a
ফাইল ছবি । নতুন প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ
ইসরায়েলের ১১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ইহুদিদের সংগঠন জিউশ অ্যাজেন্সির চেয়ারম্যান আইজ্যাক হারজগ। ইসরায়েলের আইনসভা নেসেটে এক গোপন ভোটাভুটিতে আইজ্যাক ৮৭ ভোট পান এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী শিক্ষাবিদ মিরিয়াম পেরেজ পান ২৭ ভোট। পেরেজ জয়ী হতে পারলে তিনি হতেন ইসরায়েলের ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটের হিসাব অনুযায়ী আইজ্যাক হারজগ সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেলেন।
নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আইজ্যাকের বাবা চেইম হারজগ ছিলেন ইসরায়েলের ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। আইজ্যাক হারজগ ৯ জুলাই বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
ফাইল ছবি
ইরানের সাথে সরাসরি আলোচনা করতে চান বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান। তিনি চান ইরানি ও সৌদি কর্তৃপক্ষের পাস্পারিক বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার জন্য সকল আলোচনা সরাসরি অনুষ্ঠিত হোক। বুধবার মিডল ইস্ট আই এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে।
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে অনেক পুরোনো বৈরী সম্পর্কের কারণে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এমন তিক্ত সম্পর্ক থাকার কারণে দু’পক্ষই আলোচনার জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর বুধবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া (আগে রেকর্ডকৃত ভার্চুয়াল) ভাষণে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বলেন, ইরান আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র।
আমরা আশা করি, সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার এ প্রাথমিক আলোচনার ফলে আমাদের মধ্যে পাস্পারিক বিশ্বাস সৃষ্টি হবে। উভয় দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি হবে এ বিশ্বাসের মূল ভিত্তি।
সৌদি বাদশাহ আরো বলেন, ইরান যাতে পারমাণবিক শক্তি অর্জন করতে না পারে তার জন্য যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ছিল তাকে আমরা সমর্থন করি। যদিও ইরান সবসময় বলে থাকে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ তবুও আমরা দেখেছি তারা কিভাবে তাদের প্রতিজ্ঞার পরিপন্থী কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইরান ও সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের প্রধান আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। সিরিয়া ও ইয়েমেনে তারা অনেক দিন ধরে যুদ্ধে লিপ্ত আছে। এ যুদ্ধে উভয় দেশের মদদপুষ্ট যোদ্ধারা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছে। এ কারণে ২০১৬ সালে দু’দেশের মধ্যকার কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। অল্প কিছু দিন আগে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে দুটি দেশ ইরাকে বৈঠক করে। সূত্র : মিডল ইস্ট আই
ফাইল ছবি
আজ শনিবার বিকাল ৩টার দিকে যা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে পৌঁছায়। যশোর অঞ্চলে গত বুধবার থেকেই তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে থাকে। এর আগে এ জেলায় বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২, বৃহস্পতিবার ৪০ দশমিক ৪ এবং শুক্রবার ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আজ বিকালে তাপমাত্রা যখন ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়, তখন বাতাসে আর্দ্রতা ছিল মাত্র ১৮ থেকে ২০ শতাংশ। যে কারণে রোদে গেলে শরীর পুড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হতে থাকে।
গত তিন দিন ধরে চলা তীব্র এই তাপপ্রবাহের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দিনের বেলায় রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। জীবিকার তাগিদে দিনমজুর শ্রমিক, রিকশাভ্যান চালকেরা বাইরে বের হলেও রাস্তাঘাট জনশূন্য থাকায় তারা যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছেন না। সামান্য পরিশ্রমেই অত্যাধিক ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। সারাদিনই গাছের ছায়ায়, পার্কে শ্রমজীবী মানুষদের বিশ্রাম নিতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে তপ্ত বৈশাখের শুরু থেকেই যশোর শহরে খাবার পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। প্রায় শতভাগ টিউবয়েলে পানি উঠছে না। যাদের সাবমারসিবল পাম্প আছে, প্রতিবেশীরা তাদের কাছ থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন।
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে ৫ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রতিদিনই ২৫ থেকে ২৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি থাকছেন। এসব রোগীর বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক মানুষ। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন মাধ্যমে তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে পরামর্শমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।
এই সময়ে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি একেবারেই না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি প্রচুর পানি, ডাবের পানি ও দেশি ফলমূল খাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ক্ষেত-খামারসহ বাইরে যারা কাজ করেন, তাদের বেলা ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বাইরের কাজ না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন