a ইউক্রেনে করোনা ও পোলিওর সংক্রমণে ডব্লিউএইচওর উদ্বেগ
ঢাকা শুক্রবার, ২২ কার্তিক ১৪৩২, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইউক্রেনে করোনা ও পোলিওর সংক্রমণে ডব্লিউএইচওর উদ্বেগ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:০৩
ইউক্রেনে করোনা ও পোলিওর সংক্রমণে ডব্লিউএইচওর উদ্বেগ

ফাইল ছবি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আগামী মাসে ইউক্রেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। পোলিওর সংক্রমণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সংক্রমণের কারণে রোগীদের সামলাতে হাসপাতালগুলোত কঠিন পরিস্থিতি পড়তে পারে। খবর রয়টার্সের।

ডব্লিউএইচও এর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে দেখছি। আমাদের আশঙ্কা সংক্রমণ আগামী মাসের শুরুতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে রোগীদের সামলাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হতে পারে।’

ইসরায়েলের তেলআবিব শহরে ডব্লিউএইচওর ইউরোপবিষয়ক আঞ্চলিক কমিটির সম্মেলনে যোগ দিয়ে তেদরোস এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে। কারণ, ইউক্রেনের যেসব এলাকা থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় সেসব এলাকা বর্তমানে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা, নবজাতক, যুদ্ধে হতাহত মানুষেরও অক্সিজেন দরকার হতে পারে।

তেদরোস বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে পোলিওর সংক্রমণ বাড়তে পারে এবং দেশটির স্বাস্থ্য খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডব্লিউএইচও বলছে, ইউক্রেনের স্বাস্থ্য অবকাঠামোতে ৫০০–এরও বেশি হামলা হয়েছে। এসব হামলার কারণে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ায় পোলিও দ্রুত ছড়াতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’

করোনাভাইরাস ও পোলিওর সংক্রমণরোধে ইউক্রেনে টিকাদানের হার খুবই কম। ফলে ২০২১ সালে পোলিওর সংক্রমণে দেশটিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ বছর ইসরায়েল, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে পোলিওর সংক্রমণ দেখা গেছে। পোলিওর সংক্রমণ বিশ্বের অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ক্ষমতার রাজনীতি, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ: ড. শেখ আকরাম আলী


আলী আসলাম, আন্তর্জাতিক নিউজ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৭
ক্ষমতার রাজনীতি, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ: ড. শেখ আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার রাজনীতি (Power Politics) মানব সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত একটি সর্বজনীন বাস্তবতা। তবে ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে সমাজের পরিবর্তনের সাথে সাথে এটি নানা রূপ পরিগ্রহ করেছে। অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করার বা প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতাই এই রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি। আধুনিক কালে এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হয়ে উঠেছে এবং দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখছে।  

রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রভাব বিস্তার করে, যার মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে প্রধান বিবেচনা করা হয়।  

প্রাচীন যুগে শারীরিক শক্তি ছিল বিজয়ের মাপকাঠি। মধ্যযুগে কামান ও আগ্নেয়াস্ত্র সেই জায়গা দখল করে। কিন্তু নেপোলিয়নিক যুগে ইউরোপের আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে আরও উন্নত অস্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। সামরিক শক্তি ছোট ও দরিদ্র দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবহৃত হতে থাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আধুনিক অস্ত্র ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বোমার ব্যবহার দেখা যায়।  

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বিশ্ব বিভক্ত হয় দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরে। তখন থেকেই প্রকৃত অর্থে ক্ষমতার রাজনীতি শুরু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পুঁজিবাদী জগৎ এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক ব্লক মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মাধ্যমে ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান ঘটে এবং একমেরু বিশ্বে পরিণত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।  

তবে এই ফাঁকে চীন অর্থনৈতিক দৈত্য হিসেবে উঠে আসে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করে।  

বাংলাদেশের জন্ম হয় ভারতের প্রত্যক্ষ সহায়তায় এবং সেই সময়ে সোভিয়েত রাশিয়ার কূটনৈতিক ছায়ার নিচে থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশের যাত্রা। ফলে নিজস্ব স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গড়ে তোলার সুযোগ তখন মেলেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবহেলার ফলেই ১৯৭৫ সালের আগস্টে শেখ মুজিবের পতন ঘটে সামরিক-নাগরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে।  

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। তিনি একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির অনুসরণে সচেষ্ট ছিলেন। বিশ্বের দ্বিধাবিভক্ত পরাশক্তির কাঠামো তখন তার পক্ষে ছিল। তিনি একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন, অন্যদিকে চীন ও মুসলিম বিশ্ব (যেমন: পাকিস্তান) এর সাথেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন। কিন্তু ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতির শিকার হয়ে ১৯৮১ সালের মে মাসে প্রাণ হারান।  

এরশাদের আমলে ভারত সন্তুষ্ট থাকলেও খালেদা জিয়ার শাসনামলে ভারতীয় উদ্বেগ বাড়তে থাকে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষমতার রাজনীতি এক চরম সংঘাতময় পরিস্থিতিতে পৌঁছায়। ১৯৯৬ সালে ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হলেও ২০০১ সালের নির্বাচনে তাদের ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়।  

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও তারা কিছু গুরুতর রাজনৈতিক ভুল করে বসে, যার ফলে ভারতের আধিপত্য আবারও প্রতিষ্ঠা পায়। নির্বোধ সেনাপ্রধান মঈন উদ্দিনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবার ভারতনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনকাল শুরু হয়, যেখানে কার্যত কোনও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বিদ্যমান ছিল না।  

২০২৪ সালের ছাত্রনেতৃত্বাধীন ‘জুলাই বিপ্লব’-এর মাধ্যমে অধ্যাপক ড. ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। বর্তমান সরকার ভারতের ব্যাপারে সতর্ক এবং একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গঠনের লক্ষ্যে সচেষ্ট। সম্প্রতি ড. ইউনুসের চীন সফরকে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চীন অর্থনৈতিক সহায়তা, মংলা বন্দর উন্নয়ন, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পানি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের সাথেও সম্পর্ক দ্রুত উন্নয়নশীল এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে আশা করা যায়।  

তবে আন্তর্জাতিক ক্ষমতার রাজনীতিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও অতিরিক্ত নির্ভরতা কোনওভাবেই বুদ্ধিদীপ্ত হবে না। ভারত এখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক বন্ধু। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, তারা যেকোনো সময় বাংলাদেশকে উপেক্ষা করতে পারে।  

চীনের সাথে সম্পর্ককে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে এবং পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ককেও সম্মান ও গুরুত্বের সঙ্গে বজায় রাখা প্রয়োজন। শত্রুর শত্রু যে সবচেয়ে বড় বন্ধু—এই কৌশলগত বাস্তবতাও মনে রাখতে হবে।  

দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার রাজনীতি যেন জাতীয় স্বার্থকে বিপন্ন না করে। যারা ক্ষমতায় যেতে চাইছেন, তারা যেন কেবল ক্ষমতার স্বার্থে জাতীয় স্বার্থকে বিসর্জন না দেন—এই প্রত্যাশাই থাকবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কাবুলের কারাগার থেকে ৩ বাংলাদেশি বেরিয়ে গেলেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৬ আগষ্ট, ২০২১, ১১:০৭
কাবুলের কারাগার থেকে ৩ বাংলাদেশি বেরিয়ে গেলেন

ফাইল ছবি

তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর সেখানকার কারাগার থেকে বের হয়ে গেছেন তিন বাংলাদেশি কারাবন্দী। কারাগার থেকে বের হওয়া তিনজন হলেন- খুলনার মঈন আল মেজবাহ, রাজধানীর মিরপুরের কাওসার সুলতানা ও ফেনীর উবাইদুল্লাহ হারুন।

কাবুলে প্রবেশের পর তালেবান যোদ্ধারা সেখানকার কারাগারের প্রধান দরজা খুলে দেয়। যার ফলে এই তিন বাংলাদেশি বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশি দূতাবাস।  

উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম সমদূরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে আফগানিস্তানের দায়িত্বও পালন করছেন। তিনি বলেন, দেশটিতে বাংলাদেশের মিশন না থাকায় পুরো দেশের তথ্য সম্পর্কে আমরা অবগত নই। আপাতত কাবুলে থাকা বাংলাদেশিদের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশের কোনো নাগরিক দেশটির অন্য কোথাও আছেন কি না, তা জানাতে আফগানিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। 

আফগানিস্তানে কোনো বাংলাদেশি যদি থেকে থাকেন, তাদের সহায়তার জন্য দুটি হটলাইন (+৯৯৮৯৭৪৪০২২০১ ও +৯৯৮৯০৩২৭৫১৫২) খোলা হয়েছে।

দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, আফগান কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়া তিন বাংলাদেশি হলেন খুলনার দৌলতপুর উপজেলার মঈন আল মেজবাহ, রাজধানীর মিরপুরের (ভাষানটেক) কাওসার সুলতানা ও ফেনীর ফুলগাজীর উবাইদুল্লাহ হারুন।

বেরিয়ে যাওয়া তিন বাংলাদেশি কারাবন্দীর অপরাধ সম্পর্কে একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। কেউ বলছেন, তারা অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আবার কেউ বলছেন, ওই তিনজনসহ মোট চার বাংলাদেশিকে তালেবানকে সহায়তার অভিযোগে কয়েক বছর আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়া মঈন আল মেজবাহ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তাকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়। দূতাবাস তাকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক