a
ফাইল ছবি
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের বাঘরাম বিমান ঘাঁটি ছেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সব সেনা সদস্য। শুক্রবার এএফপিকে বিষয়টি জানায় যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
বাঘরাম ঘাঁটি এতদিন ধরে তালেবান এবং আল কায়েদার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বাঘরাম ঘাঁটি থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনা কখন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তা তিনি বলেননি।
বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহারের পর এ ঘাঁটি কখন আফগানিস্তানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে এ বিষয়েও কিছু বলেনি এই কর্মকর্তা। সূত্র: এনডিটিভি
ফাইল ছবি
করোনা ভাইরাস সংকটের মধ্যেই অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে গেল ইরাকের (iraq) ইবন আল-খাতিব হাসপাতালে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় রোগী এবং তাদের পরিজনরা।
জানা গিয়েছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত ৫০ জন এবং মারা গিয়েছেন ২৩ জন রোগী।শনিবার মধ্য রাতে ইরাকের ইবন আল-খাতিব হাসপাতালে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। দ্রুত আগুন লেগে যাওয়ায় তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে ভয়ে বেরিয়ে আসেন রোগী ও স্বজনরা। আগুন নিয়ন্ত্রণ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়ায় দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাগদাদের গভর্নর মুহাম্মেদ জাবের দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-তামিমিকে পদচ্যুত ও তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাধেমিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা সংকট দেখা দেওয়ায় আরও বিপাকে পড়েছে ইরাক সরকার। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনার সময় ১২০ জন রোগী ও তাদের পরিজনেরা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধারকারী দল ৯০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ফাইল ছবি
আজ বুধবার দুপুর নাগাদ ভারতের উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ইয়াস’ নামের প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি। এদিকে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও এরই মধ্যে ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ পৌঁছে গেছে ভারতের ওড়িশা উপকূলের আড়াই শ কিলোমিটারের মধ্যে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
এ বিষয়ে আবহাওয়ার এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সঙ্গে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এছাড়া পূর্ণিমার প্রভাবে উপকূলীয় জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ার প্লাবিত হতে পারে বলেও জানানো হয় বুলেটিনে।
এদিকে এরই মধ্যে ‘ইয়াস’র প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, বরগুনাসহ বিভিন্ন জেলার নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলোতে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। কোনো কোনো এলাকার বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকতে শুরু করেছে পানি। অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ উপচেও পানি ঢুকছে। বাঁধ না থাকা কিছু এলাকা এরই মধ্যে প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়া নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট পানি বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়সহ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
এ বিষয়ে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিন গুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা, সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করা হয়েছে। বুদ্ধপূণির্মা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি থাকলেও উপকূলীয় এলাকাসহ সারা দেশের ঘূর্ণিঝড়সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসি, সিপিপি অধিশাখা ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো খোলা থাকবে।