a
ফাইল ছবি
ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ জেনারেল আইজ্যাক ব্রিক বলেছেন, আগামীতে কোনো যুদ্ধে ইসরায়েল জিততে পারবে না। তিনি এ জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অপেশাদারসুলভ আচরণকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের বর্তমান সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের বিষয়ে অনাগ্রহী এবং তাদের আচরণ সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেছেন, 'সম্প্রতি আমি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেছি। সেখানে সেনাদের মধ্যে হতাশা, বিশৃঙ্খলা ও অনাগ্রহ দেখেছি। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে আগামীতে কোনো যুদ্ধেই জিততে পারবে না ইসরাইলিরা।'
সশস্ত্র বাহিনীতে যেসব সমস্যা ও ঘাটতি রয়েছে সেগুলো সমাধানে কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলেও জানান এই কমান্ডার। তার মতে, আগামীতে ইসরায়েল কোনো যুদ্ধে জড়ালে সেনাবাহিনীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটবে।
এর আগেও তিনি এ ধরণের সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। এছাড়া সম্প্রতি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত এই অবৈধ রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সূত্র : পার্সটুডে।
ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত দুটি অঞ্চল একত্রে ‘ডোনবাস’ নামে পরিচিত। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধী গড়ে তোলারও চেষ্টা করছে। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যারা ভাবছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবে— তারা ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার মতে এই যুদ্ধ এক সময় থেমে যাবে ঠিকই, তবে আগের সেই বিশ্বব্যবস্থা আর ফিরে আসবেনা।
রাশিয়ার রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বন্দর নগর সেন্ট পিটার্সবার্গে শুরু হয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের (এসপিআইইএফ) সম্মেলন। শুক্রবার সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পশ্চিমা অভিজাতরা ভাবছে (যুদ্ধের আগ পর্যন্ত) তাদের শাসিত ও প্রভাবপুষ্ট বিশ্ব ব্যবস্থা ছিল, তা চিরস্থায়ী এবং যুদ্ধ শেষ হলে তা ফের ফিরে আসবে; কিন্তু তারা আসলে এখনও অতীতের স্মৃতিতে ঝুলে আছে।’
‘কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কেউ যদি ভেবে থাকেন যে অশান্ত এই সময়ের শেষে সবকিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, তাহলে তিনি ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন; এমন হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এই মুহূর্তে বিশ্ব যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে—তা মৌলিক, গভীর ও অপরিবর্তনীয়।’
‘১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন ও শীতল যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে ঈশ্বরের বার্তাবাহক ভাবা শুরু করল; এমন এক বার্তাবাহক, যার কোনো বাধা নেই, বাধ্যবাধকতা নেই— কেবল আছে স্বার্থ; আর সেসব স্বার্থ তারা উচ্চারণ করত ধর্মীয় শ্লোকের মতো।’
‘কিন্তু তাদের এই উত্থানের ভেতরেই সুপ্ত ছিল ভবিষ্যৎ পতনের সম্ভাবনা। কারণ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি কেবল একটি জাতির স্বার্থে পরিচালিত হতে পারে না। এমনকি, সেই দেশ যদি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হয়, তবুও নয়।’
‘গত কয়েক দশকে বিশ্ব জুড়েই শক্তির নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। এটা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে।’ সূত্র: আরটি
সংগৃহীত ছবি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হেফাজতকে কোনো হরতাল করতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার রাতে সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে, শুক্রবার রাত ৮টায় পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে শনিবার (২৭ মার্চ) বিক্ষোভ ও রবিবার (২৮ মার্চ) হরতালের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পাশাপাশি জলকামানও ব্যবহার করা হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।