a
ফাইল ছবি
আজ ইসরাইলের হাইফা শহরের একটি গ্যাস ক্ষেত্রের আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। হাইফার এলাকার আশেপাশে বসবাসকারী ইসরায়েলিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ছবি শেয়ার করেছেন। তারা বলছেন, গ্যাস ফিল্ডের প্ল্যাটফর্মে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
রুশ বার্তাসংস্থা স্পুটনিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইসরাইলের গ্যাস ফিল্ডের আগুনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ইসরায়েলি আক্রমনের জবাবে ফিলিস্তিনিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিতরই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। তবে সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, কারিগরি ঝামেলার জন্যই উক্ত ঘটনা ঘটেতে পারে এবং এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
দুই সপ্তাহ পূর্বে ইসরায়েলের হাইফার এলাকায় একটি তেল শোধনাগারে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল এবং এর ফলে সেখানে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণে পুরো এলাকায় তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। সূত্র: পার্সটুডে ও স্পুটনিক
প্রতিকী ছবি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি জাহাজে হামলা হয়েছে। হাইপেরিয়ন নামে এ জাহাজটি ইসরায়েল সরকারের পিসিসি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার ইসরায়েল ভিত্তিক গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, আরব আমিরাতের ফুজায়রার কাছে জাহাজটি হামলার শিকার হয়। আবার কোনো কোনো গণমাধ্যম জানিয়েছে এই হামলার জন্য ইরানকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেও ইসরায়েলের আরেকটি জাহাজে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে হামলা হয়েছিল। এসব ঘটনায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উ্দ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বলে জানা যায়।
ফাইল ছবি
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর সেনা শাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে দেশটির সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে দেশটির শক্তিশালী কারেন বিদ্রোহীরা।
এরই মধ্যে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখলে করেছে এই কারেন বিদ্রোহীরা।মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহীরা ঘাঁটিটি দখল করে নেয় বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহীদের এক কর্মকর্তা। খবর এএফপি’র।
সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীরা সারাদেশে ব্যাপক সমর্থন পায়। কয়েক দশক ধরে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসা বিদ্রোহীরা তাদের সমর্থন দেয়। বিদ্রোহীদের মধ্যে অন্যতম হল কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। তারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে আসছে।
কারেন রাজ্যের সালবিন নদীর কাছে মঙ্গলবার সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। নদীটি মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড দুটি দেশকে পৃথক করেছে। নদীর থাই অংশের বাসিন্দারা জানায়, মিয়ানমার থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে তারা। কেএনইউ’র বিদেশ বিষয়ক প্রধান পাদোহ শো থো নী বলেন, ‘আমাদের সেনারা বার্মিজ সামরিক ক্যাম্প দখল করে নিয়েছেন।’
এদিকে, মিয়ানমারের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় স্থানীয়রা বাড়িঘর ছেড়ে অন্য শহরের উদ্দেশে ছুটে যাচ্ছেন। সকালে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকেই স্থানীয়রা এলাকা ছাড়া শুরু করেন। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে কারেন সংঘর্ষ তীব্রতর হয়েছে। এতে ২৪ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে নদী পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব বিদ্রোহীদের আবার নিজস্ব মিলিশিয়া বাহিনীও রয়েছে।