a
ফাইল ছবি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আগামী মাসে ইউক্রেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। পোলিওর সংক্রমণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সংক্রমণের কারণে রোগীদের সামলাতে হাসপাতালগুলোত কঠিন পরিস্থিতি পড়তে পারে। খবর রয়টার্সের।
ডব্লিউএইচও এর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে দেখছি। আমাদের আশঙ্কা সংক্রমণ আগামী মাসের শুরুতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে রোগীদের সামলাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হতে পারে।’
ইসরায়েলের তেলআবিব শহরে ডব্লিউএইচওর ইউরোপবিষয়ক আঞ্চলিক কমিটির সম্মেলনে যোগ দিয়ে তেদরোস এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে। কারণ, ইউক্রেনের যেসব এলাকা থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় সেসব এলাকা বর্তমানে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা, নবজাতক, যুদ্ধে হতাহত মানুষেরও অক্সিজেন দরকার হতে পারে।
তেদরোস বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে পোলিওর সংক্রমণ বাড়তে পারে এবং দেশটির স্বাস্থ্য খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডব্লিউএইচও বলছে, ইউক্রেনের স্বাস্থ্য অবকাঠামোতে ৫০০–এরও বেশি হামলা হয়েছে। এসব হামলার কারণে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ায় পোলিও দ্রুত ছড়াতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
করোনাভাইরাস ও পোলিওর সংক্রমণরোধে ইউক্রেনে টিকাদানের হার খুবই কম। ফলে ২০২১ সালে পোলিওর সংক্রমণে দেশটিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বছর ইসরায়েল, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে পোলিওর সংক্রমণ দেখা গেছে। পোলিওর সংক্রমণ বিশ্বের অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে ‘আগুন গতি’তে ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যেসব দেশে করোনা টিকার সঙ্কট আছে, সেখানে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে বিপজ্জনক।
সোমবার তিনি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ধ্বংসাত্মক প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের এই স্ট্রেইনটি ‘স্কোরচিং পেস’ বা আগুন গতিতে মানুষকে আক্রান্ত করছে।
জেনেভায় ভার্চুয়াল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে টানা চতুর্থ সপ্তাহের মতো বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। টানা ১০ সপ্তাহ ধরে মৃত্যু কমে আসার পর আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রথম শনাক্ত হয় ভারতে। তারপর তা সারাবিশ্বে অব্যাহতভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১০৪ দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আগুন গতিতে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
এর ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে নতুন করে। বিশ্বজুড়ে নেতারা এই নতুন সংক্রমণের বিরুদ্ধে সাড়া দিয়েছেন ভিন্নভাবে। কিছু দেশ যেমন ফ্রান্স এক্ষেত্রে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। অন্যরা বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।
বৃটেন তো আগামী ১৯ জুলাই থেকে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের বহু দেশ এখনও টিকা সঙ্কটে ভুগছে। এ অবস্থায় তাদের বিধিনিষেধ শিথিল করায় বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমবার তিনি এক উদাহরণ দিয়ে বলেন, বর্তমানে সমন্বিত কৌশল আমাকে একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। তা হলো বন যখন জ্বলছে তখন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি অগ্নিনির্বাপক টিমকে। তারা বনের একপাশে পানি ঢাললেও অন্যপ্রান্তে আগুন জ্বলতে থাকবে। পরিণতিতে তা আবার এক জ্বলন্ত চুল্লি হয়ে উঠবে।
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, ১৮ বছরের কম বয়সীদের আপাতত টিকা দেওয়া হচ্ছে না। তবে বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আজ মঙ্গলবার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ভবনে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা পরিদর্শন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ফাইজারের টিকা এবার ঢাকা ছাড়াও বড় বিভাগীয় শহর ও জেলা পৌরসভায় দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি শেষ করে অচিরেই দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮২ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক ৫ লাখ করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সে হিসেবে সপ্তাহে দেওয়া হচ্ছে ৩০ লাখ এবং মাসে এক কোটি ২০ লাখ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে দিলেও দ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সব মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: কালের কন্ঠ