a
সংগৃহীত ছবি
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে আগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কারখানার দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের জানান, তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে তা খুব দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৬ তলা ভবনজুড়ে। তখন ভবনের বিভিন্ন তলায় কর্মচারী ও কর্মকর্তারা আটকা পড়ে। কেউ কেউ প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে নিচে পড়ে আহত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট একেক করে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেনেন্স বিভাগের উপপরিচালক দেবাসীস রঞ্জন।
নিখোঁজদের স্বজনরা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে কারো সাথে কোন যোগাযোগ হয় নাই।
ফাইল ছবি
ভারি বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনাসহ জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে সবজি, আমনসহ বিভিন্ন ফসল। এ ছাড়া পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদীতীরবর্তী ভূঞাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৫৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধলেশ্বরীর নদীর পানি ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পুংলী নদীর পানি ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বংশাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, যমুনাসহ সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ক্ষতি হচ্ছে সবজি, আমনসহ বিভিন্ন ফসল। এ ছাড়া পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী তীরবর্তী ভূঞাপুরসহ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেকেই ঘর সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন পার করছেন লোকজন।
সংগৃহীত ছবি
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে উপকূলের কাছে ওমান সাগরে যে জাহাজটি ‘ছিনতাই হওয়ার উপক্রম হয়েছিল’ সেটি এখন নিরাপদে রয়েছে এবং ছিনতাই নাটকের অবসান হয়েছে।
ব্রিটিশ মেরিটাইম এজেন্সি এক টুইটার বার্তায় লিখেছে, “যারা জাহাজটিতে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা এটি ছেড়ে চলে গেছে। জাহাজটি নিরাপদে আছে এবং ঘটনা শেষ হয়েছে।”
এর আগে একই সংস্থা দাবি করেছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরের অদূরে একটি ব্রিটিশ জাহাজ ‘সম্ভাব্য ছিনতাই’ হয়েছে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, পানামার পতাকাবাহী ‘অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেস’ তেল ট্যাংকার ছিনতাই হয়েছে। তারা আরও দাবি করেছিল, ওমান সাগরের এ ঘটনায় ‘ইরানের সামরিক বাহিনী অথবা তাদের অনুগত কোনও গোষ্ঠী’ জাহাজটিতে অনুপ্রবেশ করেছে এবং এটিকে ইরান উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তবে ইরান একটি বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাই করে কি উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় তা ব্রিটিশ সংস্থাটি সে সময় স্পষ্ট করতে পারেনি। বর্তমানে বিষয়গুলো তুলপার সৃষ্টি হওয়ায় এবং তাদের চাতুরতা ফাঁস হওয়ার ভয়ে এবার নিজেরাই ছিনতাই নাটকের অবসান ঘটাল।
এমনকি বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইসও বলেছিলেন, “যারা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এটির গতিপথ পরিবর্তন করেছে তারা সম্ভবত ইরানি।”
পশ্চিমা সূত্রগুলো জাহাজ ছিনতাই নাটকের অবসান ঘটানোর আগে লন্ডনস্থ ইরান দূতাবাস এক টুইটার বার্তায় বলেছিল, “পারস্য উপসাগর থেকে আমাদের সূত্রগুলোতে পাওয়া তথ্যমতে, ওই অঞ্চলে নতুন কোনো জাহাজে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেনি।”
বার্তায় আরও বলা হয়, “বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে যে কূটনৈতিক ছলচাতুরি খেলা হচ্ছে তা অত্যন্ত অন্যায়।”
এছাড়া, ওমান সাগরের কথিত জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইরানকে জড়িয়ে যে খবর প্রচার করা হয় তাকে ‘চরম অসত্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে।
আর ইরানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফাজল শেকারচি বলেছিলেন, ইরানবিরোধী নতুন হটকারিতার অজুহাত খুঁজতেই জাহাজ ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে।