a
ফাইল ছবি
পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা ৪টি দেশ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-তে যে প্রস্তাব পাস করেছে তার কারণে ইরান নিজের অবস্থান থেকে ১ ইঞ্চিও সরে আসবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসি।
আইএইএ’র বোর্ড অব গভর্নর্সের ত্রৈমাসিক বৈঠকে আমেরিকা ও তিন ইউরোপীয় দেশ ইরানবিরোধী প্রস্তাবটি ভোটাভুটিতে পাস হয়। চীন ও রাশিয়া কঠোরভাবে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও প্রস্তাবটিতে ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরানের তিনটি ‘অঘোষিত স্থানে’ কথিত ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং আইএইএ’কে পূর্ণ সহযাগিতা করার জন্য তেহরানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ইরানের চহারমহাল ও বখতিয়ারি প্রদেশের রাজধানী শাহরে কোর্দ সফরের সময় এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট রায়িসি ভাষণ দেন। সেখানে তিনি আইএইএ-তে পাস হওয়া প্রস্তাব সম্পর্কে পশ্চিমাদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা গ্রিসের আদালতের রায় দেখেছেন। আপনাদের কাছে আর কতবার প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা ন্যায়সঙ্গত উপায়েই আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করে ছাড়ি?
তিনি আরো বলেন, আপনারা আর কতবার ইরানি জনগণকে পরীক্ষা করবেন? আর কতকাল আপনারা ইরানি কর্মকর্তাদের কথা কানে তুলবেন না? আপনারা কী মনে করেন যে, আইএইএ-তে প্রস্তাব পাসের কারণে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সরে আসব? ইরান এক পা-ও পিছিয়ে আসবে না।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন ও প্রেস টিভি।
ফাইল ছবি । ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কাসেম সোলেমানী
তুর্কি পার্লামেন্ট ২ জানুয়ারি লিবিয়ায় সৈন্য মোতায়েনের অনুমোদন দেওয়ায় ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার টিকিয়ে রাখার লক্ষে তুর্কি সেনারা লিবিয়ার পথে রওয়ানা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। খবর এএফপি’র।
ন্যাটো সমর্থিত আন্দোলনে ২০১১ সালে স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর থেকেই লিবিয়ায় বর্তমানে বিশৃংখলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমের প্রশাসন একক ক্ষমতা গ্রহণ করতে লড়াই চালিয়ে আসছে।
বর্তমানে ফয়েজ আল-সরাজের নেতৃত্বে ত্রিপোলি সরকার ক্ষমতা চালিয়ে আসলেও এপ্রিল মাস হতে সামরিকভাবে শক্তিশালী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতার বাহিনীর ব্যাপক আক্রমণে শিকার হয়ে আসছেন। এদিকে তুরস্কের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সৌদি আরব, মিশর, সংযোগ আমিরাত সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে খলিফার হাফতার বাহিনীকে সহযোগিতা করায় লিবিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রাণহানি ঘটছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোগানের দাবি, ত্রিপোলির পক্ষ থেকে সাহায্য চাওয়ায় লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত ন্যাশনাল অ্যাকর্ড সরকারের স্থিতিশীলতা আনতে সামরিক সহায়তা দিতে তাদের এ পদক্ষেপ।
অপরদিকে তুর্কি সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি জানিয়েছে গ্রিস, সাইপ্রাস ও ইসরাইল। প্রথমদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তুর্কি সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানালেও ৩ জানুয়ারি শুক্রবার বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রে ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশের পর থেকে নিজেকে ও নিজের দেশকে রক্ষায় বর্তমানে সবচেয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকায় তুর্কি সৈন্য লিবিয়ায় মোতায়েনের ব্যাপারে ঐ তিন দেশের সাথে আর কোন উচ্চবাচ্য করছেননা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণ গ্রামের অসৎ মাতব্বরের সেই দুষ্টু ছেলেটির ন্যায়। যে পাশের ঘরে আগুন লাগিয়ে মাঁচার নীচে লুকিয়ে থাকার মতো। পাশের ঘর আগুন লাগালে সেই আগুন যে নিজের ঘরে লাগবেনা তা হলফ করে বলা যাবেনা। বর্তমানে ট্রাম্প ও তার প্রশাসন ইরানের জেনারেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে শক্তি, সাহস ও নৈতিকতা সব থেকে নিজেকে আড়াল করতে বাধ্য হচ্ছেন। যেমন- লিবিয়ায় তুর্কি সেনারা অবস্থান নেওয়ায়, গ্রিস, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলে হুশিয়ারি দিলেও আমেরিকা একেবারে নিরব।
অপরদিকে মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত ইরাক ত্যাগের নির্দেশের পাশাপাশি কাশেম সোলামানিকে হত্যার পর পরই ভারত মহাসাগরে ও ওমান উপসাগরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে ইরান, চীন ও রাশিয়া।
ইরাকের পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। বিপরীতে ট্রাম্প ইরাককে অবরোধের হুমকি দিলেও জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা খুব একটা সহায়ক হবেনা। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এই মুহুর্তে যুুক্তি বাদ দিয়ে হুমকি প্রদান করে কোন কাজ হবেনা।
এই মূহুর্তে ইঙ্গো-মার্কিন বলয়ের দেশগুলো বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলো ইরানের বিরাট হুমকির মধ্যে থাকলেও মার্কিনীদের সহযোগিতা আগের মতো আশা করা দূরুহ। ফলে উভয় সংকটের মাঝে তাদের বর্তমান অবস্থান পরিস্কার করাও খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের মাঝেই ভারতের নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্পকে ফোন করেছেন। যদিও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন মোদি। পাকিস্তানও সতর্কতার সহিত তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। সৌদি আরব ও ওমান কাসেম সোলেমানিরক নিহতের ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটানোর আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে মালয়েশিার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মাহাথী ব্যতিক্রমধর্মী মন্তব্য করেছেন। তিনি সোলাইমানি হত্যাকে সৌদির সাংবাদিক খাসোগীর হত্যার মতোই বে-আইনী আখ্যা দিয়েছেন এবং সারা বিশ্বের মুসলমানকে এখন এক জোট হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, ইরানের কুদস ফোর্সের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকান্ডকে বিনা জবাবে ছেড়ে দেযা ঠিক হবেননা। ইরানের চারপাশে রয়েছে অজস্র মার্কিন লক্ষ্যবস্তু। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোতে স্থাপিত যে কোন মার্কিন স্থাপনায়, সৈন্য, বিশেজ্ঞগণ ইরানের সহজ নিশানায়।
এসব দেশে ইরান হুকুম না দিলেও সেখানে উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভয়ানক হুমকি হিসেবেই কাজ করবে। ভীত সন্ত্রস্ত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে নিরাপত্তা হুমকি মনে করে গ্রিস সফর সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি দেশে ফিরে যান। উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়াসহ মার্কিনবিরোধী দেশগুলো তাদের অমীমাংসিত অ্যাসাইনমেন্টগুলো সম্পন্ন করার চেষ্টা করলেও পূর্বের ন্যায় অপরাধী বা অপবাদী খ্যাত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতা করার সুযোগ কমই থাকবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
তারা আরও বলেন, লিবিয়ায় তুর্কি সেনাদের মোতায়েনে বর্তমানে আমেরিকার নিরবতা সেটাই প্রমাণ করে এবং অদূর ভবিষ্যতে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে বিশ্বের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামরিকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসসূহ।
খোরশেদ আলম: কলাম লেখক ও বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকানিউজ২৪/প্রকাশ: জানুয়ারি ৭, ২০২০
ফাইল ছবি
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বিয়ে করেছেন, এমন গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই চারদিকে শোনা যাচ্ছে। গাজীপুরের রাকিব সরকার নামের একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের সঙ্গেই নাকি ঘর বেঁধেছেন তিনি। সেখানকার কিছু সূত্রে গণমাধ্যমে খবরটি উঠে আসে। যদিও রাকিবের সঙ্গে সম্পর্ককে স্রেফ বন্ধুত্ব বলেই দাবি করেছেন মাহি।
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল মাহি ও রাকিব সরকারের একটি ছবি। যেখানে মাহিকে দেখা যাচ্ছে শাড়ি পরা অবস্থায় এবং রাকিব আছেন পাঞ্জাবীতে।
নেটিজেনদের মতে, এটা তাদের বিয়ের সময়ে তোলা ছবি। ঘরোয়া আয়োজনে তারা বিয়ে করেছিলেন। সে কারণে তেমন সাজসজ্জা নেই। মাহি কিংবা রাকিব নিশ্চিত না করলেও অন্য একটি ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে এই ছবির সমীকরণ মেলালে বিয়ের গুঞ্জনটা পোক্ত হয়। গত ১১ জুন ফেসবুকে মাহি একটি শাড়ি পরে ছবি দিয়েছিলেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে গান, সিনেমা, সবখানে অনুভব করি। আলহামদুলিল্লাহ্’।
মজার ব্যাপার হলো, তিন মাসের আগের ওই ছবিতে মাহির পরনে যে শাড়ি ছিল, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ছবিতেও ঠিক একই শাড়ি। তাই নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিচ্ছেন। অধিকাংশই ধারণা করছেন, দুটি ছবিই বিয়ের সময়ের। তবে গোপন রেখেছেন নায়িকা।
কয়দিন আগেই তিনি বলেছেন, ১৩ সেপ্টেম্বর একটি সারপ্রাইজ দেবেন। অনেকেই মনে করছেন, এদিন বিয়ের কথাই প্রকাশ্যে আনবেন মাহি। উল্লেখ্য, ভালোবেসে সিলেটের ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ অপুকে ২০১৬ সালে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। চলতি বছরের ২৩ মে তিনি জানান, অপুর সঙ্গে আর থাকছেন না। তারা বিবাহ বিচ্ছেদ করছেন।