a
ফাইল ছবি
চলমান ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির সহিংসতায় ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাইলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলমান এই পরিস্থিতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘দুর্বলতা ও সমর্থনের অভাবকে দায়ী করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্যা হিল জানিয়েছে, গতকাল বুধবার ১১মে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেছেন আমেরিকার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প জানান, তার শাসনামলে মধ্যপ্রাচ্যে কোন অশান্তি ছিল না। তিনি এর পেছনে মূল শক্তি হিসেবে মুসলিম জাতিকে শত্রু উল্লেখ করে বলেন তারা জানতো যে, যুক্তরাষ্ট্র শক্তভাবে ইসরায়েলিদের পক্ষে আছে। আর তারা হামলার শিকার হলে মোক্ষম জবাব দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, বাইডেনের আমলে বিশ্ব ক্রমেই অরাজকতা এবং অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। এর কারণ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতা এবং ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের অভাব।
সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সবসময় ইসরায়েলের পাশে থাকা উচিত এবং এটি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিতে হবে যে, ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই সহিংসতা, সন্ত্রাস ও রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে। এটি পরিষ্কার করতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সবসময় শক্তভাবে সমর্থন করবে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার আল আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের উপর হামলা করে ইসরায়েল দখলদার বাহিনী তাদের উচিত শিক্ষা দিতে সর্বদা পাশে আছে হামাসসহ সকল মুসলিম বিশ্ব।
প্রতিকী ছবি
ইসরায়েল ভুল করে নিজেদের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে নিজেদের ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে। গাজা উপত্যকায় হামলা চালানোর সময় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এ ভুল করে। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।
তবে ইসরায়েলের সামরিক ড্রোনটিকে কবে ভূপাতিত করা হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। তথ্যসূত্রে জানা যায়, সবশেষ ‘গার্ডিয়ান অব দ্যা ওয়ালস’ নামে গাজার ওপর যে সামরিক হামলা চালানো হয় তখন ইসরায়েলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভুল করে নিজেদের একটি সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্র হতে এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবা টানা ১১ দিনের যুদ্ধ শেষে মিসরের মধ্যস্ততায় এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সংঘাতের আপাতত অবসান হয়। সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর, আনাদেলু এজেন্সি
ফাইল ফটো:খালেদা জিয়া
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ফের ছয় মাস বাড়ছে। খালেদার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বৃদ্ধির এই মতামত দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে গত বছর ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি দেওয়া হয়।
শর্তগুলো:
১। খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।
২। পরিবারের সদস্য ছাড়া কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
৩। নিজ বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও সাজা মওকুফ এবং শর্ত শিথিলের আবেদন গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।