a ইরানে বিক্ষোভে উসকানির দায়ে দুই ফরাসি নাগরিক আটক
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইরানে বিক্ষোভে উসকানির দায়ে দুই ফরাসি নাগরিক আটক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২২, ০২:০১
ইরানে বিক্ষোভে উসকানির দায়ে দুই ফরাসি নাগরিক আটক

ফাইল ছবি

ইরানের হিজাবকাণ্ড নিয়ে সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উসকানির দায়ে দুই ফরাসি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। খবর ইরনা ও আলজাজিরার।

ইরানে পুলিশের হেফাজতে কুর্দি নারী মাহসা আমিনি (২২) অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সহিংসতা ও নৈরাজ্য চলছে দেশটিতে। ইরানের দাবি, এতে উসকানি দিচ্ছে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি গণমাধ্যম।

এক নারীসহ আটক দুই ফরাসি নাগরিক সম্প্রতি ট্যুরিস্ট ভিসায় পর্যটকের ছদ্মাবেশে ইরানে প্রবেশ করেন।

পরবর্তীতে তারা ইরানের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী দাঙ্গায় রূপ দিতে কাজ করেন। পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তিরা টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

আটক দুই ফরাসি নাগরিকের নাম সেসেলিন কোহলের এবং জ্যাক প্যারিস বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় এবার ইতিহাস সৃষ্টি করলেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:৩৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় এবার ইতিহাস সৃষ্টি করলেন

ফাইল ছবি: রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প


নিউজ ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য ভূমিধস জয়ের পর ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে বক্তব্য দিচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজেকে বিজয় ঘোষণা করে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ভাষণ শুরু করেন। ট্রাম্প ভাষণে বলেন, এটা আমাদের একটা চমৎকার মুহূর্ত। আমাদের দেশকে ঠিক করতে হবে। আমরা আজ রাতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। সবাই ভেবেছিলেন আমরা করতে পারব না। এটা আমাদের রাজনৈতিক জয়।

এ ছাড়া ট্রাম্প বলেন, প্রতিটা শহরে আমি আপনাদের জন্য লড়াই করব। এটি হবে আমেরিকার স্বর্ণসুযোগ তৈরির সুযোগ। এ সময় তিনি মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন বললে সমর্থকরাও একই স্লোগান দিতে থাকেন।

সুইং স্টেটগুলোর কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, নর্থ ক্যারোলিনা আমি ভালোবাসি, মিশিগান আমি আপনাদের ভালোবাসি। বিজয় ছাড়া আমাদের অন্য কোনো পথ ছিল না।  

আমাদের অনুভূতি চমৎকার বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প ভাষণে তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেলানিয়াকে এসময়  ধন্যবাদ জানান। ট্রাম্প তার ভাষণে সন্তানদের কথাও উল্লেখ করতে ভুলেননি।  সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিচার ও আদালত: প্রফেসর ড. এস কে আকরাম আলী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৪৮
বিচার ও আদালত প্রফেসর ড এস কে আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: বিচারালয় সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রধান মাধ্যম হলেও এটি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট সমাজের আইন, প্রথা এবং ঐতিহ্যের উপর। এছাড়াও, আইনজীবী ও বিচারকদের ভূমিকা বিচার ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায়বিচারের অন্যতম মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।  

বাংলাদেশে আদালত এবং বিচার ব্যবস্থার বিবর্তনের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, দিল্লি সুলতানাত ও মুঘল আমলে বিচার ব্যবস্থার অস্তিত্ব ছিল। উভয় আমলে মুসলিম শাসকরা ন্যায়বিচারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে আজকের মতো পেশাদার আইনজীবী সেই সময়ে ছিল না।  

আমাদের বর্তমান বিচার ব্যবস্থা মূলত ব্রিটিশ শাসনের অবদান। ব্রিটিশদের থেকে আমরা দাপ্তরিকভাবে তাদের আইনি কাঠামো উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। সিভিল প্রসিডিউর কোড (CPC) এবং ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড (CRPC) উভয়ই ব্রিটিশ প্রশাসক স্যার ম্যাকলে-এর একক অবদান, যিনি নিজে আইনজীবী ছিলেন না, বরং একজন ইতিহাসবিদ ছিলেন। ব্রিটিশরাই প্রথম আমাদের এখানে পেশাদার আইনজীবীদের প্রতিষ্ঠান চালু করেন।  

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই ব্রিটিশ ভারতের আইনি ও বিচার ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে। উভয় দেশই তাদের নিজ নিজ আইনি কাঠামোতে বড় কোনো পরিবর্তন আনার প্রয়োজন অনুভব করেনি। পাকিস্তান ও ভারত উভয়ই ব্রিটিশদের প্রতিষ্ঠিত আইনের শাসন অনুসরণ করার চেষ্টা করেছে।  

কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ পুরোনো আইনি কাঠামো থেকে সরে এসে সরকার-নির্ভর আদালত পরিচালনার চেষ্টা করে। প্রথমবারের মতো আইনের শাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আদালতগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।  

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা হয়। তিনি আদালতগুলোকে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার উদ্যোগ নেন এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালান। তার পরবর্তী শাসক এরশাদও সেই কাঠামো অনুসরণ করেন।  

তবে এরশাদের পতনের পর থেকে বিচার ব্যবস্থায় অবনতি শুরু হয়, যদিও তা সাধারণ মানুষের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা শাসনামলে।

আদালতগুলোকে আওয়ামী আদালত হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এ সময় বিচার ব্যবস্থা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং আদালতগুলো শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার হাতিয়ারে পরিণত হয়। জনগণ এ সময় চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয়।  

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর বিচার ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা দেখা দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, তবে নিম্ন আদালত এখনো আওয়ামীপন্থী বিচারকদের প্রভাবমুক্ত নয়। নিম্ন আদালতে দলীয়করণ থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন।  

আমরা আশা করি, শীঘ্রই আইনের শাসন পুরোপুরি ফিরে আসবে এবং বিচার ব্যবস্থা তার পবিত্র দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে এবং সামনের দিনগুলোতে আদালতগুলোতে একটি উজ্জ্বল দিন দেখা যাবে।  

 

সম্পাদক, সামরিক ইতিহাস জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক