a
ফাইল ছবি
পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা ৪টি দেশ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-তে যে প্রস্তাব পাস করেছে তার কারণে ইরান নিজের অবস্থান থেকে ১ ইঞ্চিও সরে আসবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসি।
আইএইএ’র বোর্ড অব গভর্নর্সের ত্রৈমাসিক বৈঠকে আমেরিকা ও তিন ইউরোপীয় দেশ ইরানবিরোধী প্রস্তাবটি ভোটাভুটিতে পাস হয়। চীন ও রাশিয়া কঠোরভাবে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও প্রস্তাবটিতে ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরানের তিনটি ‘অঘোষিত স্থানে’ কথিত ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং আইএইএ’কে পূর্ণ সহযাগিতা করার জন্য তেহরানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ইরানের চহারমহাল ও বখতিয়ারি প্রদেশের রাজধানী শাহরে কোর্দ সফরের সময় এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট রায়িসি ভাষণ দেন। সেখানে তিনি আইএইএ-তে পাস হওয়া প্রস্তাব সম্পর্কে পশ্চিমাদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা গ্রিসের আদালতের রায় দেখেছেন। আপনাদের কাছে আর কতবার প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা ন্যায়সঙ্গত উপায়েই আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করে ছাড়ি?
তিনি আরো বলেন, আপনারা আর কতবার ইরানি জনগণকে পরীক্ষা করবেন? আর কতকাল আপনারা ইরানি কর্মকর্তাদের কথা কানে তুলবেন না? আপনারা কী মনে করেন যে, আইএইএ-তে প্রস্তাব পাসের কারণে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সরে আসব? ইরান এক পা-ও পিছিয়ে আসবে না।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন ও প্রেস টিভি।
ফাইল ছবি: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া থেকে কম মূ্ল্যে তেল আমদানি করছে ভারত।
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বারবারই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতকে। সবশেষ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের চলতি ব্রাসেলস সফরে বিষয়টি ফের সামনে আসে। এ সময় রুশ অপরিশোধিত তেল থেকে ভারতীয় পরিশোধিত তেলজাত পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান জোসেফ বোরেল। এরপরেই তার কড়া জবাব দিয়ে জয়শঙ্কর তাকে কার্যত ইউরোপীয় কাউন্সিলের নিয়মকানুনের পাঠ পড়িয়ে শুনান।
জোসেফ বোরেলের প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের বিধানগুলো দেখুন। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, রুশ অপরিশোধিত তেল তৃতীয় কোনো দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হলে তাকে আর রুশ তেল হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।
রাজনৈতিকভাবে বিতর্ক হলেও আমদানি-রফতানির জন্য বিদেশি মুদ্রার আয়-ব্যয়ের ঘাটতি বা ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’ ভারত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে রাশিয়া থেকে এই তেল আমদানির জন্যই। কারণ, কম বিদেশি মুদ্রা খরচে রাশিয়া থেকে তেল কিনে তাকে শোধন করে, একটা বড় অংশ বিদেশে রফতানি করে বিদেশি মুদ্রা আয়ও হয়েছে।
বেলজিয়ামের রাজধানীতে এক বাণিজ্য-প্রযুক্তি আলোচনায় যোগ দেন জয়শঙ্কর। তার সঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং কেন্দ্রীয় উদ্যোগ, দক্ষতা উন্নয়ন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোসেফ বোরেলও।
বৈঠকের আগেই এক সাক্ষাৎকারে বোরেল বলেছিলেন, ভারত রুশ তেল কেনে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তারা রুশ তেল থেকে তৈরি ডিজেলের মতো পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য ইউরোপে বিক্রি করবে, এটা ঠিক নয়। এর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এর জবাব দেন জয়শঙ্কর। সেই সময়ে অবশ্য বোরেল ছিলেন না। তার জায়গায় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত কমিটির কার্যনির্বাহী সহ-সভাপতি মার্গ্রেথ ভেস্টেগার। জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার আইনগত ভিত্তি সম্পর্কে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারত বন্ধু। বন্ধু হিসেবে এই নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। পরস্পরকে দোষারোপ করা ঠিক নয়।
এর আগে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি করা নিয়েও আপত্তি তুলেছিল ইইউ। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কমানোর জন্য নয়াদিল্লিকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা ধারাবাহিক ভাবে চলছে। তখনও রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পক্ষে কঠোর যুক্তি দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ইউরোপ এক বিকালে যে পরিমাণ তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে, ভারত তা করে এক মাসে। ভারতের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোর রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক বেশি, সে সময় তথ্য পেশ করে দেখিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি: খালেদা জিয়া
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও শারীরিক ভাবে ভালো আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার করোনার কোনো উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার রক্তে কোনো ঝুঁকি আছে কি না, তা জানার জন্য বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন ডা. আল মামুন।
আজ বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ডা. আল মামুন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে রাতে জরুরি মেডিকেল বোর্ড আহ্বান করা হয়েছে। রক্তের বায়োকেমিক্যাল স্যাম্পলের রিপোর্টে কোনো ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনো তাকে কোনো হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রয়োজন নেই।