a
ফাইল ছবি
ঘণ্টায় ১৬ লাখ কিলোমিটার গতিবেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ভয়ংকর সৌরঝড়। সোমবার এই সৌরঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। আর সেই ঝড়ের কারণে সমস্যা তৈরি হতে পারে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থায়। বিপুল অংশে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বিদ্যুৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এর ফলে থমকে যেতে পারে প্রযুক্তির সাহায্যে চলা অনেক কিছুই। স্পেসওয়েদার ওয়েবসাইটের বরাতে এ খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস নাও নিউজ।
স্পেস ওয়েদার ডটকমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সূর্যের ভিতরে একটি ছিদ্র তৈরি হয়েছে। সেই ছিদ্র পথেই সৌরঝড় বেরিয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। পৃথিবীতে এই ঝড় এসে পড়লে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। রেডিও সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হতে পারে। পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে অনেকটাই। নাসা জানিয়েছে, এই সৌরঝড়ের গতি ১৬ লাখ কিলোমিটারের থেকেও বাড়তে পারে।
আরো বলা হয়েছে, এর ফলে সমস্যা হতে পারে জিপিএস সিগন্যালিং ব্যবস্থায়। বিচ্ছিন্ন হতে পারে মোবাইল ফোন, টিভি। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নেমে আসতে আরে আঁধার। যদিও বড় কিছু হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই, কারণ পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পৃথিবীকে রক্ষা করবে।
এর আগে ১৯৮৯ সালে সৌরঝড়ের কারণে পৃথিবীর একটি অংশ বিপদের মুখে পড়েছিল। কানাডায় সেই সময়ে সৌরঝড়ের কারণে প্রায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
ফাইল ছবি
তীব্র শীতের চন্দ্র রাতের পর দিন এলেও ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযানের অবতরণ বাহন (ল্যান্ডার) বিক্রম। ফলে সময় যতো গড়াচ্ছে ততোই কমে আসছে চন্দ্রযানটির সজাগ হওয়ার আশাও।
তবে এখনই হাল ছাড়তে নারাজ ইসরো। চন্দ্র দিবস শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান চাঁদের একদিন।
গত শুক্রবার ইসরো জানিয়েছে, তারা ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। তবে তারা কোনো সংকেত পাচ্ছে না।
আগস্ট মাসে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। দুই সপ্তাহ চাঁদের মাটিতে সচলভাবে কাটানোর পর চন্দ্ররাত নামলে বিক্রম ও রোভারকে স্লিপিং মুডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশা ছিল চন্দ্র দিবসে রোদ্রালোক পেলেই জেগে উঠবে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। তবে সেই আশায় আপাতত গুঁড়েবালি। ইসরোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযানের দুই অংশই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার অভিযোগ, জাপান সাগরে তাদের জলসীমা অতিক্রম করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। চীন ও রাশিয়ার যৌথ সেনা মহড়ার সময়ই এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাশিয়া দাবি করে, জলসীমা অতিক্রম করে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ভিতরে ঢুকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের বার বার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ফিরে যেতে। কিন্তু মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি এরপরও এলাকা ছাড়েনি। তখন রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ সেটির পিছু নেয়। শেষে মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি নিজের অভিমুখ বদলে রুশদের এলাকা ত্যাগ করে অন্যদিকে চলে যায়।
এদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর তরফে রাশিয়ার এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে আমেরিকার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা জাপান সাগরে রুটিন টহল দিচ্ছিল। সেই সময় চাফি নামের ওই যুদ্ধজাহাজটিকে দেখেই রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজটি সেদিকে এগিয়ে আসে।
এমনকি, সেটি মার্কিন জাহাজটির ৬৫ গজের মধ্যে চলে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি।
একথা জানিয়ে আমেরিকার তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জারি করা বিবৃতি ভিত্তিহীন। দুই যুদ্ধজাহাজের মধ্যে কোনও টক্কর হয়নি। আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই সর্বদা আকাশপথে, জলপথে সর্বত্র বিচরণ করে থাকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর আরও তিক্ত হয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার সম্পর্ক। আবারও তুঙ্গে উঠেছে দুই মহাশক্তির ঠান্ডা লড়াই। একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে দুটি দেশকে।
রাশিয়ার সাইবার হানার বিরুদ্ধে সর্বদায় সরব মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে নাক গলানো ও তার দেশে সাইবার হামলাসহ একাধিক শত্রুতাপূর্ণ কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। অপরদিকে পাল্টা অভিযোগ করতে দেখা দেখা গেছে রাশিয়াকেও। সূত্র- জাপান টাইমস।