a
ফাইল ছবি: টিউলিপ সিদ্দিক ও শেখ রেহানা
নিউজ ডেস্ক: শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যে এবার মন্ত্রিত্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন। লন্ডনে বহুল আলোচিত উপহারের ফ্ল্যাটটি নিয়ে মিথ্যাচার করায় তার ওপর পদত্যাগের চাপ জোরালো হয়েছে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) হিসেবে আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে আছেন টিউলিপ। রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমের সহযোগী দৈনিক দ্য মেইল অন সানডে টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে একাধিকবার জানতে চায়, তাকে দুই শয্যাকক্ষের ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে কি না। বর্তমানে যার বাজার মূল্য ৭ লাখ পাউন্ড; ফ্ল্যাটটি তার বাংলাদেশি স্বৈরশাসক খালা শেখ হাসিনার পরিচিত একজন ডেভেলপারের মালিকানাধীন।
জবাবে উপহার হিসেবে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা তাকে কিনে দিয়েছেন। একই সঙ্গে দ্য মেইল অন সানডে পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন টিউলিপ।
তবে দেশটির লেবার পার্টির একাধিক সূত্র লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার ফ্ল্যাটটি আসলে একজন ডেভেলপার টিউলিপ সিদ্দিককে “কৃতজ্ঞতাস্বরূপ” দিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে।
৪২ বছর বয়সী টিউলিপ যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতের দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে রয়েছেন। বাংলাদেশে তিনি ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চলছে।
শনিবার রাতে ব্রিটেনের টরি এমপিরা দাবি জানিয়ে বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক যদি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তাহলে তার অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।
লন্ডনের হ্যারো ইস্টের টরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট এবং ব্যাখ্যা করতে হবে, আসলে তিনি কী বলেছিলেন এবং কেন। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে মন্ত্রী হিসেবে তার অবস্থান অগ্রহণযোগ্য হবে।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ছায়ামন্ত্রী ম্যাট ভিকার্স বলেন, “সরকারের কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু সেই সদস্য যখন স্টারমারের দুর্নীতি-বিরোধী মন্ত্রী তখন তা আরও বেশি প্রশ্নবিদ্ধ।”
আর হান্টিংডনের টরি এমপি বেন ওবেস-জেকটি বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে নতুন এই তথ্য বেশ উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, এখন দেখা যাচ্ছে ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে পাওয়া এবং আগের দাবি অনুযায়ী না কেনার বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে আরও কিছু প্রশ্নের জবাব আছে।
লেবার দলীয় একাধিক সূত্র শনিবার রাতে দ্য মেইল অন সানডেকে বলেছে, ২০২২ সালে আমরা যখন প্রথম তদন্ত করি সেই সময় টিউলিপ সিদ্দিককে তার পরিবার বলেছিল, একটি বাড়ি বিক্রির অর্থে ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে এই ফ্ল্যাট কেনার বিষয়ে তার পরিবারের স্মৃতিচারণ পাল্টে গেছে। অর্থাৎ আগের দাবির সঙ্গে তাদের বর্তমান দাবির কোনও মিল নেই।
দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির একজন রাজনীতিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, জীবনের চ্যালেঞ্জিং সময়ে এক ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন টিউলিপ সিদ্দিকের বাবা-মা। তার বা-মায়ের আর্থিক সহায়তার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সেই ব্যক্তি তাকে একটি সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর করেছিলেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রতিবেদন প্রকাশের পরপর লেবার দলীয় সূত্র মেইল অন সানডের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, তারা তিন বছর আগে আমাদেরকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত’ করেনি।
লন্ডনের ভূমি রেজিস্ট্রি রেকর্ডে দেখা যায়, ২০০৪ সালের নভেম্বরে তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটির একক মালিক হন টিউলিপ সিদ্দিক। আর তখন তিনি কেবল লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছিলেন এবং তার কোনও উপার্জন ছিল না। ফ্ল্যাটটির কোনও মর্টগেজও ছিল না এবং এর কোনও দামও উল্লেখ ছিল না। এর ফলে ফ্ল্যাটটি যে কেনা হয়নি এবং তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, সেটির প্রমাণ মিলেছে।
মেইল অন সানডে বলেছে, ফ্ল্যাটটির আগের মালিক ৭০ বছর বয়সী বাংলাদেশি আব্দুল মোতালিফ ২০০১ সালে সেটি এক লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ডে কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে মেইল অন সানডের পক্ষ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ফ্ল্যাটটি তাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল কি না?
তখন লেবার পার্টি এক ই-মেইলে বলেছিল, ২০ বছর আগে টিউলিপের বাবা-মা যখন আলাদা হয়েছিলেন, তখন তাদের পারিবারিক বাড়ি বিক্রি করে কিংস ক্রস এলাকার ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। ফ্ল্যাট কেনার এই অর্থ অন্য কোনও উৎস থেকে এসেছে, এমন দাবি একেবারে ভুল এবং মানহানিকর।
পরে টিউলিপ সিদ্দিকের পরিবারের বিষয়ে অনুসন্ধান করে মেইল অন সানডে। অনুসন্ধানে ২০২২ সালে অথবা তার আগে টিউলিপ সিদ্দিকের পরিবারের বাড়ি বিক্রি করার কোনও প্রমাণ পায়নি ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যম। পরে গত জুলাইয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও লেবার পার্টির কাছে এই বিষয়ে জানতে আবারও প্রশ্ন পাঠিয়েছিল মেইল অন সানডে। প্রশ্নের জবাব না দিলেও তিনি সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন। সূত্র: ডেইলি মেইল
ফাইল ছবি
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘‘দিদির বিদায় নিশ্চিত। খেলা হবে বলে ভয় দেখাতে চাইছে তৃণমূল। ভয় পাবেন না। নন্দীগ্রামের ভোটে দিদি হেরে গিয়েছেন। বাংলায় আর গুন্ডারাজ চলবে না।’’
তিনি বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই ‘কয়লা মাফিয়া’, ‘বালি মাফিয়া’দের নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গে সেই কথাও শোনা গেল অমিতের মুখে। তিনি বলেন, ২ তারিখের পর বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়াদের রাজত্ব বন্ধ করব। সবাইকে জেলে পাঠাবার ব্যাবস্থা করবো। শুধু আপনারা দিদিকে বদলান। আত্মীয়দের ফোন করে বলুন, ভোট দিতে আসতে।
আজ শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে বিজেপি-র জনসভায় এসব কথা বলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অমিত শাহ আরও বলেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়ানো হবে। এখন মজুরী ২১০ টাকা আছে, এই মুজুরী বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করা হবে। আর যেসব শ্রমিকরা চা-বাগানে চাকুরি করেন তাদের জন্য পাহাড়ে নেপালি ভাষার একাডেমি বানিয়ে দেয়া হবে।
ফাইল ছবি
একটি সাবমেরিন ঘাঁটি, ৫০০ কোটি ডলার সহায়তা, ভারতের শিলিগুড়ির কাছে অবকাঠামো প্রকল্প, বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য ও সামরিক এক্সারসাইজের মাধ্যমে বেইজিং ভারতকে খুব পরিষ্কার করে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছে। তা হলো এ অঞ্চলে ক্ষমতার কাঠামো বদলে যাচ্ছে। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের অংশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলে চীন তার এ অভিযান পরিচালনা করছে। সর্বাবস্থায় বন্ধু পাকিস্তান ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ এবং ভুটানের দিকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা এখন বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার ও তা শক্তিশালী করছে।
শিলিগুড়ি করিডোর কন্টিনজেন্সি দিয়ে তার প্রস্তুতি শুরু করেছে চীন। তারা তখনকার বাংলাদেশি প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদকে দিয়ে ১৯৮৭ সালে বেইজিংয়ে একটি বিবৃতি দিতে বাধ্য করেছে যে, তিনি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভিতর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতীয় সেনা পরিবহনে অনুমতি দেবেন না। এক্ষেত্রে স্যামডুরোং চু ঘটনার উল্লেখ করা হয়। তখন সেখানে ২০০ সেনাকে মোবিলাইজ করেছে চীন। তারা ‘নির্ভরযোগ্য বন্ধু’ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশের কাছে চীন কমপক্ষে ৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে।
বিশ্বব্যাপী যে অস্ত্র বিক্রি করে বেইজিং তার মধ্যে বাংলাদেশে বিক্রি করা হয় শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। শিলিগুড়ি করিডোর নেপাল এবং বাংলাদেশকে পৃথক করেছে। এই করিডোর ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ রক্ষা করেছে। এই শিলিগুড়ি করিডোরের খুব কাছে তিস্তা নদীতে ১০০ কোটি ডলারের ড্রেজিং প্রকল্পে চীন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। ২০১৭ সালে ভারতের সঙ্গে দোকলামে অচলাবস্থার পর চীন জামফেরি রিজে একটি সড়ক নির্মাণে অগ্রসর হয় এবং নির্মাণ করে। এটা শিলিগুড়ি করিডোর থেকে খুব বেশি দূরে নয়। বাংলাদেশে বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পে বেইজিং খরচ করেছে ৪০০ কোটি ডলার। সামনের বছরগুলোতে তাদের কমপক্ষে মোট ৫০০০ কোটি ডলার খরচের পরিকল্পনা আছে। দুই দেশের মধ্যে ২০ বছর আগে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ছিল ১২০ কোটি ডলার। তা গত বছরে বেড়ে হয়েছে ২২০০ কোটি ডলার। এর মধ্য দিয়ে ভারতকে সরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছে চীন। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ঘাটতি প্রায় ২১০০ কোটি ডলার এবং তা বৃদ্ধি পাচ্ছেই।
বস্ত্র, পাট ও অন্যান্য পণ্য সহ বাংলাদেশি পণ্যের জন্য বাজার উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। কিন্তু এক্ষেত্রে বেইজিং কর্ণপাত করছে না।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছেই। মে মাসে তা ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল। এ অবস্থায় চীনের কাছে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে ঢাকা। তাদের উদ্দেশ্য এই অর্থ দিয়ে কাঁচামাল কেনা এবং বাজেটে সাপোর্ট দেয়া। পছন্দের শতকরা এক ভাগ সুদে ঢাকা যখন দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ চাইছে, তখন বেইজিং সুদের হার বাড়াতে চায়, আরও শর্ত দিতে চায়- যা তারা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে করেছে। বিআরআইভুক্ত কমপক্ষে ১৬টি দেশের উচ্চ পর্যায়ে ঋণ আছে। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার আর্থিক পতন থেকে শিক্ষা নিতে পারে ঢাকা। বাংলাদেশকে এরই মধ্যে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে চীন। মোট যে ঋণ আছে বাংলাদেশের তার মধ্যে এই ঋণ শতকরা ১০ ভাগ।
চীনের আরেকটি দুঃসাহসী প্রকল্প হলো কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিএনএস শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটি। এটি এ বছর মার্চে উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি নির্মাণে চীনের ১২১ কোটি ডলার তহবিল ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে একসঙ্গে ৬টি সাবমেরিন এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ নোঙর করতে পারে। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে চীনের কাছ থেকে ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে দুটি মিং-শ্রেণির সাবমেরিন কেনে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই চয়েস ছিল বিস্ময়কর। কারণ, মিং শ্রেণির সাবমেরিন ২০০৩ সালের এপ্রিলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে থাকা ৭০ নৌসেনার সবাই নিহত হন।
অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করে না- এটা বলা সত্ত্বেও, যেসব দেশ তাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে তাদেরকে বাধ্য করা চীনের একটি আর্টে পরিণত হয়েছে। এর আগে তাইওয়ান, তিব্বত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধে এক চীন নীতিতে অন্য দেশগুলোকে শ্রদ্ধাশীল হতে বলে চীন। বেইজিং শেষের দিকে অন্য দেশগুলোর তাদের নিরাপত্তা নীতি প্রসারিত করার দাবি করেছে। ২০২১ সালের মে মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ঢাকাকে সতর্ক করে দেন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে কোয়াডে যোগ দেয়ার বিষয়ে। কারণ, এতে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান তিনি। উপরন্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ২০২২ সালের জুনে বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা লিউ জিনসং ‘শীতল যুদ্ধের মানসিকতা’ প্রত্যাখ্যান করতে এবং ওই ‘ব্লক রাজনীতিতে’ যুক্ত না হতে বলেন। এসব দাবি পূরণের ক্রমবর্ধমান চায়না রাডারের অধীনে এখন ঢাকা। ঢাকাকে আরও গভীরে টেনে নিতে বেইজিংয়ের প্রচেষ্টাকে নয়া দিল্লি কিভাবে প্রতিহত করে সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূত্র: মানবজমিন
লেখক: শ্রীকান্ত কোন্দাপাল্লি