a ইউরোপীয় শান্তিময় দেশগুলোতে ঝগড়া বাধিয়ে দিয়ে মহাশান্তিতে আমেরিকা!
ঢাকা রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইউরোপীয় শান্তিময় দেশগুলোতে ঝগড়া বাধিয়ে দিয়ে মহাশান্তিতে আমেরিকা!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৬ জুন, ২০২২, ১২:৩৪
ইউরোপীয় শান্তিময় দেশগুলোতে ঝগড়া বাধিয়ে দিয়ে মহাশান্তিতে আমেরিকা!

ফাইল ছবি

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইউরোপ জোটবদ্ধ হয়ে রুশদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা দিলেও এখন সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে কি ধরনের আচরণ করা হবে তা নিয়ে খোদ ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেই বড় ধরনের বিভেদ ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে কঠোর আচরণ না করার ব্যাপারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বক্তব্য দেওয়ার পর ইউক্রেন তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে এর কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।

ম্যাকরন গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, “আমাদের কারো উচিত হবে না রাশিয়াকে অবমাননা করে কথা বলা, যাতে যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পর কূটনৈতিক উপায়ে বিরাজমান সমস্যা সমাধানের পথ খোলা থাকে।”

তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা এক টুইটবার্তায় বলেছেন, “রাশিয়াকে অবমাননা করা থেকে বিরত থাকার জন্য ফ্রান্সসহ ইউরোপের যে কোনও দেশের আহ্বান বরং ওই দেশগুলোর জন্যই অবমাননাকর এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট রাশিয়াকে অবমাননা না করার কথা বলে প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজেই নিজেকে অবমাননা করেছে।”

পর্যবেক্ষকরা মতে, ফ্রান্স ও ইউক্রেনের মুখোমুখি অবস্থান ও তীব্র বিতর্ক থেকে রাশিয়াকে নিয়ে ইউরোপীয়দের মধ্যে গভীর মতপার্থক্য ও বড় ধরনের বিভেদ লক্ষ্য করা যায়। ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির মতো ইউরোপের বৃহৎ দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় আছে।

বিশেষ করে অর্থনৈতিক, জ্বালানি ও ইউরোপে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা অনেক পুরাতন। এ অবস্থায় ওই দেশগুলো রাশিয়াকে অবমাননা না করা, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ না করা এবং সর্বোপরি যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধ করে ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কথা বলছে।

অন্যদিকে ব্রিটেন, পোল্যান্ড ও পূর্ব ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলো চাইছে রাশিয়াকে সামরিক উপায়ে পরাজিত করার জন্য সবাই যেন ইউক্রেনকে সহযোগিতা করে। এই দেশগুলো মনে করে মস্কোকে পরাজিত করা ছাড়া বিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

প্রকৃতপক্ষে, ইউরোপে মার্কিন মিত্ররা যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখালেও ইউরোপের বৃহৎ ও প্রভাবশালী দেশগুলো ভালো করেই জানে পরমাণু অস্ত্রধর রাশিয়া সামরিক দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী একটি দেশ। এ রকম একটি দেশকে উস্কানি দেওয়া হলে ইউরোপের জন্য অনেক বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় ইউরোপের যেসব দেশ রাশিয়াকে এক হাত দেখে নিতে চায় তারা আসলে অনেক বড় ঝুঁকি নিচ্ছে এবং গোটা ইউরোপের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। অথচ আটলান্টিকের ওপারে যে আমেরিকার উস্কানিতে ইউরোপের এ দেশগুলো নিজেদেরকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে সেই আমেরিকার জন্য কোনও ধরনের নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে ইউরোপ শান্তিতে ছিল সেই ইউরোপ মার্কিন উস্কানিতে নজিরবিহীন বিপর্যয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়াকে নিয়ে কি সত্যিই নিজেরা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো? আর ওদিকে আটলান্টিকের ওপারে আমেরিকা নিজেদের নিরাপদ রেখে অস্ত্র ব্যবসা চালাতে যা করনীয় তাই করে যাবে কৌশলে। সূত্র: আল-জাজিরা/বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাশিয়া ফিনল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২১ মে, ২০২২, ১২:৩৩
রাশিয়া ফিনল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে

ফাইল ছবি

ন্যাটো জোটের সদস্যপদের জন্য আবেদন করার ফলে রাশিয়ার তোপের মুখে আছে ফিনল্যান্ড। রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম ফিনল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

এমন সময় এই ঘোষণা এল, যখন ন্যাটো জোটের সদস্যপদের জন্য আবেদন করে দেশটি। যদিও রাশিয়া বলছে. ফিনল্যান্ড রুশ মুদ্রা রুবলে গ্যাসের অর্থ পরিশোধ করতে রাজি না হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গ্যাসগ্রিড ফিনল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, ইমাত্রা প্রবেশ পয়েন্ট দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে ফিনল্যান্ডে এই ইমাত্রা পয়েন্ট দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হতো।

ফিনিস রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাইকারি গ্যাস বিক্রেতা গ্যাজম গ্যাস সরবরাহ বন্ধের তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

একটি জাতির জন্য পদ্ধতি বা ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ


কর্নেল(অব.) আকরাম, লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৪৮
একটি জাতির জন্য পদ্ধতি বা ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

ছবি সংগৃহীত

 

কর্নেল(অব.) আকরাম: কটি জাতির জন্য পদ্ধতি বা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি সরকারি ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ফরাসি বিপ্লবের পর থেকে আমরা বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে সংঘাত দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বে অতীতে বিভিন্ন পদ্ধতির অভিজ্ঞতা রয়েছে। পশ্চিমে রাজতন্ত্র ও রাজপ্রথা এবং পূর্বে খিলাফত ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু উভয় ব্যবস্থাই এখন বিলুপ্ত।  

বর্তমান সময় গণতন্ত্রের যুগ এবং এটি এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে সর্বোত্তম সরকারি ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত। একটি দেশের সংবিধান সরকারের গঠন ও কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, কিন্তু এটি জনগণের ভালো শাসনের উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে।  

জনগণের অধিকার ও আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা খুব একটা ইতিবাচক নয়। বর্তমান সংবিধানে নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কে অনেক ভালো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তা কখনই বাস্তবায়িত হয়নি। উপরন্তু অতীতে দেশের জনগণকে শাসকদের দ্বারা সব সময়ই হয়রানি ও চাপের মুখে রাখা হয়েছে।  

যেহেতু দেশের বেশিরভাগ জনগণ মুসলিম, তাই তাদের প্রত্যাশা সংবিধানে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং নাগরিকদের এমন একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের প্রশাসনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের সুযোগ দিতে হবে যা তাদের জন্য উপযুক্ত। একটি টেকসই কল্যাণমুখী সমাজ গঠনের জন্য এই ব্যবস্থাকে অর্থবহ ও ব্যবহারিক করে তুলতে গভীর গবেষণা এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা প্রয়োজন।  

দেশের জনগণ সংবিধানে আর কোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেখতে প্রস্তুত নয়, বরং তারা একটি সত্যিকারের কল্যাণ রাষ্ট্রের দিকনির্দেশনা চায়। একটি জাতি মূলত তার সংবিধানের মাধ্যমেই গঠিত হয় এবং এটি যথাযথ যত্ন ও বিচক্ষণতার সাথে করা উচিত। রাতারাতি কোনো ভালো ফলাফল অর্জিত হয় না। আমরা অতীতে ভয়াবহ দুর্ভোগের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং কোনো অশুভ ভবিষ্যৎকে আমরা প্রশংসা করব না। ভবিষ্যতে যেকোনো ব্যবস্থা সংক্রান্ত উদ্যোগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আমাদের জনগণ সবচেয়ে বেশি কষ্টভোগ করছে এবং তারা তাদের দুর্ভোগের অবসান চাইছে।  

২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব নিঃসন্দেহে জাতিকে বর্তমান সংবিধানের উপযোগিতা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করেছে। এদিকে জাতি দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক শিবিরে রয়েছে বিএনপি এবং অন্যটিতে রয়েছে সিএনসি, একটি নতুন ছাত্রনেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল। জামাত সম্ভবত এনসিপির পদক্ষেপের পক্ষে থাকবে। সংবিধান ও শাসন ব্যবস্থা নিয়ে দুটি শিবিরের মধ্যে একটি সত্যিকারের সংঘাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।  

উভয় পক্ষই অনমনীয় ও একগুঁয়েমী বলে মনে হচ্ছে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য পারস্পরিক সমঝোতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে এনসিপির নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশে নিকট ভবিষ্যতে একটি রাজনৈতিক সংঘাত হতে পারে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন যে দেশটি যুদ্ধের পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।  

১৯৭২ সাল থেকে আমরা কখনই সত্যিকারের স্বাধীনতা অনুভব করতে পারিনি এবং ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা শাসনামলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে যখন আমরা আমাদের নিজ দেশের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। গত পনেরো বছর ধরে ভারত বাংলাদেশের মালিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মনে হচ্ছে আমরা আমাদের ইতিহাসের সাম্প্রতিক অতীত ভুলে গেছি এবং তাদের অনুগ্রহ পাওয়ার চেষ্টা করছি।  

ঐক্যের মাধ্যমে অর্জিত সাফল্য এখন মারাত্মক হুমকির মুখে এবং এটি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। পরাজিত শত্রুরা এই অস্থির পরিস্থিতিকে তাদের সুবিধা নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবে না। আমরা সম্পূর্ণ জেনেশুনেই আমাদের নিজেদের পায়ে কুড়াল মারতে চলেছি। আমরা কি এতই মূর্খ যে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোর পরেও আমাদের জাতীয় স্বার্থ বুঝতে পারছি না?  

এনসিপির প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের বিষয়ে একটি জাতীয় সংলাপ হোক। আসুন আমরা আমাদের প্রত্যাশার বিষয়ে বাস্তববাদী ও ব্যবহারিক হই। প্রতিটি শিবিরকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং পরিপক্কতা ও বিচক্ষণতার সাথে কাজ করতে হবে। সবকিছু রাতারাতি করা যায় না। আমরা নতুন বাংলাদেশে ভবিষ্যতে একটি সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি দেখতে চাই। আমাদের আর জনগণকে ভণ্ডামির রাজনীতির শিকার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক