a
সংগৃহীত ছবি
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত ও চীনের আলোচনার মধ্যেই ২০২০ গালওয়ান সংঘর্ষের রোমহর্ষক ভিডিও প্রকাশ করেছে চীনা সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) পক্ষ থেকে গত বছরের সেই সংঘর্ষের ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে, যা রীতিমতো ভয়ঙ্কর।
২০২০ সালের ১৫ জুন রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় অনুপ্রবেশ চালায় চীনা সেনাবাহিনী। দেশের সীমানা রক্ষায় সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান ভারতের ১৬ নম্বর বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু। সেই রাতে বর্ডার ইনস্পেকশন টিমের প্রধান কর্নেল বি সন্তোষ বাবু, সিপাই পালনিয়াপ্পান-সহ তিনজনকে হামলা চালিয়ে হত্যা করে চীনা বাহিনী। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীও। বিহার রেজিমেন্টের ৪০ থেকে ৫০ জন সৈন্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সংখ্যায় চার গুণ বেশি চীনা সেনারা। এই যুদ্ধে নিহত হন ভারতের ২০ জন সেনা সদস্য।
ভারতের পক্ষ থেকে পরদিনই বিবৃতি জারি করে ২০ জন সেনার মৃত্যুর খবর। ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করে, চীনের পক্ষে হতাহতের সংখ্যাটা আরও বেশি। মার্কিন গোয়েন্দা দফতর দাবি করে, সেই সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন চীনা সৈন্য নিহত হয়েছে। যদিও, চীনের পক্ষ থেকে এতদিন ধরে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা জানায়নি।
গত মঙ্গলবার চীনের পক্ষ থেকে দাবি করা হল, গালওয়ানের সেই সংঘর্ষে তাদের মাত্র ৪ জন সেনা নিহত হয়েছে। যদিও, সেই সংখ্যাটা নিয়ে অনেকে সন্দেহ পোষণ করছেন। কারণ, এদিন চীনের প্রকাশ করা ভিডিওতেই তাদের বেশ কয়েকজন সেনা সদস্যকে গালওয়ান নদীর জলে ভেসে যেতে দেখা গেছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, উঁচু এলাকা থেকে চীনারা ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছে। আর নিচে গালওয়ানের শীতল পানিতে দাঁড়িয়ে তার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনারা। কিছু চীনা সেনাকে গালওয়ানের পানিতে নামতেও দেখা গেছে। যদিও চীনা সেনা বাহিনীর প্রকাশ করা ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিও দেখে দু’পক্ষের হতাহতের আন্দাজ করা কঠিন।
ভিডিং লিংক: detresfa_/status/1422262532811763718
ফাইল ছবি
পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনি আন্দোলনকর্মী সেই দুই ভাই-বোনকে মুক্তি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ। আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলি পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য দেয়। খবর আল-জাজিরার
খবরে বলা হয়, ২৩ বছর বয়সী দুই আন্দোলনকর্মীর নাম মুনা আল-কুরদ ও মোহাম্মদ আল কুরদ। তারা শেখ জাররাহতে চলমান ফিলিস্তিনি আন্দোলনের সম্মুখসারির কর্মী।
ইসরায়েলি পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তির পর মুনা আল-কুরদ বলেন, ‘আমাদের আতঙ্কিত করতে এবং ভয় দেখাতে দখলদাররা যাই করুক না কেন এবং যতোবার গ্রেফতার করুক, তাতে আমরা ভীত নয়। আমরা আমাদের বাড়িতে থাকব এবং আমাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠার ভূমি রক্ষায় প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
মুনার ভাই মোহাম্মদ আল কুরদ বলেন, ‘আমরা মোটেও ভীত নয়। আমরা সব অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব এবং আমাদের বাড়ি ও ভূমি রক্ষায় আরও তৎপর থাকব।’
এর আগে রোববার (৬ জুন) মুনা ও মোহাম্মদকে আটক করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি পুলিশ। শেখ জাররাহ আন্দোলনের পেছনে তাদের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ করে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ।
মুনা আল-কুরদকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় মুনাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ। এসময় মুনা তার পরিবারকে ভয় না পেয়ে আরও শক্ত হতে বলতে শোনা যায়।
ফাইল ছবি
মতিঝিল আরামবাগ এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি ভবনে আজ রাজউক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান।
রবিবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযান শেষ হয় বিকেলে। অভিযান চলাকালীন কয়েকটি নকশা বহির্ভূত ভবনে সেটব্যাক ও ভয়েড দখল করে ইমারতের নির্মাণ কাজ করায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক জোন-৬/১) এর মতিঝিল আরামবাগ এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণ করে। কয়েকটি ভবনের মালিককে সতর্ক করে দেওয়া হয় যাতে তারা পরবর্তীতে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ না করে।
মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ, সহকারী অথরাইজড অফিসার সাব্বিরুল ইসলাম , প্রধান ইমারত পরিদর্শক ইমরান হোসেন, বেলাল হোসেন ও মোঃ মোত্তালিব হোসেন ও রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তারা। সূত্র: ইত্তেফাক