a
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, শুক্রবার রাতে ইহুদিবাদী ইসরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক লক্ষ্য করে যে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে। এরমধ্যে ২১টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয় সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী।
সিরিয়ায় রাশিয়ার রিকনসিলেশন সেন্টারের উপপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল ভাদিম কুলিত এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে লেবাননের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী এফ-১৫ বিমান থেকে দামেস্ক শহর লক্ষ্য করে ২৪টি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
কিন্তু সিরিয়ার সামরিক বাহিনী রুশ নির্মিত বাক-এম-২ই এবং পান্তশির এস-১ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে ২১টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে। সূত্র:পার্সটুডে ও জেরুজালেম পোস্ট
ফাইল ছবি
রাশিয়ায় প্রাণঘাতী অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে চীন। এ ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্র। এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক।
সিবিএস নিউজকে এ খবর দিয়েছেন সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস। তিনি বলেন, রাশিয়ায় দ্রুত অস্ত্র পাঠানোর ব্যপারে সিদ্ধান্ত দেবে চীন সরকার। তবে তারা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি। গত শুক্রবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ায় ড্রোন ও যুদ্ধাস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে চীন সরকার। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তিনটি সূত্র সিএনএনকে জানায় ।
এর আগে মিউনিখ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে চীনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তার অভিযোগ আনেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযোগ নাকচ করে উল্টো ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দোষারোপ করছে চীন। সূত্র: যুগান্তর
গঙ্গা নদী / ফাইল ছবি
এ যেন এক হরর কাহিনী বাস্তবে ধরা দিল মানুষের সামনে। গতকাল সোমবার ভারতের বিহার রাজ্যে গঙ্গা নদীতে আকস্মিকভাবে ভেসে উঠেছে ৪০টির বেশি লাশ,কিন্তু স্থানীয়দের দাবি এ সংখ্যা ১৫০ থেকেও বেশি। এই লাশগুলো করোনাভাইরাস আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল ১০মে সোমবার এই খবর প্রকাশ করে এনডিটিভি বলছে, করোনাভাইরাস ভারতে কী প্রভাব ফেলেছে, তারই যেন প্রকাশ ঘটল নদীতে লাশের এই বহরে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বিহার রাজ্যের বক্সারে গতকাল সোমবার সকালে গঙ্গা নদীতে লাশগুলো পাওয়া গেছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্থানীয় ব্যক্তিরা নদীতে এসব লাশ দেখতে পান। লাশগুলো পচেগলে ফুলে গেছে। সেখানে তখন ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা, লাশগুলো উত্তর প্রদেশ থেকে নদীর স্রোতে ভেসে এসেছে। মৃত লাশগুলো করোনা রোগীদের মরদেহ দাহ বা দাফনের জন্য জায়গা না পেয়ে সেগুলো নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে থাকতে পারেন স্বজনেরা।
বিহারের চৌসা জেলা কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন, ‘৪০ থেকে ৪৫টি লাশ ভাসতে দেখা গেছে।’ চৌসার মহাদেবা ঘাট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। সেখানে দাঁড়িয়েই কথা বলছিলেন অশোক কুমার। তিনি বলেন, লাশগুলো নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।কারও কারও মতে, লাশের সংখ্যা ১৫০–এর কাছাকাছি। স্থানীয় প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা কে কে উপাধ্যায় বলেন, ‘লাশগুলো ফুলে গেছে। লাশের অবস্থা দেখে বুঝা যাচ্ছে সম্ভবত পাঁচ থেকে সাত দিন ধরে সেগুলো পানিতে নিমজ্জমান ছিল এখন ফুলে যাওয়াতে ভেসে উঠছে। প্রশাসন লাশগুলোকে সৎকারের ব্যবস্থা উদ্যোগ নিচ্ছে।