a
ফাইল ছবি
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ইরানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এই হুমকির পাল্টা জবাব দিয়েছে ইরান। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী-বা আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, প্রতিরক্ষানীতিতে শত্রুদের যেকোনো হঠকারী পদক্ষেপের ‘তাৎক্ষণিক, গুরুতর ও শক্তিশালী জবাব’ দেওয়া হবে। খবর ইরনার।
বুধবার পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালিতে মোতায়েন আইআরজিসি’র নৌসেনাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি পরিদর্শনের পর এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। তিনি বলেছেন, ‘ইরানকে হুমকি দিয়ে যারা কথা বলছে বিশেষ করে দখলদার ইসরায়েলের জেনে রাখা উচিত যে কোনো স্থানে যে কোনো মাত্রার হামলার দাঁতভাঙা জবাব দিতে তেহরান প্রস্তুত রয়েছে। ইরানের স্বার্থে আঘাত হানা হবে অথচ তেহরান তার জবাব দেবে না- এমন দিনের অবসান হয়েছে। ইরানের শত্রুরা যেন আর কোনোদিন সেই দিনগুলো ফিরে আসার স্বপ্নে বিভোর না হয়।’
উল্লেখ্য. এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনেট সেনাবাহিনীর উত্তর কমান্ডে ভ্রমণকালে তেহরানকে লক্ষ্য করে এক হুমকিতে বলেন, সমস্ত মধ্য প্রাচ্যে যখন আগুন জ্বলছে তখন তারা (ইরান) শান্ত্বভাবে তেহরানে বসে থাকতে পারে না। ইসরায়েল একাই দেখে নেবে ইরানকে। আমরা ইরানের বিরুদ্ধে বিশ্বকে সমবেত করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে আমরা এককভাবেও কাজ করতে জানি। ইরান জানে আমাদের নিরাপত্তার হুমকি হলে তার জন্য কী মূল্য দিতে হয়।
ফাইল ছবি
পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা ৪টি দেশ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-তে যে প্রস্তাব পাস করেছে তার কারণে ইরান নিজের অবস্থান থেকে ১ ইঞ্চিও সরে আসবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসি।
আইএইএ’র বোর্ড অব গভর্নর্সের ত্রৈমাসিক বৈঠকে আমেরিকা ও তিন ইউরোপীয় দেশ ইরানবিরোধী প্রস্তাবটি ভোটাভুটিতে পাস হয়। চীন ও রাশিয়া কঠোরভাবে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও প্রস্তাবটিতে ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরানের তিনটি ‘অঘোষিত স্থানে’ কথিত ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং আইএইএ’কে পূর্ণ সহযাগিতা করার জন্য তেহরানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ইরানের চহারমহাল ও বখতিয়ারি প্রদেশের রাজধানী শাহরে কোর্দ সফরের সময় এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট রায়িসি ভাষণ দেন। সেখানে তিনি আইএইএ-তে পাস হওয়া প্রস্তাব সম্পর্কে পশ্চিমাদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা গ্রিসের আদালতের রায় দেখেছেন। আপনাদের কাছে আর কতবার প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা ন্যায়সঙ্গত উপায়েই আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করে ছাড়ি?
তিনি আরো বলেন, আপনারা আর কতবার ইরানি জনগণকে পরীক্ষা করবেন? আর কতকাল আপনারা ইরানি কর্মকর্তাদের কথা কানে তুলবেন না? আপনারা কী মনে করেন যে, আইএইএ-তে প্রস্তাব পাসের কারণে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সরে আসব? ইরান এক পা-ও পিছিয়ে আসবে না।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন ও প্রেস টিভি।
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে পুলিশের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম মনিরুল ইসলাম। শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, নিহত কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার আহমেদ ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কর্তব্যরত ছিলেন। হঠাৎ তারা নিজেদের মধ্যে বাক-বিতন্ডায় ঝড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কনস্টেবল কাউসার নিজের সঙ্গে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল মনিরুলকে। গুলির বিকট শব্দে ডিপ্লোমেটিক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মনিরুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া জাপান অ্যাম্বাসির ড্রাইভার সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন এবং তিনি বর্তমানে ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ঘটনার সময় আমরা দূতাবাসের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনে আমরা বাইরে আসি। বাইরে আসার পর কাউসারকে দেখি ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু দূরেই পড়ে ছিল মনিরুলের মরদেহ। তখন আমরা কাউসারকে জিজ্ঞেস করি, কী হয়েছে। তখন তিনি বলেন ‘শালা (মনিরুল) নাটক করতাছে এমনি মাটিতে পড়ে আছে।’ এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যায়। এরই মধ্যে সবাই বুঝে যায়, কাউসারই মনিরুলকে গুলি করেছে। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করেন এবং দায়িত্বরত পুলিশ বলছেন আক্রমণকারী কনস্টেবলকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন