a
ফাইল ছবি
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নেদারল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অঙ্ক বিজলেভেল্ড। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেছেন, গত মাসে আফগানিস্তান থেকে শরণার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন। এর আগে বৃহস্পতিবার একই ইস্যুতে পদত্যাগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগ্রিড কাগ। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অভিযোগ করে বলেছে, আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে ডাচ সরকারের ধীরগতির প্রতিক্রিয়ার জন্য উভয় মন্ত্রীই (অঙ্ক বিজলেভেল্ড ও সিগ্রিড কাগ) দায়ী। নেদারল্যান্ডে আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য, এমন হাজার হাজার আফগানদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে এই দুই মন্ত্রী।
অবশ্য বিজলেভেল্ড প্রথমে বলেছিলেন যে, তিনি থাকবেন। কিন্তু তার নিজের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটস পার্টির সদস্যদের তীব্র সমালোচনার মুখে একদিন পরই পদত্যাগ করার নিদ্ধান্ত নিলেন।
অঙ্ক বিজলেভেল্ড বলেন, যারা আফগানিস্তানে এখনো আছেন এবং আমাদের নিরাপত্তার উপর নির্ভর করেন, তাদের আনার জন্য আমি আমাদের মিশন শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার অবস্থান এখন আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেছে। ফলে যারা আমার জন্য কাজ করে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমি বাধা দিতে চাই না। তাই এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।
গত মাসে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক মিশন শেষ করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী। দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে উগ্রপন্থী তালেবান। এমতাবস্থায় আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিক, কূটনীতিক ও ঝুঁকিকে থাকা আফগানদের সরিয়ে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে এ কারণে কাবুল বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেসব দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন এই দুই ডাচ মন্ত্রী।
ফাইল ছবি
প্রায় নয় বছর পর পাকিস্তানে সফরে গেলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরভ। গত সপ্তাহের ওই সফরে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একটি বার্তা নিয়ে এসেছি, যা পাকিস্তানকে বলতে, আমরা যেকোনও সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। পাকিস্তানের যা যা দরকার তার জন্য প্রস্তুত রাশিয়া।’
বৈঠকে অংশ নেয়া এক জ্যেষ্ঠ পাকিস্তানি কর্মকর্তা বলেন, ‘অন্যভাবে বললে, রুশ প্রেসিডেন্ট আমাদের ব্ল্যাংক চেক সেধেছেন।’
পুতিনের ‘ব্ল্যাংক চেক’ এর বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যদি গ্যাস পাইপলাইন, করিডোর, প্রতিরক্ষা বা অন্য যেকোনও সহযোগিতার জন্য আগ্রহী হন, তাহলে রাশিয়া তার জন্য প্রস্তুত।’ সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চরম যুদ্ধাবস্থায় বিরাজ করার মাঝে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সহিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বৈঠক সম্পন্ন এবং পুতিন প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন পাকিস্তানকে ‘ব্ল্যাংক চেক’। সব মিলে সামনের দিনগুলোতে বিশ্বে সামরিক তৎপরতা কোন দিকে যাচ্ছে তা এই মূহুর্তে বলা দূরুহ।
ফাইল ছবি
'জিন্নাহ কলেজ' নামে ১৯৬৮ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজ প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান জগন্নাথ কলেজের(বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র-আন্দোলনকে নির্মূল করার জন্য মহাখালীতে অবস্থিত ডিআইটি খাদ্যগুদাম হিসেবে পরিচিত ভবনে জগন্নাথ কলেজের ডিগ্রি শাখা স্থানান্তর করেন এবং এর নামকরণ করা হয় জিন্নাহ কলেজ।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান রেডিও-টেলিভিশনে এক ভাষণে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্থগিত ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে জিন্নাহ কলেজ শাখার ছাত্র সংসদের প্রথম সহ-সভাপতি (ভিপি) সিরাজউদ্দৌলার নেতৃত্বে টিপু মুনশি ও শাহাবুদ্দিনসহ তৎকালীন কতিপয় ছাত্রনেতা প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিন্নাহ্ কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। তখন আনিসুজ্জামান খোকন (জিন্নাহ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক) জিন্নাহ কলেজের নাম 'তিতুমীর কলেজ' প্রস্তাব করেন।
২ মার্চ ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় জড়ো হলে সেখানে তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রবের মধ্যস্থতায় জিন্নাহ্ কলেজের নাম 'তিতুমীর কলেজ' হিসেবে চূড়ান্ত হয়। ঐ রাতেই 'তিতুমীর কলেজ' নামকরণের সাইনবোর্ড লেখা হয় এবং দেয়ালে টাঙিয়ে দেয়া হয়। এলাকার কিছু যুবক তিতুমীর নামকরণের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করেন। সেই তিতুমীর কলেক আজ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত।
সরকারি তিতুমীর কলেজে একেবারে সূচনালগ্নে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত চালু থাকলেও পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার কথা বিবেচনা করে এবং চাহিদা অনুসারে এখন শুধু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিসমূহ চালু রয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিভাগ এই কলেজে চালু ছিল। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পরও পূর্বের সকল কার্যক্রম চালু রয়েছে। এখানে যেসকল বিভাগ চালু রয়েছেঃ
বিজ্ঞান অনুষদ:-
পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত,প্রাণিবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভূগোল ও পরিবেশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)।
বাণিজ্য অনুষদ:- হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং।
কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ :
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা, সমাজকর্ম, ইসলামের ইতিহাস সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে ৫ টি বাস। BRTC লাল বাস, সম্পর্ক, অগ্নিবীণা, সোনার তরী, সাদা বাস।
কলেজটির ছাত্র-ছাত্রীর জন্য তিনটি আবাসিক হল রয়েছে; এগুলো হলোঃ আক্কাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাস, সুফিয়া কামাল ছাত্রী নিবাস, সিরাজ ছাত্রী নিবাস।
কলেজের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক ছাত্র সংগঠন হলো: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সরকারি তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাব, ক্লিন এন্ড গ্রীন ক্যাম্পাস-তিতুমীর।