a
সংগৃহীত ছবি
চলতি বছরের মে মাসে ১১ দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় লড়াই হয়েছিল হামাসের ও ইসরায়েলি সেনাদের। সেই লড়াইয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘যুদ্ধাপরাধ’ বা ‘ওয়ার ক্রাইমে’র অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
ঘটনার ২ মাস পর এক রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে এই মানবাধিকার সংস্থাটি। হামাসের বিরুদ্ধেও অবশ্য একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। চলতি আগস্টে হামাসের বিষয়েও একটি আলাদা রিপোর্ট প্রকাশ করবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি বসবাসকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে প্রথম গোলমাল শুরু হয় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে। সে সময় গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইসরায়েলের সেই বিমান হামলা নিয়ে এর আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। এতে বহু নিরীহ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ওই ১১ দিনে ইসরায়েলের জনবসতি লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছিল হামাস। যার ফলে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হয়েছেন। অবশ্য আয়রন ডোম থাকায় বহু মানুষের প্রাণ বেঁচেছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
ফাইল ছবি
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ এখনো কোনো পক্ষ জয় পাইনি। প্রতিদিন শোনা যায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও মৃত্যুর খবর।
বৃস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতপ্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের শান্তির গন্তব্য বহুদূরে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে যুদ্ধের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে পুতিন সেই নির্দেশের সমর্থনে কথাও জানান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুতিন যখন জাতীয় ভাষণে জ্বালাময়ী কথা বলছেন, ঠিক তখনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি খেরসনে রাশিয়ার হামলার শোকে বিলাপ করছেন।
তবে আলজাজিরার বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন মত দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন কারও পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই। আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়াকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য জয় আসা উচিত বলেও মনে করেন অনেকে। এ ছাড়া রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে।
যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে আশঙ্কার যেন শেষ নেই দাবি করে তিনি বলেন, দুই দেশের কোনো পক্ষেরই জয়ের সরাসরি কোনো পথ পরিষ্কার নয়। ইউক্রেনকে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার লক্ষ্যে পরিবর্তন আসেনি বলে মনে করেন ওয়াশিংটনভিত্তিক জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পাভেল লুজিন।
জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসবিদ নিকোলায় মিত্রোখিন বলেন, মৌলিক দৃশ্যকল্প রাশিয়া কিংবা ইউক্রেন কোনো দেশই তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।
রাশিয়ার গোটা দোনবাস দখলের সক্ষমতা নেই বললেই চলে। দেশটি জাতি হিসেবে ইউক্রেনকে ধ্বংস করে দেবে এটি অনেকের ধারণা।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সাবেক উপপ্রধান ইহর রোমানেঙ্কো বলেন, জানুয়ারির শেষ দিক থেকে রাশিয়ান বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে। খারকিভের কিপিয়ানস্ক থেকে দীর্ঘ একটি যুদ্ধক্ষেত্র রয়েছে। পাঁচ দিক— কুপিয়ানস্ক, লেম্যান, বাখমুত, আদভিভকা ও শাখতার থেকে ভুহলেদার পর্যন্ত সব পথ, হাজার কিলোমিটারের বেশি হবে।
লন্ডনের কিংস কলেজের রুশ রাজনীতির অধ্যাপক গুলনাজ শরাফুতদিনোভা বলেন, যুদ্ধের শুরুতে থাকা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি সামরিক বিপর্যয় সত্ত্বেও এখনো পুতিনের অবস্থান সুদৃঢ়। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি: আসাদুজ্জামান খান কামাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোনো হরতাল করতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের বিষয় খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত আটটায় পুরনো পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে আগামীকাল শনিবার (২৭ মার্চ) বিক্ষোভ ও রোববার (২৮ মার্চ) হরতালের ঘোষণা দেয়। হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এ ঘোষণা দেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতা-কর্মী ও প্রতিবাদী মুসল্লিদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে মূলত এই বিক্ষোভ ও হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়।