a
ফাইল ছবি
ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত খবরটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বা বাংলাদেশস্থ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য আমাদের নজরে এসেছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বিধান অব্যাহত রেখেছেন এবং রাষ্ট্রদূতদের পুলিশ প্রদত্ত গানম্যান নিয়োজিত আছেন। এই কারণে নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত এই বিভ্রান্তিকর খবরটি সঠিক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রচলিত রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাধারণত বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার গুরুদায়িত্বটি সবসময় পালন করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের কয়েক বছর আগের একটি ঘটনা পরবর্তী সময় থেকে কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিককে অলিখিতভাবে গাড়িসহ মূলত নিয়মিত ট্রাফিক মুভমেন্টের সহায়তার জন্য বাড়তি কিছু লোকবল দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণাধীন আছে। তাই তাদেরকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের কোনো আবশ্যকতা নাই।
পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কার্যপরিধি বৃদ্ধির জন্য এই বাড়তি সুবিধাটি এখন অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না। এখানে স্মরণ করা যেতে পারে, পৃথিবীর কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা ও চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো সুবিধা প্রদান করা হয় না।
এতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দূতাবাস থেকে একই ধরনের সুবিধার জন্য অনুরোধ করার একটি প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। এ লক্ষ্যে তাদের সবার সুবিধার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে একটি চৌকস দল তৈরি করেছে। বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এ সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন। কোনো দূতাবাস আনসার সদস্যদের এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে চাইলে বা বাড়তি সুবিধা নিতে চাইলে আমাদেরকে লিখিতভাবে জানালে আমরা সেই ব্যবস্থাটি গ্রহণ করবো। শিগগিরই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সব বিদেশি দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফটো: জেনারেল অনিক গাসপ্রায়ান ও প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান
আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিক গাসপ্রায়ানকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনার কারণে জেনারেল গ্রাসপ্রায়ানের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার পাশিনিয়ানের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল অনিক গাপ্রায়ানকে বিধিসম্মতভাবে ১০ মার্চ হতে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে, গতমাসে জেনারেল গাসপ্রায়ানের পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে লেখা এক ডিক্রিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকিসিয়ান। সূত্র:বাংলাদেশ প্রতিদিন
ফাইল ছবি: শামীম ওসমান এমপি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমপি শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আইভীর বিরুদ্ধে কাজ করছেন কিনা এমন প্রশ্নে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।
আব্দুর রহমান বলেছেন, যার কথা বলা হচ্ছে (শামীম ওসমান) তিনি একটা দলের আদর্শ নীতি শৃঙ্খলা নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ইত্যাদি লালন করেই কিন্তু এতবড় নেতা হয়েছেন। উনি যদি আজ সেগুলো প্রতিপালন না করেন এবং তিনি যদি এই দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, আমাদের কাছে যেসব খবর আসছে আমরা সেগুলোর তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করছি। যখন বিষয়টি নিশ্চিত হবে যে উনি আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তখন তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আমাদের কাছে বিকল্প কোন কিছু থাকবে না। তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের দোতলায় অবস্থিত সিনামন রেস্টুরেন্টে মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন- আইভীর জয়ের বিষয়ে আপনারা আশাবাদী কি-না। নানক উত্তরে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে আমরা যারা আছি, সবাই কাজ করে যাচ্ছি নৌকাকে জেতাতে।
উল্লেখ্য, ভৌগলিক কারণে নারায়ণগঞ্জ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইভী এতদিন সুন্দর সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন এবং নৌকাকে দেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রমুখ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন