a
ফাইল ছবি
অন্য সব বছরে অক্টোবর মাস আসলে ডেঙ্গুর দাপট কমে এলেও এ বছর উল্টো বাড়ছে। মশারিতে ঘেরা ডেঙ্গু রোগীতে ভরে উঠছে হাসপাতালগুলো। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার তিন দিন ধরে নিম্নমুখী রয়েছে।
গতকাল সারা দেশে ২৭৮ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে গত এক দিনেই ৬৭৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রাণ গেছে চারজনের। আর মোট ভর্তি ছিলেন ২ হাজার ৪৯৩ জন, যা হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীর প্রায় ৯ গুণ।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বাংলাদেশ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত সেপ্টেম্বরের পর ডেঙ্গু মশার উপদ্রব কমে আসে। এ জন্য আমরা আগস্ট-সেপ্টেম্বরে মশা নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানোর পরামর্শ দিয়ে থাকি। এবার দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় অক্টোবরেও ডেঙ্গুর দাপট বাড়ছে। এটা পুরো মাসই বাড়বে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হটস্পট ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। আমরা রাজধানীর হাসপাতালে আসা ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন হটস্পট চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে ১ নম্বরে আছে মিরপুর, ২ নম্বরে উত্তরা, ৩ নম্বরে মুগদা ও ৪ নম্বরে আছে ধানমন্ডি। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, বাড্ডা ও মোহাম্মদপুর এলাকায়ও ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। এসব স্থান থেকে সর্বাধিক রোগী হাসপাতালে আসছেন। হটস্পটগুলোতে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালিয়ে উড়ন্ত এডিস মশা মেরে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে জনগণকেও সচেতন ও ডেঙ্গুবিরোধী কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল। বছরের প্রথম দিনে ৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জানুয়ারিতে ভর্তি হন মোট ১২৬ জন। তবে ১২৫ জন সুস্থ হওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি ভর্তি ছিলেন ১ জন। এপ্রিল পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই তিন মাসে হাসপাতালে মোট ভর্তি হন ৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
মে মাস থেকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে। মে মাসে ১৭২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জুনে ৭৫০ জন, জুলাইয়ে ১ হাজার ৬৩৬ জন, আগস্টে ৩ হাজার ৬১০ জন, সেপ্টেম্বরে ১০ হাজার ৩৭০ জন ও অক্টোবরের প্রথম ১০ দিনেই ৫ হাজার ১৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চলতি বছর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ২১ জুন। গতকাল পর্যন্ত মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৭৪ জন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১১৪ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ হাজার ৫১৩ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৫,২৪৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৪ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮,৯০৭ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৩ জন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
গতকাল ২৭ এপ্রিল বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ-এর ভিআইপি হলে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ(বাসকপ) কর্তৃক আয়োজিত ঈদ পূনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাসকপের চেয়ারম্যান, সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.টি.এম মমতাজুল করিমের সভাপতিত্বে ৩২ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(অব.) মো. কফিল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসকপ-এর উপদেষ্টা এডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু।
প্রধান অতিথি জনাব কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের সাহসিক কাজের ভূয়সি প্রশংসা করেন এবং সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও দেশের যে কোন দূর্যোগ সময়গুলোতে জনগনের পাশে থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি এডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু অন্য এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার তাগিদে তাঁর স্বল্প ভাষণে বলেন, সাংবাদিক সমাজ একটি দেশের বিবেক! তাই তাদের যে কোন সংবাদ পরিবেশনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হয় বা বিশৃংখলা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
বক্তব্যের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রধান বক্তা বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুলের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য। তিনি বলেন, আজ আমরা চায়ের টেবিলে অতি অল্প সময়ে দেশ-বিদেশের সকল খবর এক মূহুর্তেই জানতে পারছি। এটা সম্ভব হচ্ছে দেশ-বিদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে সাংবাদিক ভায়েরা তাদের নিরলস কাজের মাধ্যমে। মোটকথা, তারা প্রতিটা সময়ে যুদ্ধের মাঝে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। কারণ দেশ-বিদেশে প্রতিটি জায়গায় বড় বড় রাঘব-বোয়ালদের চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে সাংবাদিকদের পেশা দারিত্বের কাজ করে যেতে হয়। তাদের এসব সাহসী কাজ করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক ভাই আক্রান্ত হয়ে আহত-নিহত হন। আমাদের বিশেষ করে বাসকপের সাংবাদিক ভাই-বোনদের পেশাদারিত্বের কাজ করতে গিয়ে কোথাও কোন বাঁধার সম্মুখীন হলে আমাদের সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, কিছু সাংবাদিকদের তাদের বিতর্কিত কাজের কারণে তাদের সাংবাদিক না বলে সাংঘাতিক বলা হয়। এটা যেন বাসকপ-এর কোন সদস্যদের মাঝে দেখা না যায়, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নজর রাখার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাসকপের চেয়ারম্যান এটিএম মমতাজুল করিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ঈদ পুনর্মিলনী শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি বাসকপের সকল সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বের সহিত ও আরও সতর্কতার সহিত কাজ করার আহ্বান জানান। সাংবাদিক সমাজের যে কিছু কিছু দূর্নাম রটেছে তা বাসকপের সদস্যদের কাজের মাধ্যমে অত্র সংগঠনের সুনাম সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বাসকপ-এর সদস্যদের সতর্ক বার্তাও জানান, কোন সদস্য অত্র সংগঠনবিরোধী বা দেশদ্রোহী কোন সংবাদ বা কাজে লিপ্ত হলে সংগঠন থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান।
বাসকপের মহাসচিব জনাব সালেহ আহম্মদ তার সূচনা বক্তব্যের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাংবাদিক ভাই-বোনেরা তাদের মূল্যবান মতামত প্রকাশ করেন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।