a
ফাইল ছবি । পোপ ফ্রান্সিস
চলমান ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাকান্ডকে "অগ্রহণযোগ্য" বলে মন্তব্য করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বর হামলা নিয়ে এই প্রথমবার মুখ খুললেন পোপ ফ্রান্সিস। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্রে জানা যায়, সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে সাপ্তাহিক ভাষণে বিশেষত শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, "তারা ভবিষ্যৎ গড়তে চায় না, বরং এটি ধ্বংস করতে চায়"।
তিনি আরো বলেন, গাজায় সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলায় শিশুসহ অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি শান্তি বজায় রাখতে এবং অস্ত্রের ঝনঝনানির অবসান ঘটাতে এর সঙ্গে জড়িতদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
আজ রবিবার (১৬ মে) ফিলিস্তিনির গাজা উপত্যকায় চালানো বিমান হামলা অন্তত ১৩ শিশুসহ ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া মাত্র ১ঘন্টা আল্টিমেটাম দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এপি ও আল জাজিরার ভবন।
গত ৭ দিন টানা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে অন্তত ৫২ জন শিশু। আহত হয়েছে হাজারের বেশি মানুষ। গ্রেফতার করা হয়েছে অগনিত নর-নারীকে।
ফাইল ছবি
ইসরাইলের আকাশের ওপর টানা ৪০ মিনিট অবস্থানের পর লেবাননে অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছে হিজবুল্লাহর পাঠানো ড্রোন। লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন-হিজবুল্লাহ শুক্রবার এ দাবি করেছে। খবর আনাদোলুর।
লেবাননের আল-মানার টিভি চ্যানেলে প্রচার হিজবুল্লার এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে আকাশে সফলভাবে নজরদারির পর অক্ষত অবস্থায় ড্রোন নিরাপদে লেবাননের আকাশে ফিরে আসে।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, শুক্রবার ভোরে লেবাননের আকাশ থেকে একটি ড্রোন তাদের আকাশ সীমায় প্রবেশ করে। তারা এটাকে শনাক্ত করার পর গুলি করে ভূপাতিত করার আগেই তা লেবাননে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচে আদ্রায়ি বলেছেন, লেবানন থেকে আসা ড্রোনটি শনাক্ত করার পর ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ধংস করতে কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।
এদিকে, হিজবুল্লাহ সামরিক দিক থেকে এটাকে তাদের বিরাট এক সাফল্য হিসেবে মনে করছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
টানা দেড় মাস ধরে চলা যুদ্ধে প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে আলোচনার বসতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরাইল। সোমবার ইসরায়েলভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল কানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করে নিতেই ইসরাইল সমঝোতা আলোচনা রাজী হয়।
উল্লেখ করা হয়, হামাস মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে রাজি হলে ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও ছেড়ে দেয়া হবে। তবে এব্যাপারে হামাস এখনও প্রত্রিক্রিয়া জানায়নি।
ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকেও একই ধরণের খবর দেয়া হয়েছিল। জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে। সূত্র: ইত্তেফাক