a
মার্কিন দম্পতি বিল গেটস ও মেলিন্ডা সাত বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন। সংসার করেছেন ২৭ বছর। বিল ও মেলিন্ডার সংসারে আছে তিনটি সন্তান। ৩৪ বছর পর সম্পর্কে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও উদ্যোক্তা মেলিন্ডা।
গত ৩ মে বিল ও মেলিন্ডা যৌথভাবে টুইটারে এ ঘোষণা দিয়েছেন। ২০০০ সালে বিল ও মেলিন্ডা দুজনে মিলে গড়ে তুলেছিলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। বিচ্ছেদের পরও এই ফাউন্ডেশনের হয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন তারা।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এই ফাউন্ডেশন।
ছবি সংগৃহীত: অমিত শাহ
কানাডার মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টা চালানোর পেছনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে কানাডীয় সরকার। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদী নেতা অমিত শাহের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
কানাডার আগের অভিযোগগুলোকেও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে ভারত সরকার তা বাতিল করে দিয়েছিল। খালিস্তানপন্থী আন্দোলনের শিখ নেতাকে হত্যা বা তাদের হত্যাচেষ্টায় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।
কানাডার কর্মকর্তারা যে খালিস্তানপন্থী আন্দোলনকারীদের হত্যাচেষ্টায় অমিত শাহের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন, সে খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয় প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে। এতে বলা হয়, কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ওপর সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের পেছনে অমিত শাহের হাত রয়েছে।
কানাডার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মরিসন গতকাল (২৯.১০.২০২৪) মঙ্গলবার এক সংসদীয় প্যানেলকে জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওই সংবাদমাধ্যমটিকে অমিত শাহের জড়িত থাকার বিষয়ে বলেছেন।
কমিটিকে মরিসন বলেন, ‘সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, এ ব্যক্তি সেই ব্যক্তি কিনা। আমি নিশ্চিত করেছি, এই সেই ব্যক্তি।’ তবে মরিসন এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এ–সংক্রান্ত কোনো প্রমাণও উপস্থাপন করেননি তিনি।
অটোয়ায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য দেয়নি।
খালিস্তানপন্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে ভারত সরকার। দেশটি তার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খালিস্তানপন্থীদের ‘হুমকি’ বলে মনে করে। শিখ আন্দোলনকারীরা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে খালিস্তান নামে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে বিদ্রোহ চলাকালে শিখ সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৮৪ সালে শিখবিরোধী দাঙ্গার ঘটনাও ঘটে।
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর শিখ দেহরক্ষীর হাতে খুন হওয়ার পর সেই দাঙ্গা হয়েছিল। খালিস্তানপন্থী শিখ আন্দোলনকারীদের উৎখাত করতে পবিত্র শিখ মন্দিরে অভিযান চালানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার পরই ইন্দিরা গান্ধী হত্যার শিকার হন।
গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কানাডা ভারতীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। ২০২৩ সালে কানাডার মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তাঁদের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ভারতের বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে খালিস্তানপন্থী শিখ নেতাদের হত্যার লক্ষ্য বানানোর অভিযোগ ওঠার এই ঘটনাটি একমাত্র নজির নয়। অর্থাৎ এরকম আরও ঘটনা আছে।
নিউইয়র্কে খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক এক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার নাম বিকাশ যাদব। গুরপতবন্ত সিং পান্নুন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার দ্বৈত নাগরিক এবং ভারতীয় সমালোচক। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে নিখিল গুপ্ত নামে এক ভারতীয়কে চেকপ্রজাতন্ত্র থেকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বাসিন্দার ওপর এ ধরনের হত্যাচেষ্টা নিয়ে সতর্ক করেছিল মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ভারত ঘোষণা দিয়েছিল, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের তদন্ত করবে। তবে এ ঘোষণার পর এ নিয়ে ভারত এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে খুব কম কথাই বলেছে।
এই দুই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অনেকটা খারাপ। সূত্র: প্রথম আলো
ছবি সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই ও হট্টগোলের ঘটনায় শতাধিক আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান সজল, অ্যাডভোকেট মাহফুজ-বিন-ইউসুফ, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাহদিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গোলাম আক্তার জাকির, অ্যাডভোকেট মো. মনজুরুল আলম সুজন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোক্তার কবির খান, অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ-জামান খান, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ আইনজীবীকে। সূত্র: আমাদের সময়