a
ফাইল ছবি
ইহুদি বিরোধী পোস্ট শেয়ার করার অপরাধে গুগলের ‘বৈচিত্র্য বিভাগের’ প্রধানকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
কামাউ বব নামের ব্যক্তির ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ইহুদিদের ‘যুদ্ধ এবং হত্যার’ ক্ষুধা রয়েছে। ২০০৭ সালে ব্লগে শেয়ার করা এই মন্তব্যটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতাকে কেন্দ্র করে বিগত সপ্তাহে আবারও সামনে চলে আসে, যা ইতিমধ্যে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গুগলের এক মুখপাত্র বলেন, আগামী দিনগুলোতে কামাউ বব আমাদের বৈচিত্র্য বিভাগের সঙ্গে আর থাকছেন না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বৈচিত্র্য বিভাগের এক সদস্যের লেখা এমন পোস্টের তীব্র নিন্দা জানাই। যা ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষদের মনে ব্যাথার সৃষ্টি করেছে।
গুগলের এই কর্মকর্তা বলেন, লেখাটি সন্দেহাতীতভাবে বেদনাদায়ক। ইতিমধ্যে বব নিজ অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়, সে আমাদের বৈচিত্র্য বিভাগের সঙ্গে আর থাকছেন না।
সমাজে ইহুদি বিরোধীদের কোনো জায়গা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি এমন সময়ে প্রচার করা হয়েছে, যখন চারদিকে ইহুদিবিরোধী বিদ্বেষ ও হামলা ক্রমশ বাড়ছে। আমরা ইহুদি সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াচ্ছি এবং এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
ছবি: সংগৃহীত
মোবাইল ফোন চার্জে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরণের ঘটনায় চার ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়েছে তাদের মা-বাবাও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরুত জেলায়।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, কাজের সূত্রে মিরুতের পল্লবপুরম থানা এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করেন জনি। স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে সুখেই চলছিল তার সংসার। হোলির ছুটি থাকায় শনিবার জনি বাড়িতেই ছিলেন ও ঘটনার সময় জনির স্ত্রী খাবার বানাচ্ছিলেন। তাদের চার সন্তান সারিকা (১০) নীহারিকা (৪), সংস্কর (৬) ও কালু (৪) ঘরের ভিতরে খেলা করছিল।
জানা গেছে, মোবাইল চার্জে বসিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন জনি। ফলে তারা খেয়ালই করেননি সুইচ বোর্ডে স্ফুলিঙ্গ হচ্ছে। আচমকাই মোবাইল বিস্ফোরিত হয় ও সেটি বিছানায় পড়তেই আগুন ধরে যায়। আর সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় চার শিশুর। গুরুতর দগ্ধ হন জনি ও তার স্ত্রীও।
স্থানীয় বাসিন্দারা জনি ও তার স্ত্রীকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও, শিশুগুলোকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শর্ট সার্কিটের জেরেই মোবাইল ফোনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। আর সেই বিস্ফোরণে ঘরে আগুন ধরে যায়। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রাক পর্যবেক্ষক দলের তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইইউ’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ইইউ আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতির মাধ্যম এ তথ্য জানাতে পারে বলে তথ্যে প্রকাশ।
অন্য এক সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে যে, তাদের নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য উপযোগী বলে মনে করছে না।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে তাদের এই মতামত জানিয়েছে।
তবে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের তথ্য নিজস্ব সূত্র থেকে পাওয়ার সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ছোট আকারের একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হতে পারে। ২০১৮ সালেও নির্বাচনে ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
প্রাক পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, প্রাক পর্যবেক্ষক দলের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নির্বাচন সহায়ক পরিবেশ নেই বলে মনে করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় পর্যবেক্ষক দল পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ। তবে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের তথ্য নিজস্ব সূত্র থেকে পাওয়ার সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ছোট আকারের একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে পারে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে যোগোযোগ করা হলে তারা এধরণের কোনো চিঠি পায়নি বলে জানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও আমাদের কাছে মেইল বা সরাসরি কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। এসব চিঠি বেশির ভাগ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে ইসিতে আসে। সূত্র: ইত্তেফাক