a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করলে কিয়েভের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি আছে রাশিয়া। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
এসময় তিনি বলেন, ‘রাশিয়া চায় না কোনো নব্য নাৎসি ইউক্রেনের ক্ষমতায় থাকুক।’ একই সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনকে সামরিকভাবে নিরস্ত্রীকরণ করতে চায়। ইউক্রেন দখলের কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই বলেও দাবি করেছেন ল্যাভরভ।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সরাসরি সেনা অভিযান শুরু করেছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের নানা দেশ থেকে রাশিয়ার ওপর বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও ন্যাটো জোটসহ মার্কিন মিত্ররা জানায়, তারা সরাসরি কেউ ইউক্রেনের হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলংকা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন এক এমপিসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮৯ জন।
সোমবার মাহিন্দা রাজাপাকসেসহ দেশটির মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতাদের বাসভবনে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ক্ষমতাসীন এক এমপি ও এক বিক্ষোভকারীও রয়েছেন। এছাড়া আহতদের দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানান, কলম্বোর সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অন্তত ১৩৮ জনকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংঘর্ষ চলাকালে কলম্বোর নিতাম্বুওয়া এলাকায় বিক্ষোভকারীরা সরকারী দলের এক এমপির গাড়ি ঘিরে ধরেন। এসময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান এমপি। এতে দুই বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হন। পরে আহত দুইজনের মধ্যে একজন মারা যান।
সংবাদমাধ্যম এএফপিকে শ্রীলংকা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই এমপি। পরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ওই ভবনটি ঘিরে ফেললে এমপি নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেকে গুলি করেন।
এদিকে সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের কুরুনেগালাস্থ বাসভবনসহ রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতাদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেছেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে দেশে চলমান আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে সরকারি সূত্র বলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার পদত্যাগপত্র প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠিয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: সংগৃহীত
বায়ুদূষণের ফলে দূষিত শহরের তালিকায় আজ রোববার বিশ্বে প্রথম স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ২৩৫। বায়ুর মান বিচারে এ পরিস্থিতি খুবই অস্বাস্থ্যকর। একই সময়ে এবং একই দিনে এ তালিকায় ঢাকার পরই আছে চীনের শহর চেংডু (২০০)।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে তথ্য দেয় এবং তাতে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানান দেয়।
একিউআই স্কোরে আজ সকাল সাড়ে আটটায় বায়ুর মানের নিরিখে দূষিত তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল ভারতের মুম্বাই (১৯৯)। ১৮৫ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে পাকিস্তানের করাচি। তাইওয়ানের কাওশিয়াং আছে পঞ্চম স্থানে, স্কোর ১৮৩। এরপরই আছে চীনের উহান (১৮৩) ও মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর (১৬৯)।
উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
ঢাকায় চলতি জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছেন নগরবাসী। এ মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি—বছরের এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয় গত বৃহস্পতিবার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির প্রথম সভায়। সচিবালয়ের ওই সভায় বলা হয়, সারা দেশের অবৈধ ইটভাটাগুলো দ্রুত ভেঙে দেওয়া হবে। গাড়ির কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলবে। বড় বড় নির্মাণ কার্যক্রমের দূষণের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান জোরদার করা হবে। সূত্র: প্রথম আলো