a
ফাইল ছবি
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিতে প্রেসিডেন্টকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্ডেকে আটক করে রাখা হয়েছে। এমনকি সরকার ও সংবিধান বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স।
গতকাল রবিবার সারা দিনই গিনির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে প্রেসিডেন্টকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের দাবি করে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্ডেকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। বিধ্বস্ত অবস্থায় থাকা প্রেসিডেন্টের পাশেই বসে আছে সেনাসদস্য।
এদিকে, ক্ষমতা গ্রহণের পর সেনাবাহিনী জানায়, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতেই প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংবিধান বিলুপ্তির পাশাপাশি সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। তাদের ভাষ্য, সরকারের ভয়াবহ দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও দারিদ্র্যের কারণে আমাদের ক্ষমতা গ্রহণ করতে হয়েছে। দেশের নাগরিকের ভবিষ্যৎ উন্নত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা দেশের দারিদ্র্যতা নিরসনে কাজ করব। আগের সংবিধান বাতিল করে নতুন করে সংবিধান লেখব আমরা।
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে এখনো কোনো সরকার গঠন করেনি তালেবান। সংগঠনটির নেতৃত্বে সেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে সহায়তা করে যাচ্ছে পাকিস্তান। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনবাহিনীর প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
জানা যায়, গতকাল শনিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।
পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানে সরকার গঠনে সহায়তার পাশাপাশি সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পাকিস্তান কাজ করবে বলে ডমিনিক রাবের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান।
এদিকে, পাকিস্তান সেনাপ্রধান সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ককে ‘খুবই শক্তিশালী’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘এ সম্পর্ককে পরবর্তী ধাপে নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। দুই দেশেরই আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে। তবে আমরা তালেবানকে তাদের কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করবো, মুখের কথায় নয়।’
তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ডমিনিক রাব। তবে এখনই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে হাঁটবে না যুক্তরাজ্য বলে জানান তিনি। পাশাপাশি আফগানিস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ফাইল ছবি
করোনার প্রকোপে বর্তমানে ভারতের করুণ অবস্থা তা সকলেই দেখতে পাচ্ছে, ভারতের মত আমাদের অবস্থা হলে আমাদের যেন অক্সিজেন সমস্যায় ভোগতে না হয় সে জন্য আগেই এগিয়ে আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প কোম্পানি আবুল খায়ের গ্রুপ।
ভারতের ক্রান্তিলগ্নে এগিয়ে এসেছে তাদের নিজ দেশের কোম্পানি টাটা গ্রুপের রতন টাটা। তাই বলা যেতে পারে ভারতের যদি রতন টাটা থাকে আমাদের আছে আবুল খায়ের গ্রুপ। ভারত থেকে এক সপ্তাহ যাবৎ বন্ধ রয়েছে অক্সিজেন সরবরাহ। এমন মূহুর্তে অক্সিজেন সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে আবুল খায়ের শিল্প গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিজস্ব প্ল্যান্ট থেকে দেশের চাহিদা মতো প্রতিদিন ২০০ টন অক্সিজেন দিতে পারবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের একেএস প্লান্টে অক্সিজেন সরবরাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তখন আবুল খায়ের গ্রুপের অক্সিজেন প্লান্টের সিইও মুহামম্দ আবদুল্লাহ বলেন, আমরা প্রতিদিন ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করতে সক্ষম। আর দেশের চাহিদা ২০০ টন, সেক্ষেত্রে চাহিদা মিটিয়ে আমরা রিজার্ভ করতে পারবো। যখন বিশেষ জরুরি হবে তখন সেখান থেকে সরবরাহ করা হবে। এই শিল্প প্রতিষ্ঠান আরো আশ্বাস প্রদান করেন যে, যদি প্রয়োজন হয় আমাদের সব শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে শুধু অক্সিজেন উৎপাদন করা হবে।
আবুল খায়ের গ্রুপের সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. শামসুদ্দোহা বলেন, আমাদের প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ টন লিকুইড উৎপাদন আছে তা বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবুল খায়ের স্টিল লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের মো. ইমরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, আমরা মজুদ ও সরবরাহ বজায় রাখবো। দেশের যে ক্রান্তিকাল এই অবস্থায় দেশকে, দেশের মানুষকে কিভাবে উদ্ধার করা যায় সেই চেষ্টা করছি। দেশের মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য আমরা প্রয়োজনে শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অক্সিজেনের পুরোটা মেডিকেলের দিকে সাপ্লাই দিব।’
২০২০ সালে আবুল খায়ের গ্রুপ ১০ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলের পাশাপাশি ৫ হাজার সিলিন্ডার বীনা মূল্যে বিতরণ করে। এছাড়া ২০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেয় গ্রুপটি।