওয়ালাদের কথা না বললেই নয়। কেউ কেউ তো আবার সারাদিন রিক্সা চালানোর পরে রাতে যোগ দেয় ভিন্ন  কিছু শ্রমজীবীদের সাথে। গ্রামে বড় পরিবারের ঘানি টানতে টানতে হাড়-পাঁজর এক করা পরিশ্রম তাদের। 

সপ্তাহ জুড়ে লকডাউনে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন যেমন থেমে থাকেনি, প্রয়োজন অপ্রয়োজনে অনেকেরই বাইরে যাওয়া ও থেমে থাকেনি। কিন্তু আর যাই হোক তিন বেলা খাবারের নিশ্চয়তা তো ছিল। যখন পেটের দায়ে করোনা মহামারীর এত বাজে অবস্থা কে তুচ্ছ করেই ঘর থেকে বের হতে হলো অমান্য করতে হলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা, তখন তা অবশ্যই ছোট কোনো বিষয় নয়!

ঘরে স্ত্রী সন্তান যখন ক্ষুধায় কাতর তখন কাজ না করে কি করে বসে থাকা যায় ঘরে? এমন আরও অনেক অভিব্যক্তি নিয়েই রোজের টাকা আনতে বের হতে হয় ঘর থেকে। পুলিশি তৎপরতা এবং জরিমানার ভয় তো আছেই। কিন্তু পেট তো তা মানে না।

অন্তত তিন, চারটে ক্ষেপ চাই। একশ টাকা রিকাশার জমা, একশ টাকা থাকার খরচ আর একশ টাকা কিছু খাবারের জন্য হলেও।

পড়াশোনা না থাকায় বাচ্চা কাচ্চাদের মাস শেষে পাঁচশ টাকার চিন্তা টা না হয় নাই-বা করলাম। সামনে ঈদ বাড়িতে বাবা-মায়ের জন্য কিছুতো পাঠাতে হবে। গত বছরে না বাড়িতেই ছিলাম সবাই দেখেছে কাজ নাই, টাকা নাই, তবু  ঈদ চলে গেছে।কিন্তু এবার আশায় আছে সবাই।

একথা ভাবতেই কান্না করছিলেন তারা। অপেক্ষা ছিলো সার্জন যদি একটু মায়া করে রিকশাটা ছেড়ে দেয় অন্তত আজকের খাবারের  টাকাটা জোগাড় করার সুযোগ হতো।
জরিমানা দেওয়ার পয়সা তো নেই। সে কথা বলে লাভও নেই। লাঠির বারি চারটা দিলেও চলবে। কিন্তু খাবার ছাড়া যে ঘরে যাওয়া যাবে না।

চোখের সামনেই রিকশাটা উল্টো করে রেখে বসে আছেন তারা। হ্যাঁ সব রিকশাই যে ধরছে এমন না। যারা বসে আছে তারা কপাল চাপড়ে ভাবছে কি দেখে ঘর থেকে বের হয়েছি আজ।
অপেক্ষার প্রহর যেন দীর্ঘ হয়। বেলা ৯ টা থেকে আটকে আছে। সময় যেন পার হচ্ছে না কোনোভাবেই। সেহেরীতে পান্তা ভাতের আয়োজন হলেও চলবে। রোজার মাস সারাদিন না খেয়ে চালিয়ে দিলেও সন্ধ্যায় ইফতার আয়োজন করতে না পারলে বাচ্চা গুলোর চোখের দিকে তাকানো যায় না।

গত বছরের লুঙ্গিগুলো এ বছর পরা যাছে না। নতুন শাড়ী দিতে না পারলেও অন্তত একটা বোরখা কিনে যে দিতেই হবে। বাচ্চার জন্য একটা নতুন জামা আর নামাজ পড়ার জন্য একটু আয়োজন।

এরকম হাজারো স্বপ্ন আর ভাবনাগুলো যেন চোখের সামনে মাটি চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া উপায় নাই। তবে কি দরিদ্রের ঘরে জন্ম নেওয়া পাপের ফল এটা?

এ লক ডাউন যদি ঈদ অবধি চলে কেমন করে কি হবে? এসব ভাবনা বাদ দিয়েই বার বার সার্জন এর কাছে গিয়ে চলছে আকুতি মিনতি।

অবশেষে বেলা ১২ টার ঠিক কিছু আগে যখন ছাড়া হলো যেন কান্না চোখের একটুখানি স্বস্তি এলো। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে একটুখানি পেটের চাহিদা মেটাবার চেষ্টা করার জন্য আবার নামলো রাস্তায়।

ত্রাণের অপেক্ষায় যদিও মনে কিছুটা ভরসা আসে, তবে পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কাও জাগে মনে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য