a খরস্রোতা নদীতে ভারত ও চীনা সেনাদের তুমুল সংঘর্ষ: ভিডিও
ঢাকা রবিবার, ৬ পৌষ ১৪৩২, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

খরস্রোতা নদীতে ভারত ও চীনা সেনাদের তুমুল সংঘর্ষ: ভিডিও


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৪ আগষ্ট, ২০২১, ১১:৫৮
খরস্রোতা নদীতে ভারত ও চীনা সেনাদের তুমুল সংঘর্ষ: ভিডিও

সংগৃহীত ছবি

সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত ও চীনের আলোচনার মধ্যেই ২০২০ গালওয়ান সংঘর্ষের রোমহর্ষক ভিডিও প্রকাশ করেছে চীনা সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ)  পক্ষ থেকে গত বছরের সেই সংঘর্ষের ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে, যা রীতিমতো ভয়ঙ্কর।

২০২০ সালের ১৫ জুন রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় অনুপ্রবেশ চালায় চীনা সেনাবাহিনী। দেশের সীমানা রক্ষায় সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান ভারতের ১৬ নম্বর বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু। সেই রাতে বর্ডার ইনস্পেকশন টিমের প্রধান কর্নেল বি সন্তোষ বাবু, সিপাই পালনিয়াপ্পান-সহ তিনজনকে হামলা চালিয়ে হত্যা করে চীনা বাহিনী। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীও। বিহার রেজিমেন্টের ৪০ থেকে ৫০ জন সৈন্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সংখ্যায় চার গুণ বেশি চীনা সেনারা। এই যুদ্ধে নিহত হন ভারতের ২০ জন সেনা সদস্য।

ভারতের পক্ষ থেকে পরদিনই বিবৃতি জারি করে ২০ জন সেনার মৃত্যুর খবর। ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করে, চীনের পক্ষে হতাহতের সংখ্যাটা আরও বেশি। মার্কিন গোয়েন্দা দফতর দাবি করে, সেই সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন চীনা সৈন্য নিহত হয়েছে। যদিও, চীনের পক্ষ থেকে এতদিন ধরে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা জানায়নি।

গত মঙ্গলবার চীনের পক্ষ থেকে দাবি করা হল, গালওয়ানের সেই সংঘর্ষে তাদের মাত্র ৪ জন সেনা নিহত হয়েছে। যদিও, সেই সংখ্যাটা নিয়ে অনেকে সন্দেহ পোষণ করছেন। কারণ, এদিন চীনের প্রকাশ করা ভিডিওতেই তাদের বেশ কয়েকজন সেনা সদস্যকে গালওয়ান নদীর জলে ভেসে যেতে দেখা গেছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, উঁচু এলাকা থেকে চীনারা ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছে। আর নিচে গালওয়ানের শীতল পানিতে দাঁড়িয়ে তার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনারা। কিছু চীনা সেনাকে গালওয়ানের পানিতে নামতেও দেখা গেছে। যদিও চীনা সেনা বাহিনীর প্রকাশ করা ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিও দেখে দু’পক্ষের হতাহতের আন্দাজ করা কঠিন।

ভিডিং লিংক: detresfa_/status/1422262532811763718

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ইরান-ওমান আবারও যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৬:৫৫
ইরান-ওমান আবারও যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে

ফাইল ছবি

হরমুজ প্রণালি ও ওমান সাগরে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইরান ও ওমান। দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে এই নিয়ে ৯ বার যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হল।

ইরান ও ওমানের মধ্যকার যৌথ সামরিক কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

ওমান ও ইরানের যৌথ নৌ-মহড়ায় উভয় দেশের কয়েকটি রণতরী, বেশ কিছু হেলিকপ্টার এবং ইরানে তৈরি ড্রোন অংশ গ্রহণ করে। এ সময় ইরান এবং ওমানের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।

দু’দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা, সাগরে বেশ কিছু প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং দু’দেশের নৌবাহিনীর সদস্যদের কার্যক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করাকে চলতি মহড়ার প্রধান উদ্দেশ্য বলে অভিহিত করে।

ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার মঙ্গলবার জানান, তার দেশ ওমানের নৌবহরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে। দু’দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে তিনি ওই আমন্ত্রণ জানান এবং তার আমন্ত্রণের দু’দির পর হরমুজ প্রণালিতে ওমান ও ইরানের নৌবাহিনীর যৌথ সামরিক মহড়া সম্পন্ন হল। সূত্র: প্রেসটিভি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

দেশের জনগণের আশা আকাংখা সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ: জাকির হোসেন প্রধানিয়া


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৬
দেশের জনগণের আশা আকাংখা সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ: জাকির হোসেন প্রধানিয়া

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

সাইফুল আলম, ঢাকা:  বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে "বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি"। এই দলের মূল লক্ষ্য হলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া, জনগণের অধিকার সংরক্ষণ করা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন নিশ্চিত করা, একটি উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন করা। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতির গৌরবজনক ইতিহাসকে সমুন্নত রাখাতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। দলের গঠনতন্ত্র, আদর্শ, কাঠামো, কার্যপ্রণালী এবং পরিচালনার রূপরেখা নির্দিষ্ট করে, যা দল পরিচালনায় একটি মৌলিক দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে। 

দলটির চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন প্রধানিয়া এর নেতৃত্বে আজ (২৮ অক্টোবর ২০২৫, সকাল সাড়ে ১১ টায়) রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ২য় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক উৎসবমুখর পরিবেশে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষিত বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি ইংরেজিতে Bangladesh United Party।  সংক্ষেপে একে “বিইউপি” নামে অভিহিত হবে। বিইউপি একটি গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল ।
বিইউপি দলের মূল ভিত্তি ৪টি : সততা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্ম।

উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন প্রধানিয়া দলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বিস্তারিত বলেন। 
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: 
১. ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ, মূল্যায়ন, সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
২. জুলাই যোদ্ধা, চব্বিশের শহীদ ও আহতদের যথাযথ মূল্যায়ন ও তাদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করা। 
৩. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে আধুনিক ও যুগোপযোগী বিচারালয় গড়ে তোলা। 
৪. এই জনপদের হাজার বছরের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ধারন, লালন করে আমাদের নিজস্ব জাতীয়তাকে বিকশিত করা। 
৫. দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সর্বদা অবিচল থাকা। 
৬. প্রকৃত গণতান্ত্রিক চর্চা ধারাকে সমুন্নত ও প্রতিষ্ঠিত করা।
৭. মানবাধিকার, বাক্ ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমমর্যাদা নিশ্চিত করা । 
৮. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মাধ্যমে বেকারত্ব ও দারিদ্র দূরীকরণ।
৯. আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযোগী প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
১০. দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করা ।
১১. দেশ পুণর্গঠনে নারীদের অংশগ্রহণ ও যথোপযুক্ত স্থানে যুক্ত করা, তৃনমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সকল কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমঅধিকার সংরক্ষন করা।
১২. পরিবেশের সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
১৩. যুব সমাজকে সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
১৪. 'প্রবাসী সুরক্ষা নীতিমালা' প্রণয়ন, বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সব ধরনের সুরক্ষা সহ তাদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৫. দেশের স্বার্থে বলিষ্ঠ বৈদেশিক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা ।
১৬. দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা।
১৭. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করা ও তাদের সুরক্ষা প্রদানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৮. কৃষক, শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের কল্যাণ ও তাদের যথাযথ মূল্যায়ন ও তাদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করা।

বিইউপি'র গঠণতন্ত্রের অঙ্গীকার রাজনীতি শুধুমাত্র ক্ষমতা বা পদায়নের জন্য নয়, বরং জনগণের কল্যাণ ও রাষ্ট্রীয় ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য দেশপ্রেম, সততা, মানবতা, গণতন্ত্র স্তম্ভগুলোর জনগনের আকাংখা প্রতিষ্ঠা করা। আমরা বিশ্বাস করি, সময়ের সাথে সাথে প্রয়োজন অনুসারে গঠনতন্ত্র পরিমার্জিত হতে পারে, তবে দলের মৌলিক আদর্শ ও নৈতিক অবস্থান কখনোই পরিবর্তন হবে না। দলীয় ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উত্তরাধিকার তাদের সঠিক পথ দেখাবে, নৈতিক নেতৃত্ব গঠনে সহায়তা করবে এবং একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গঠনের পথে অগ্রগামী করে তুলবে।
এই চূড়ান্ত দলিলের মাধ্যমে আমরা ঘোষণা করছি।
“বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি” একটি আন্দোলন, একটি দায়িত্ব, একটি স্বপ্ন কোনো একক ব্যক্তির নয়, সমগ্র জাতির জন্য।”
আসুন আমরা সকলেই দেশের স্বার্থে একতাবদ্ধ থেকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একসঙ্গে এগিয়ে চলি ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক