a
ফাইল ছবি
কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত রাশিয়ার নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনায় ইউক্রেনকে ব্রিটেন সহায়তা করেছে বলে দাবি করেছে মস্কো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ড্রোন হামলার জের ধরে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব স্থগিত করে দিয়েছে রাশিয়া।
ক্রিমিয়া উপত্যকার সেভাস্তোপোল বন্দর থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির করিডোরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহর মোতায়েন করা হয়েছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, সেভাস্তোপোল উপকূলে ওই নৌবহরের ওপর একটি ড্রোন হামলা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। খবর আনাদোলুর।
সেভাস্তোপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোঝাইয়েভ বলেছেন, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে সেভাস্তোপোলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে।
তিনি বলেন, যতগুলো ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল, তার সব ভূপাতিত করা হয়েছে এবং কোনো বেসামরিক স্থাপনার ক্ষতি হয়নি। হামলায় কেউ হতাহতও হয়নি বলে রাজভোঝাইয়েভ দাবি করেছেন।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সবচেয়ে বড় শহরের ওপর ওই ড্রোন হামলার জন্য ব্রিটেন ও ইউক্রেন উভয়কে দায়ী করেছে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনের মিকোলাইভ অঞ্চলের ওচাকিভ শহরের মোতায়েন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
রাশিয়া আরও বলেছে, ইউক্রেনের বন্দরটি দিয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই রুশ বহর মোতায়েন করা হয়েছিল।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ড্রোন হামলার জের ধরে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব স্থগিত করে দিয়েছে রাশিয়া। তবে এ হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ব্রিটেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি তুরস্ককে দ্বিমুখী হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। খবর আল জাজিরা।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তুরস্ক একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেনে দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে মধ্যস্থ্যতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। আবার অন্যদিকে তারা তাদের দেশে রাশিয়ার পর্যটকদের দুই হাত উজাড় করে স্বাগত জানাচ্ছে।
গ্রিসের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ইআরটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এ ব্যাপারে বলেন, একদিক দিয়ে তুরস্ক মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে এবং ইউক্রেনকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে সহায়তা করছে।
কিন্তু অনদিক দিয়ে আমরা দেখছি, বিশেষ করে রাশিয়ান পর্যটকদের জন্য ভালো ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আর এমন কথা বলেই তুরস্ককে সরাসরি দ্বিমুখী বলে অভিহিত করে জেলেনস্কি বলেন, এগুলি দ্বিমুখী কাজ, যা ঠিক নয়। সূত্র: আল জাজিরা
ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের বর্তমান সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেয়া হবে। পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন মোদি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এরপর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। বিকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাত ৮টায় ১০মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিভিশন’ উদ্বোধন, এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি ও কাশিয়ানী উপজেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে উলু ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে এবং ডঙ্কা ও কাঁসা বাজিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বরণ করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিনই তিনি সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দিরেও যাবেন। এছাড়া বাংলাদেশ সফরে তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অন্যতম। এছাড়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে আসবে বলেও আভাস দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।