a
ফাইল ছবি
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটির কাছে অবস্থিত ইরবিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, শনিবার রাতে একাধিক সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে মার্কিন ঘাঁটির কাছে ইরবিল বিমানবন্দরে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর আনাদোলুর।
মার্কিন সামরিক জোটের ঘাঁটি হিসেবেও পরিচিত ওই বিমানবন্দর। এক বিবৃতিতে বিমানবন্দরের পরিচালক আহমেদ হোচেয়ার জানিয়েছেন, হামলায় বিমানবন্দরের কোনো ক্ষতি হয়নি।
কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের পরিচালক জানিয়েছেন, দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং আকাশে কালো ধোঁয়া দেখা গেছে। সে সময় মার্কিন দূতাবাসের আশপাশে সাইরেন বেজে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিরাপত্তা সদস্যরা বিমানবন্দর এলাকা বন্ধ করে দিয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরেই ইরাকে মার্কিন বাহিনী বা মার্কিন সদস্যদের অবস্থান লক্ষ্য করে একের পর এক হয়ে আসছে।
এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এসব হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরাকে অবস্থিত ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীকেই এসব হামলার জন্য দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
কয়েক সপ্তাহ আগে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন দফা ড্রোন হামলা চালানো হয়। সেখানে মার্কিন বাহিনী মোতায়েন ছিল। বর্তমানে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ফিলিস্তিনের ওপর আগ্রাসন চালানোয় ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নেতানিয়াহু গত শনিবার এক টুইটবার্তায় সমর্থনকারী দেশগুলোর পতাকার ইমোটিন প্রকাশ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তবে ভারতের নাম নেই এই তালিকায়। যদিও দেশটির বহু নাগরিক ইসরায়েলকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়।
আবার অনেকেই ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানাচ্ছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনের গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৮ জনে। এর মধ্যে ৫৫ শিশু ও ৩৩ নারী রয়েছেন। আহত হয়েছে এক হাজার ২৩০ জনের বেশি। ইসরায়েলের দাবি নিহতদের মধ্যে বহু মিলিটান্ট (ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের এই নামেই ডাকে ইসরায়েল) রয়েছে।
ইসরায়েলকে সমর্থন করা দেশগুলোর পতাকা শেয়ার করে টুইট বার্তায় নেতানিয়াহু লেখেন, ‘ইসরায়েলের পাশে জোরালোভাবে দাঁড়ানোয় এবং সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে আমাদের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করায় আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ তবে এসব দেশের তালিকায় নেই ভারতের পতাকা।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ করা পতাকাগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, আলবেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভেনিয়া, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা, কলম্বিয়া, সাইপ্রাস, চেক রিপাবলিক, জর্জিয়া, জার্মানি, গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, ইতালি, লিথুনিয়া, মালদোভা, নেদারল্যান্ডস,মেসিডোনিয়া, প্যারাগুয়ে, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেন এবং উরুগুয়ের।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওই টুইট বার্তাকে ভালোভাবে নেয়নি তাদের সমর্থনকারী ভারতীয়রা। বহু ভারতীয় ফিলিস্তিনকে সমর্থন এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানালেও অনেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন করেন আর বিশ্বাস করেন ফিলিস্তিন ধ্বংস করে দেওয়া উচিত।
টুইটারে ‘ইন্ডিয়া স্ট্যান্ড উইথ ইসরায়েল’ হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং থাকার পরও ভারতের পতাকাকে যুক্ত করেননি নেতানিয়াহু। তাতে ইসরায়েলকে সমর্থনকারী ভারতীয়রা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ভারতকে কেন তালিকায় রাখা হয়নি জানিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকেই এই ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মমতা ব্যানার্জি । ফাইল ছবি
টানা তৃতীয়বারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি। আজ বুধবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। এর আগে গত সোমবার তাকে তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় নেত্রী নির্বাচিত করা হয়। সেদিন রাতেই রাজ্যভবনে গিয়ে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানেই নির্ধারিত হয় বুধবার শপথ নেবেন মমতা। গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্রও জমা দেন। রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের আগের নিয়ম মেনেই পদত্যাগ করেন তিনি। গভর্নর সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেন।
মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সাক্ষাতের পর গভর্নর জগদীপ ধনখড় এক টুইটার বার্তায় জানান, বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজভবনে শপথ নেবেন মমতা ব্যানার্জি। তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন গর্ভনর জগদীপ ধনখড়। মমতার দলের জয়ী এমএলএরা শপথ নেবেন আগামীকাল।
মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেয়ার কথা রয়েছে ৯ মে। করোনা পরিস্থিতির কারণে দ্রুত শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। এছাড়া সম্পূর্ণ অনাড়ম্বরভাবে শপথ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পূর্বেই।
প্রসঙ্গত, মমতা ব্যানার্জি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৯৫৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এর পরও মমতাই পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। প্রথানুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে কোনো আসন থেকে উপনির্বাচনে তিনি জয়ী হতে হবে।
ভারতে নির্বাচনে নিয়ম অনুযায়ী শপথগ্রহণের ছয় মাস পর্যন্ত বিধানসভা বা লোকসভার সদস্য না হয়েও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে ঐ ছয় মাসের মধ্যে তাকে রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধানসভা এবং ভারতের সরকার গঠনের জন্য লোকসভা বা বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হয়।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস যখন পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় গ্রহণ করেছিলেন, তখনো মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের এমএলএ(এমপি) ছিলেন না। পরে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে আসেন।