a আমরা এমনভাবে আঘাত করব, যা স্বপ্নেও ভাবেনি: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সোমবার, ১৪ পৌষ ১৪৩২, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আমরা এমনভাবে আঘাত করব, যা স্বপ্নেও ভাবেনি: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০২১, ১১:১১
আমরা এমনভাবে আঘাত করব যা স্বপ্নেও ভাবেনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামলার বিষয়ে বলেছেন, এটি কেবল শুরু। আমরা তাদের এমনভাবে আঘাত করব, যা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি। নেতানিয়াহু বলেন, আমরা সামরিক অভিযানের মধ্যবর্তী অবস্থায় রয়েছি। হামাস ও ইসলামী জিহাদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অরাজকতা বন্ধ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ইসরায়েলের শহরগুলোতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঠেলে সাজানো হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও নির্মমভাবে ও নৃশংস উপায়ে সমস্ত বাহিনী দিয়ে এই অরাজকতা বন্ধ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, হামাস-ইসরায়েল লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলা চলছে। সোমবার (১০ মে) দিনগত রাত থেকে এ পর্যন্ত ১৪ শিশু ও এক নারীসহ ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে হামাস মুখপাত্র ফাওয়াজ বারহুম বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের নাগরিকদের ওপর জায়নবাদীদের আগ্রাসন বন্ধ না হবে, ততদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা, বিশেষ করে হামাস প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। দখলদার বাহিনী গাজা, জেরুজালেম ও আল-আকসাকে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
 
এর আগে জেরুসালেমের একটি এলাকায় ইসরায়েলি পুলিশ এবং ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের জেরে এই লড়াইয়ের সূত্রপাত। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে ইসরায়েলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সোমবার, ২৪ মে, ২০২১, ১২:২০
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে ইসরায়েলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস

ফাইল ছবি

 

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ইসরায়েল যদি পবিত্র জেরুজালেম শহরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নতুন করে হামলার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে হামাস।সংগঠনের অন্যতম মুখপাত্র আবদুল লতিফ কানু রবিবার সাওয়া রেডিও চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন “পবিত্র জেরুজালেম শহরের শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবিরের লোকজনকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র করা হলে, আল-আকসা মসজিদ ভাগ করার চেষ্টা হলে কিংবা এই মসজিদের পরিচয় মুছে ফেলা এবং একে ইহুদিকরণের চেষ্টা হলে আমরা তার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছি।”

পবিত্র রমজান মাস শুরু থেকে ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলা জোরদার করে এবং জেরুজালেম শহর শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবির থেকে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের কয়েকটি পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। 

এক্ষেত্রে আদালতকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে ইসরায়েল সরকার। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে হামাস ইসরায়েলকে চূড়ান্ত সময় সময় বেঁধে দেয় এবং পরবর্তীতে ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যাপকভিত্তিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

১২ দিন যুদ্ধের পর মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও কার্যকর হলেও ইসরায়েলের পুলিশ মাঝে মধ্যে আল আকসা মসজিদে অভিযান চালিয়ে আসছে ও ধর-পাকড় করছে। এসব কারণে হামাসের পক্ষে এসব হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হল।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আন্দোলন দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল


বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৫৫
আন্দোলন দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের পর বাধাবিপত্তি ডিঙিয়ে ময়মনসিংহেও বড় সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তারা (সরকার) বিভিন্নভাবে আপনাদের ঠেকানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি। চট্টগ্রামেও আপনারা শক্তি জানান দিয়েছেন। সেটা দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’

গতকাল শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে এবং নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে চট্টগ্রামের পর গতকাল ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশ হয়। এ সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করাসহ নানাভাবে বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন সরকার সমর্থকেরা। সমাবেশের স্থান নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। স্থানীয় প্রশাসন সমাবেশের ঘোষিত স্থান সার্কিট হাউস মাঠের অনুমতি বাতিল করে শেষ মুহূর্তে পলিটেকনিক মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেয়। রাস্তায় যানবাহন না পেয়ে অনেকে হেঁটে, কেউবা অটোরিকশায়, আবার অনেকে বিকল্প পথে নৌকায় করে সমাবেশে যোগ দেন।

এ পরিস্থিতির উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। এই স্বৈরাচার সরকারের পতনের মাধ্যমেই দেশকে ফিরে পেতে হবে। তিনি বলেন, তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত আন্দোলনের যে জোয়ার উঠেছে, সেই জোয়ারে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, এ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। সেই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটা নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার তৈরি হবে। অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবে।’

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ নির্বাচনে ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা ছিল। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল, পুলিশ-র‌্যাব পাহারায় ছিল, তার পরেও ওই নির্বাচন দুপুরের মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এ সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশে দুর্ভিক্ষ লেগেছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন, তারা ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে। সেই চালের দাম এখন ৭০ টাকা হয়েছে। তারা বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে; এখন চাকরি পেতে হলে আওয়ামী লীগের লোকজন ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেন বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

সরকার উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে খাচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বাড়িয়েছে; তারা উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে, লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করে। তারা কানাডা, লন্ডনে, বেগমপাড়ায় বাড়ি করে, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানায়। আর আমার দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে।’

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অবৈধ এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের গণসমাবেশ বলে দেয় বিএনপি ঝিমিয়ে পড়ে নাই। এভাবে আন্দোলন চালিয়ে গেলে একপর্যায়ে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে।’

সমাবেশে বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নেন। সমাবেশে আসতে বাধা বা যান চলাচল করতে দেওয়া হবে না জেনে আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই নেতা-কর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে ময়মনসিংহ শহরে এসে জড়ো হতে থাকেন। তাঁদের কেউ শহরে আত্মীয়স্বজনদের বাসায়, কেউ আবাসিক হোটেলে, কেউবা রাতে রাস্তায় অবস্থান করেন। এর মাঝে সকাল থেকেই একে একে জড়ো হতে থাকেন মাঠে। নানা স্লোগানে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁরা মাঠে আসেন। দুপুর হতেই জনসভাস্থল ভরে যায়।

সমাবেশস্থল ছাড়াও নেতা-কর্মীদের ভিড় ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের সড়ক ও বাসাবাড়ির গলিতে। শহরের চরপাড়া থেকে মাসকান্দা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে নেতা-কর্মীদের ভিড় লেগে যায়। নেতা-কর্মীদের কেউ দাঁড়িয়ে, কেউবা সড়কে বসে মাইকে বক্তব্য শুনছিলেন। একটু পরপরই পুরো সড়ক দখল করে নেতা-কর্মীদের মিছিল আসতে দেখা যায়। মিছিল থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের নিপীড়ন ও অত্যাচারের প্রতিবাদ করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক