a
ফাইল ছবি
আমেরিকা আফগানিস্তানের আশরাফ গনি সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেছে বলে খবর দিয়েছে একটি আফগান পত্রিকা। দেশের বিভিন্ন প্রদেশ দখল করে তালেবান যখন রাজধানী কাবুলের দিকে এগিয়ে আসছে তখন আফগানিস্তানে ‘মার্কিন অভ্যুত্থানের’ খবর দিল দৈনিক অ্যারিয়া নিউজ।
কিছু আফগান সূত্র ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এই অভ্যুত্থান পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ দিয়েছে দৈনিকটি। এতে বলা হয়েছে, আমেরিকা আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে একটি নীরব অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা করেছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, মার্কিন সেনারা প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহসহ শীর্ষস্থানীয় আফগান কর্মকর্তাদেরকে কাবুলস্থ মার্কিন দূতাবাসে নিয়ে আসবে। এ সময় তাদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো হবে।
হুমকির মুখে তারা পদত্যাগ করলে আফগানিস্তানের জনপ্রিয় নেতাদের নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি রাজনৈতিক পরিষদ গঠন করা হবে। ওই পরিষদের একজন নেতাকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়ে তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পতন ঠেকানোর চেষ্টা করা হবে।
অ্যারিয়া নিউজ আরও জানিয়েছে, এরইমধ্যে অভ্যুত্থানের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট গনি মার্কিন সেনাদের কাছে আত্মসমর্পন করতে অস্বীকৃতি জানালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগেরও পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছে।
এদিকে আফগানিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম শুক্রবার রাতে খবর দিয়েছে, তালেবান রাজধানী কাবুলের আরও কাছাকাছি চলে আসলে প্রেসিডেন্ট গনি নিজে থেকেই দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন।
আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে তালেবানের আকস্মিক অগ্রাভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ তাদের দূতাবাস ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর কর্মীদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে বলেও খবর এসেছে।
এদিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তালেবান কাবুল দখল করলে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
ফাইল ছবি
রাশিয়া তার পরমাণু অস্ত্রগুলোকে বেলারুশ সীমান্তে ন্যাটোর নাকের ডগায় স্থাপন করতে যাচ্ছে। বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ রোববার রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের।
তিনি আরও জানান, এ কাজে পুরোপুরি প্রস্তুত রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও ন্যাটো সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দুই প্রতিবেশী আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ‘ইউনিয়ন স্টেট’-এর অংশ এবং আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছে।
এছাড়া গত বছর রাশিয়াকে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর জন্য বেলারুশিয়ান অঞ্চল ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার পর এই প্রক্রিয়া আরও সুদৃঢ় হয়।
বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রগুলো ‘আমাদের ইউনিয়ন স্টেটের পশ্চিম সীমান্তে স্থানান্তরিত করা হবে এবং এগুলো এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে দাবী করেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
আগামীকাল থেকে আবারো নিয়মিত কার্যক্রমে যাচ্ছে গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সরকারের হঠাৎ এ সিদ্ধান্তের ফলে শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটের ফেরিঘাটগুলোতে বেড়েছে ঢাকামুখীদের ভিড়। দৌলতদিয়া ঘাটে মানুষের চাপে ফেরিতে উঠতে পারেনি রোগীবাহীসহ কোনো গাড়ি।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শনিবার বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। প্রতিটি ফেরিতেই ঢাকামুখী অসংখ্য মানুষ। আছে অনেক মোটরসাইকেলও। আবার শিমুলিয়া হয়ে বাংলাবাজার যাচ্ছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা। তবে ফেরিতে দক্ষিনাঞ্চলগামী যাত্রীদের চেয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল অনেক বেশি।
গার্মেন্টসসহ কালখানা খুলতে পারে এমন খবরে মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানায়। এদিকে, যানবাহন না পেয়ে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা ঢাকামুখী যাত্রীরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছেন পায়ে হেঁটে ও ছোট ছোট যানবাহনে করে ভঙ্গে ভেঙ্গে।
এদিকে, ঢাকামুখী মানুষের চাপে ফেরিতে উঠতে পারেনি রোগীবাহী গাড়ি এবং জরুরী পণ্যবাহী যানবাহনও।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম (মেরিন) আহম্মদ আলী বলেন, ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে ছোট-বড়-মাঝারী মিলিয়ে মোট ৯টি ফেরি চলাচল করছে। জরুরি ও লকডাউনের আওতার বাইরে থাকা যানবাহন পারাপারে এসব ফেরি সচল রাখা হয়েছে।
লকডাউন বাস্তবায়ন ও ফেরিতে যাত্রী চলাচল নিয়ন্ত্রণে ঘাটের অভিমুখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে তা অতিক্রম করতে যাত্রীরা বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে পার পাবার চেষ্টা করে।
বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীদেরও প্রচন্ড ভিড় রয়েছে। প্রতিটি ফেরিতেই শতশত ঢাকামুখী মানুষ। আবার শিমুলিয়া হয়ে বাংলাবাজার যাচ্ছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী অনেক যাত্রী। তবে ফেরিতে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের চেয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে অনেক বেশি।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে জানা যায়, রবিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে উপছে পড়া ভিড়র দেখা গেছে। মানুষের চাপে ফেরিতে উঠতে পারেনি রোগীবাহীসহ কোনো গাড়ি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঢাকামুখী যাত্রীর সংখ্যা।
ফেরিতে তিল পরিমান জায়গা নেই দাঁড়ানোর মতো। গায়ে গা লাগিয়ে ঠাসাঠাসি করে পার হচ্ছে যাত্রীরা, স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই ফেরিগুলোতে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রিক্সা, ভ্যান, অটো, মাহিদ্র, মোটরসাইকলসহ বিভিন্ন ছোট যানে যাত্রীরা আসছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। কেউবা আসছে পায়ে হেটে। পাড়ে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পরছে ফেরিতে। ফলে ফেরি আনলোড করতেও সমস্যা হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ফেরি থেকে নামতে পারছেনা কোনো গাড়ি।