a
ফাইল ছবি: জো বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কর্মপদ্ধতিতে আস্থা নেই অধিকাংশ আমেরিকানের। ৭১ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, বাইডেনের অধীনে দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। পরোক্ষভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে জড়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এই মত দিল। অন্যদিকে, ৪০ শতাংশ আমেরিকান বাইডেনের নেওয়া পদক্ষেপগুলোতে আস্থা রাখেন।
এনবিসি নিউজ পরিচালিত সমীক্ষায় এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালনের মেয়াদে এই প্রথম সর্বোচ্চসংখ্যক জনগণ বাইডেনের প্রতি অনাস্থা পোষণ করলেন। খবর এনবিসি নিউজের
জরিপে দেখা গেছে, গত জানুয়ারির তুলনায় বর্তমানে প্রায় তিন শতাংশ বেশি মানুষ বাইডেনের নেওয়া সিদ্ধান্তে আস্থা রাখতে পারছে না। তাদের বড় একটি অংশ মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র এখন ভুল পথে চলছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোকে সঙ্গে নিয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়ার পর জনমতের এই পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা।
এর পাশাপাশি কভিড-১৯ মহামারি ও ডলারের মুদ্রাস্ম্ফীতির ব্যাপারটিও জনমত পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে। সমীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর রিপাবলিকান নেতা বিল ম্যাকইনটার্ফ এনবিসি নিউজকে বলেন, 'ডেমোক্র্যাটরা সম্ভবত একটি বিপর্যয়মূলক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।' এমন চলতে থাকলে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ ও সিনেটের মধ্যবর্তী নির্বাচনেও বাইডেনের ভরাডুবি হবে বলে মনে করেন ডেমোক্র্যাট নেতা জেফ হরউইট।
গত সপ্তাহে চার দিনে মোট এক হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিনির ওপর এই জরিপ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৯০ জন নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন।
বাইডেনের বর্তমান এই অবস্থান নিশ্চিতভাবেই ট্রাম্পকে খুশি করবে। কারণ, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও মনোনয়ন চাইবেন বলে আগেই জানিয়েছেন তিনি। তখনও বাইডেনের জনপ্রিয়তা এমন থাকলে নির্বাচনে কী ঘটবে, তা একরকম আন্দাজ করতে পারা যায়।
বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পরে অর্থাৎ ২০২১ সালের মার্চে এনবিসি নিউজের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, তখন ৫৩ শতাংশ আমেরিকান বাইডেনকে সমর্থন করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে ভোটার ছিলেন ৫১ শতাংশ। একই জরিপে আমেরিকানের ৩৯ শতাংশ ও নিবন্ধিত ভোটারের ৪৩ শতাংশ তার কর্মপদ্ধতিকে অপছন্দ করেছেন। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে শেষ হল মার্কিন অধ্যায়। ৩১ আগস্ট সময়সীমা থাকলেও স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টায় সব শেষ মার্কিন বিমান ছেড়ে যায় কাবুল বিমানবন্দর। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই আফগানিস্তান অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্য দিয়ে শেষ হল দেশটিতে আমেরিকার দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক অভিযান।
এরপরই রাতভর ফাকা গুলি ছুড়ে উল্লাস শুরু করে তালেবান। গোটা দেশ এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।
পেন্টাগন বলছে, ১৫ আগস্টের পর থেকে শেষ দিন পর্যন্ত তারা উদ্ধার করেছে ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি নাগরিককে।
গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে অভিযান চালানোর সময় প্রাণ দিতে হয়েছে ২৪শ’ মার্কিন সেনাকে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানান, এখনই তালেবানের সাথে কাজ করবে না ওয়াশিংটন। প্রথমে তালেবানকে বৈধতা অর্জন করতে হবে বলে তিনি জানান।
ফাইল ছবি
ঘনিয়ে আসছে ক্রিকেট বিশ্বের জমজমাট লড়াইয়ের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে টি-টুয়ান্টি বিশ্বকাপ। গত বছর বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারনে তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই এ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান যৌভাবে আয়োজন করবে টি-টুয়ান্টি বিশ্বকাপ। ইতোমধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের সূচি চূড়ান্ত করেছে আইসিসি। এতে নিশ্চিত হয়েছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলার দিনগুলোও। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে আগামী ১৭ অক্টোবর, উদ্বোধনী দিনে।
প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচই ওমানে। ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ড, ১৯ অক্টোবর স্বাগতিক ওমান ও ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।প্রথম রাউন্ডে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে মোট ৮টি দল। বাংলাদেশ ছাড়াও টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্য থেকে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডকে খেলতে হবে প্রথম রাউন্ডে। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সাথে আছে স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি ও ওমান। ‘বি’ গ্রুপেরও চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ দল সুপার টুয়েলভে উঠবে।
বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হলে সুপার টুয়েলভে খেলতে হবে গ্রুপ-২ এ। এই গ্রুপে আছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এছাড়াও গ্রুপ-২ এ রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান। ‘এ’ গ্রুপের রানার-আপ দলও খেলবে এই গ্রুপে।
সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-১ এ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে খেলবে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও ‘বি’ গ্রুপের রানার-আপ দল।