a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানে সহায়তা করলে চীনকে কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আজ সোমবার ইতালির রাজধানী রোমে এ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে চীনা ও মার্কিন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মাঝে। এর আগেই এ ধরনের হুমকি এল। বিভিন্ন মার্কিন গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
নির্দিষ্টভাবে কোনও কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করে আমেরিকার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, ইউক্রেন অভিযানে চীনের কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া।
ওয়াশিংটনে চীনা অ্যাম্বেসি দাবি করেছে, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে এই অভিযান শুরু করে। এরই মধ্যে সোমবার ১৮তম দিন অতিবাহিত হয়েছে এই অভিযান। বিগত এইদিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। সূত্র: বিবিসি
ফাইল ছবি
তালেবানের মৌখিক অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানবিক সাহায্য পাঠানোর পরিকল্পনা করছে তুরস্ক।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু সোমবার রাতে এ তথ্য জানান। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
চাভুসগ্লু বলেন, শীত মৌসুমে আফগানিস্তানের সহায়তা প্রয়োজন। আমরা নিজেদের সহায়তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও অনুরোধ করছি, আফগানিস্তানের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ান। দেশটি এবং তার অর্থনীতি যেন ভেঙে না পড়ে। এতে করে পার্শ্ববর্তী সকল দেশ বিভিন্ন বিষয়ে আক্রান্ত হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের মাধ্যমে একটি করিডর ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মানবিক সাহায্য পাঠানো হবে।
‘আফগানিস্তানে ইতোমধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট। কিন্তু পাকিস্তানের মাধ্যমে আরও অতিরিক্ত সাহায্য দেশটিতে পাঠানো হবে’, বলেন চাভুসগ্লু।
তালেবান দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানে ফের ক্ষমতা দখল করে। তীব্র সংকটে থাকা আফগানদের বিভিন্ন দেশ মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে তুরস্ক অন্যতম অবদান রাখছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল হামলার ইসরায়েলি হুমকিতে তারা ভীত নয়। এসব হামলা প্রতিহত করতে তারা প্রস্তুত আছে।
গতকাল সোমবার হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদেহ এসব কথা বলেছেন।
টেলিভিশনে প্রচারিত বিবৃতিতে আবু ওবাইদেহ বলেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক হামলার পর হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড ২০০ জন ইসরায়েলিকে বন্দী করে। এ ছাড়া গাজার অন্যান্য প্রতিরোধ দলের হাতে প্রায় ৫০ জন ইসরায়েলি বন্দী আছে।
আবু ওবাইদেহ বলেন, ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে স্থল হামলা শুরু করার বিষয়ে দখলদারেরা (ইসরায়েল) যে হুমকি দিয়েছে, তাতে আমরা ভীত নই। আমরা এর জন্য প্রস্তুত।’
গাজায় স্থল হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলা চালানোর জন্য তারা ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে হামাসের কাছ থেকে এই বক্তব্য এল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি গতকাল বলেন, ইসরায়েলের ১৯৯ নাগরিককে হামাস জিম্মি করেছে বলে তারা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছেন।
হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তাঁরা বিদেশি বন্দীদের মুক্তি দেবেন।
আবু ওবাইদেহ জানান, গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন ইসরায়েলি বন্দী নিহত হয়েছেন।
হামাসের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২ হাজার ৭৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। একই সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালান হামাসের যোদ্ধারা। এ সময় তাঁরা বিদেশি নাগরিকসহ অনেক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান।
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে তারা গাজায় টানা বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। অবরুদ্ধ গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। সূত্র: প্রথম আলো