a
ফাইল ছবি
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ইরানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এই হুমকির পাল্টা জবাব দিয়েছে ইরান। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী-বা আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, প্রতিরক্ষানীতিতে শত্রুদের যেকোনো হঠকারী পদক্ষেপের ‘তাৎক্ষণিক, গুরুতর ও শক্তিশালী জবাব’ দেওয়া হবে। খবর ইরনার।
বুধবার পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালিতে মোতায়েন আইআরজিসি’র নৌসেনাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি পরিদর্শনের পর এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। তিনি বলেছেন, ‘ইরানকে হুমকি দিয়ে যারা কথা বলছে বিশেষ করে দখলদার ইসরায়েলের জেনে রাখা উচিত যে কোনো স্থানে যে কোনো মাত্রার হামলার দাঁতভাঙা জবাব দিতে তেহরান প্রস্তুত রয়েছে। ইরানের স্বার্থে আঘাত হানা হবে অথচ তেহরান তার জবাব দেবে না- এমন দিনের অবসান হয়েছে। ইরানের শত্রুরা যেন আর কোনোদিন সেই দিনগুলো ফিরে আসার স্বপ্নে বিভোর না হয়।’
উল্লেখ্য. এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনেট সেনাবাহিনীর উত্তর কমান্ডে ভ্রমণকালে তেহরানকে লক্ষ্য করে এক হুমকিতে বলেন, সমস্ত মধ্য প্রাচ্যে যখন আগুন জ্বলছে তখন তারা (ইরান) শান্ত্বভাবে তেহরানে বসে থাকতে পারে না। ইসরায়েল একাই দেখে নেবে ইরানকে। আমরা ইরানের বিরুদ্ধে বিশ্বকে সমবেত করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে আমরা এককভাবেও কাজ করতে জানি। ইরান জানে আমাদের নিরাপত্তার হুমকি হলে তার জন্য কী মূল্য দিতে হয়।
ফাইল ছবি
চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে গুগল ম্যাপের কিছু অংশ সাময়িকভাবে অচল করা হয়েছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে গুগল জানায়, এর ফলে ট্রাফিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন স্থান কতটা ব্যস্ত সে সম্পর্কে লাইভ তথ্য সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
দেশটির আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে মানুষের সুরক্ষার জন্য দোকান ও রেস্তোরাঁগুলোর মতো ব্যস্ত স্থানগুলোতে ট্রাফিক স্তর এবং লাইভ তথ্য প্রদান কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী বন্ধ করা দিয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ পরিচালনার নামে হামলা করে রাশিয়ান সেনা বাহিনী। ইউক্রেনের শহরগুলোতে মিসাইল হামলার ফলে সেনাসহ হতাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এদিকে, মহিলা এবং শিশু প্রায় ৪ লক্ষাধিক ইউক্রেনীয় নাগরিক প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে। গুগলসহ বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তারা এ অঞ্চলে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য নতুন আরও ব্যবস্থা গ্রহন করবে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
সিলেটের আবাসিক হোটেল যেন ‘মিনি পতিতালয়’। পুলিশ প্রতিনিয়ত অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছে না অসামাজিক কাজ। চিহ্নিত হোটেলগুলোর মালিকদের ডেকে এনে পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে- চিহ্নিত হোটেল মালিকরা সতর্ক না হওয়ায় পুলিশ আবাসিক হোটেলে অভিযান জোরদার করেছে। তিনটি অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৪ জন নারী-পুরুষকে। সিলেটের ৩ এলাকার আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। এর মধ্যে রয়েছে সিলেটের উত্তর অংশের সুরমা মার্কেটের দু’টি আবাসিক হোটেল ও বন্দরবাজার এলাকার কয়েকটি হোটেল।
এ ছাড়া অপরাধ জোন দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি হোটেলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- এসব হোটেলের মালিকদের পুলিশের বড় কর্তারা সতর্ক করলেও মূলত থানা ও ফাঁড়ির মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা এই অসামাজিক কাজে শেল্টার দিয়ে থাকে। লালদিঘীর পাড়ের হোটেল সোনালী।
গত এক বছরে একাধিকবার ওই হোটেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। প্রতিবারই অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে অসামাজিক কাজে নিয়োজিত নারী ও পুরুষকে। অভিযান শেষ হওয়ার পর আবার শুরু হয় অবৈধ ব্যবসা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন শুধু অসামাজিক কাজ নয়, এসব হোটেলে মাদকের হাট গড়ে তোলা হয়েছে। ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করা হচ্ছে এসব হোটেলে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সিলেটের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। গত রোববার সন্ধ্যারাতের দিকে সোনালী আবাসিক হোটেলে ফের অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ যুবক ও ৩ যুবতীকে গ্রেপ্তার করেছে।
বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন- হোটেল সোনালীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের অভিযোগ ওঠায় মালিকপক্ষকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সতর্ক হয়নি। সুরমা মার্কেটের নিউ সুরমা আবাসিক হোটেল। সিলেটের পরিচিত অসামাজিক কাজের স্থান এটি। অনেকটা প্রকাশ্যেই ওই হোটেলের মালিকপক্ষ চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কাজ।
গত ৬ মাসে অন্তত ৬-৭ বার এই হোটেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কখনো কখনো পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ হোটেলের অভিযানে অংশ নেন। এরপরও হোটেলে অসামাজিক কাজ বন্ধ হয়নি। বরং মাঠপর্যায়ের পুলিশের শেল্টার নিয়ে হোটেলের মালিকপক্ষ প্রকাশ্যেই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত সুরমা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। অভিযোগের পর অভিযোগ ওঠায় গত বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই হোটেলে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় হোটেল থেকে ২ যুবতী ও ৬ যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে এসএমপি অ্যাক্টের ৭৭ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে।
অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আরেক নিরাপদ জোন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি আবাসিক হোটেল। এর মধ্যে হোটেল তিতাস ও হোটেল প্রভাতী হচ্ছে পরিচিত হোটেল। ওই হোটেলে গত ৩ মাসে একাধিকবার অভিযান চালালেও অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরস্থ তিতাস হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ৩ জন নারী ও ৭ পুরুষসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই মো. রোকনুজ্জামান চৌধুরী পিপিএম এর নেতৃত্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন- গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে গত মাসে হোটেল প্রভাতীতেও অভিযান চালানো হয়েছিল। এ সময় ওই হোটেল থেকে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবক-যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানিয়েছেন- অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ইতিমধ্যে নগরীর সবগুলো হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। যাতে কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত না থাকেন। এরপরও অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ না করায় পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। এসব হোটেলের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সুত্র: দৈনিক মানবজমিন (শেষের পাতায় প্রকাশিত)