a ইসরায়েলের গ্যাসক্ষেত্রে আগুন
ঢাকা মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩২, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইসরায়েলের গ্যাসক্ষেত্রে আগুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১, ১০:৫৬
ইসরায়েলের গ্যাসক্ষেত্রে আগুন

ফাইল ছবি

আজ ইসরাইলের হাইফা শহরের একটি গ্যাস ক্ষেত্রের আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। হাইফার এলাকার আশেপাশে বসবাসকারী ইসরায়েলিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ছবি শেয়ার করেছেন। তারা বলছেন, গ্যাস ফিল্ডের প্ল্যাটফর্মে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

রুশ বার্তাসংস্থা স্পুটনিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইসরাইলের গ্যাস ফিল্ডের আগুনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

ইসরায়েলি আক্রমনের জবাবে ফিলিস্তিনিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিতরই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। তবে সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, কারিগরি ঝামেলার জন্যই উক্ত ঘটনা ঘটেতে পারে এবং এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

দুই সপ্তাহ পূর্বে ইসরায়েলের হাইফার এলাকায় একটি তেল শোধনাগারে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল এবং এর ফলে সেখানে ব্যাপক পরিমাণ  ক্ষয়ক্ষতি হয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণে পুরো এলাকায় তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। সূত্র: পার্সটুডে ও স্পুটনিক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আরও পড়ুন

আমেরিকা-ব্রিটেন হামলা করেছে ইমেয়েনে, সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১০:৫০
আমেরিকা-ব্রিটেন হামলা করেছে ইমেয়েনে, সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব

ফাইল ছবি

আরব লোহিত সাগর অঞ্চলে চলমান সামরিক অভিযান ও ইয়েমেনের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে আমেরিকা ও ব্রিটেনের হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানায়।

বিবৃতিতে সৌদি আরব বলে, “যদিও লোহিত সাগর অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং নৌচলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা একটি আন্তর্জাতিক দাবি। কেননা, এটি সমগ্র বিশ্বের স্বার্থের ক্ষতি করে। তবে এই অঞ্চল যে ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষ করছে তার আলোকে সৌদি আরব লোহিত সাগরে আরও উত্তেজনা এড়ানো ও হামলার বিষয়ে সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছে।” সূত্র: বিবিসি, সিএনএন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইন্দোনেশিয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ভয়াবহ বিপর্যয়ে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১, ০৪:৫৯
ইন্দোনেশিয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ভয়াবহ বিপর্যয়ে

সংগৃহীত ছবি

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সেখানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে, ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে মুসলিম প্রধান দেশটি।

অনেক বাড়িঘরে পড়ে আছে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দেহ। যাদের মৃত্যুর সময় পাশে কেউ ছিল না। এর মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন অক্সিজেন সংকটে। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে এসেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

বিবিসির স্থানীয় সাংবাদিক ভালদিয়া বারাপুতরি বলছেন, গত দেড় বছরের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় সংক্রমণ এখন সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে হয়ে উঠেছে নতুন আরেকটি হটস্পট।

ইন্দোনেশিয়ায় এখনও পর্যন্ত ২৬ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে দেশটিতে।

অতি সংক্রামক ভারতীয় ‘ডেল্টা’ ভ্যারিয়েন্টের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে জাকার্তায় অগ্নিনির্বাপণ কর্মী উইরাওয়ানের কথা তুলে ধরা হয়। আগুন নেভানোর পরিবর্তে তিনি এখন করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার ও শেষকৃত্যের কাজ করছেন। গত এক বছরে আরও সাত সহকর্মীসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ কাজ করছেন তিনি।

উইরাওয়ান বলেন, বেশির ভাগ মানুষ একা একা মারা যাচ্ছেন। এর একটি কারণ হতে পারে তারা হয়তো প্রাথমিক চিকিৎসা পাননি, নয়তো হাসপাতাল থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশীরাই ফোন করে এসব মানুষের খবর দিচ্ছেন।

করোনার সর্বশেষ ঢেউ আসার আগে উইরাওয়ান প্রতিদিন দুই-তিনটি মৃতদেহ কবর দেওয়ার জন্য ফোন পেতেন। কিন্তু এখন প্রতিদিন ২৪টি ফোন পাচ্ছেন।

ইন্দোনেশিয়ার পরিসংখ্যান গ্রুপ ল্যাপোর কোভিড-১৯ বলছে, জুন মাস থেকে এখনো পর্যন্ত ৪৫০ জন বাড়িতে মারা গেছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে তারা সেলফ-আইসোলেশনে ছিলেন, কারণ হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি করানোর জায়গা ছিল না।

মে মাসের প্রথম দিকে ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ করেই মারাত্মক আকার ধারণ করে। তখন ঈদের ছুটিতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে যাতায়াত করেছে।

বিদেশ থেকে যারা ইন্দোনেশিয়ায় ঢুকছে তাদের কোয়ারেন্টাইন করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়াতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কখনও বন্ধ করা হয়নি। সম্প্রতি বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে আট দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি আগে ছিল ছিল পাঁচ দিন।

করোনায় দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ৬৯ হাজার মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষ মারা গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।

ইন্দোনেশিয়ার ভেতরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মূল কেন্দ্র হচ্ছে সবচেয়ে জনবহুল জাভা দ্বীপ। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সেখানকার একটি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কারণে ৬৩ জন করোনা রোগী মারা গেছে।

এসব মৃত্যুর ঘটনা পুরো দেশকে শোকাহত করেছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে সংবাদমাধ্যম মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছে। সূত্র: বিবিসি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক