a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের পাঞ্জশির প্রদেশ সম্পূর্ণ দখলে নেওয়ার পর সরকার গঠনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে তালেবান বাহিনী। সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানসহ ছয়টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। অন্য দেশগুলো হলো- তুরস্ক, কাতার, রাশিয়া, চীন ও ইরান। ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আফগানিস্তানে সরকার গঠন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তালেবানের আমন্ত্রণ তালিকায় নাম নেই ভারতের। যদিও কিছু দিন আগেই তালেবান সরকারের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী শের মুহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতে চান তারা।
আফগানিস্তানের মাটি জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা যাবে না বলেছিলেন তিনি। তালেবান সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। নয়াদিল্লিকে সেই অবস্থান বদলের আর্জিও জানিয়েছিল তালেবান।
আজ সোমবার সকালে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, আফগানিস্তানের শেষ প্রদেশ হিসাবে পাঞ্জশির এখন আমাদের দখলে। গোটা আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালেবান।’ পাঞ্জশিরের সরকারি ভবনে তালেবানের পতাকা উড়তে দেখা গেছে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
ফাইল ছবি
রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে একমাত্র যোগাযোগ রক্ষাকারী সেতুটিতে গতকাল শনিবার (৮ অক্টোবর) ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শনিবার এ ঘটনার কয়েকঘণ্টা পরই সেতুটিতে হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির
ইউরোপের দীর্ঘতম এ সেতুটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র হতে জানা যায়।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, লরি বিস্ফোরণের সময় নিহত তিনজন ওই সময়ে একটি গাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেতুটিতে রেল সংযোগও রয়েছে। যেখানে দেখা যায় ওই রেল সংযোগ দিয়ে একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার যাওয়ার সময় তাতে আগুন ধরে যায় এবং পরবর্তীতে এটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
গতকাল বিকেলে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি খুলে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যেখানে সেতু দিয়ে যান চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় এবং ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি রাশিয়ার পরিবহন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে সেতুটি রুশ বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
সরকারি চাকরিজীবীদের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিল রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হবে। যা আগামী ২০২৩ সাল থেকে বাস্তবায়ন করা হবে।
জানা যায়, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রমে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় ছুটির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন।
জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দুই দিন করা হচ্ছে। আগামী ২০২৩ সাল থেকে এটি বাস্তবায়ন হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি ২০২৩ সালের আগেও চালু করতে পারে।
নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় জানানো হয়, সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন ধরে প্রাক-প্রাথমিকে মোট শিখন ঘণ্টা শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সময় নির্ধারণ করা হবে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিখন হবে ৬৮৪ ঘণ্টা। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির হবে ৮৫৫ ঘণ্টা। এছাড়া মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির মোট শিখন ১ হাজার ৫০ ঘণ্টা, নবম ও দশম শ্রেণির ১ হাজার ১১৭ ঘণ্টা।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ ও দ্বাদশ ১ হাজার ১৬৭ ঘণ্টা হবে। তবে জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। দিবসগুলো পালনের কর্মসূচি শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।