a
ফাইল ছবি
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করতে চান বলে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এখন দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একটি ফরাসি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, রাশিয়া কিছু শর্ত সাপেক্ষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণের আগেও মস্কো স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ গ্রহণযোগ্য নয়। মেদভেদেভ এলসিআই টেলিভিশনকে বলেন, উত্তর আটলান্টিক জোটে তার অংশগ্রহণ ত্যাগ করা এখন অত্যাবশ্যক। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটা এখন যথেষ্ঠ নয়।
তিনি বলেন, রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাবে। পুতিন বলেছেন যে তিনি ইউক্রেনকে ‘নাৎসিমুক্ত’ করতে চান। অবশ্য কিয়েভ এবং পশ্চিমারা দাবি করেন, এটা রাশিয়ার যুদ্ধ জয়ের একটি ভিত্তিহীন অজুহাতমাত্র। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের হুমকি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য বেড়েছে। ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানোর জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েল বাজেট তৈরি করছে বলে তাদের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করেছে।
ইসরায়েলি এ হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, 'ইরানের বিরুদ্ধে নাশকতা চালানোর জন্য দেড়শ’ কোটি ডলার বাজেট বরাদ্দ দেয়ার পরিবর্তে ইসরায়েলের উচিত ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার ক্ষতি কাটিয়ে নিজের পুনর্গঠনের জন্য হাজার হাজার কোটি ডলার বাজেট বরাদ্দ দেয়া।'
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গত এক দশকে ইরানের বিরুদ্ধে বহুবার হুমকি দিয়েছেন। যদিও তারা জানে যে ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করার ক্ষমতা তাদের নেই এবং কোনো হুমকিই তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তারপরও যদি তারা ইরানের বিরুদ্ধে সামান্যতম আগ্রাসনের দুঃসাহস দেখায় তাহলে কঠিন জবাব পাবে যার ফলে ইসরাইল নামক দেশটি ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে। আর এটা উপলব্ধি করেই ইসরাইল একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ইরানকে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতে ইরানের বিরুদ্ধে তাদের নতুন কর্মকৌশল তুলে ধরেন। অনেক বড় পরিসরে যুদ্ধে জড়াবার পরিবর্তে ছোট পরিসরে ইরানে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা জানান বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি তেহরানের ওপর প্রচণ্ড কূটনৈতিক চাপও বৃদ্ধির কথা বলেন।
প্রকৃতপক্ষে, পশ্চিম এশিয়ায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠেছে এবং তারা যেভাবে ইসরাইলকে পাল্টা জবাব দিচ্ছে তাতে ইসরাইল চিন্তিত না হয়ে পারে না।
বলা বাহুল্য, প্রতিরোধ শক্তির কারণে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ পাল্টে গেছে এবং কিছুই ইসরায়েলের অনুকূলে নেই।
তাই ইসরায়েলের যে কোনো আগ্রাসন এখন আর বিনা জবাবে পার পাবে না। তাই ইরানকে হুমকি দিয়ে তাদের কোনো লাভ হবে না বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
ফাইল ছবি
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে সিলেটে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজি সিংহ জানান।
দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি সিলেটে নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। অতিবৃষ্টিতে উজানের ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে, ফলে এখানে দুর্দশায় পড়েছে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে আসার পর সার্কিট হাউজে আসবেন। সেখানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন