a
ফাইল ছবি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১১ টা এবং মার্কিন সময় দুপুর ১২টায় যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সাধারণত মার্কিন কংগ্রেস ক্যাপিটল হিলের সামনে শপথ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তবে আজ ওয়াশিংটনে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে (মাইনাস ১৩ ডিগ্রি) ইনডোরে অনুষ্ঠিত হবে তার শপথ অনুষ্ঠান। শপথের পরই জাতির উদেশে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এ অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যান ঝেং, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ অনেত অতিথি।
ট্রাম্পকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি ট্রাম্পকে শপথ পড়াবেন। অনুষ্ঠানে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও শপথ গ্রহণ করবেন।
শনিবার ওয়াশিংটন যাওয়ার পথে এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প প্রথম দিনই রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করবেন বলে জানান। তিনি যেসব নির্বাহী আদেশে সই করবেন, তার অনেকগুলোই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের গৃহীত নীতি বাতিল করা হবে। ট্রাম্প তার নতুন মেয়াদের প্রথম দিন থেকে যেসব কর্মসূচি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার মধ্যে গণবিতাড়ন কর্মসূচি অন্যতম। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন পত্রের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে লেখা এক পত্রে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।
মমতা পত্রে উল্লেখ করেন, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ উন্নয়ন, শান্তি, ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা এবং শক্তিশালী করার পক্ষে রায় দেন।বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ভৌগোলিকভাবে বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব, একই সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। ভবিষ্যতে এ আবেগ ও অনুভূতির সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পশ্চিমবঙ্গকে অন্য উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মমতা বলেন, আপনাদের শুভ কামনা এ যাত্রায় সহায়ক হবে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। টানা তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফাইল ছবি
পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আবারও ধাক্কা দিয়েছে ফেরি। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে কাকলি নামে একটি ফেরি পিলারটিতে ধাক্কা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাকলির চালক মো. বাদল হোসেন। এসময় তিনি এ ঘটনায় কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও জানান।
তিনি আরও জানান, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরিটির র্যাম্পের একটু ক্ষতি হয়। এছাড়া আর কিছু হয়নি। পানির স্তরের উপরে থাকায় ফেরিতে পানিও ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনও ক্ষতি হয়নি। ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিয়ে নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে পেরেছি। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটলো। এর আগেও চার বার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি।
গত ৬, ২০, ২৩ জুলাই ১৭, ১৬, ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে এবং সর্বশেষ আজ আবার ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিলো। এসব ঘটনায় থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন ও ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে, দেশবাসীর প্রাণের পদ্মাসেতুর পিলারে বারবার ধাক্কা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর স্থায়ী সমাধানের দাবি সচেতন মহলের এবং এসব ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত তা ক্ষতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।