a
মার্কিন দম্পতি বিল গেটস ও মেলিন্ডা সাত বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন। সংসার করেছেন ২৭ বছর। বিল ও মেলিন্ডার সংসারে আছে তিনটি সন্তান। ৩৪ বছর পর সম্পর্কে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও উদ্যোক্তা মেলিন্ডা।
গত ৩ মে বিল ও মেলিন্ডা যৌথভাবে টুইটারে এ ঘোষণা দিয়েছেন। ২০০০ সালে বিল ও মেলিন্ডা দুজনে মিলে গড়ে তুলেছিলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। বিচ্ছেদের পরও এই ফাউন্ডেশনের হয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন তারা।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এই ফাউন্ডেশন।
সংগৃহীত ফটো: আহত মমতা বন্দোপাধ্যায়
বুধবার নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় ৪-৫ জন ব্যক্তি তাকে জোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। এতে মমতার মাথা, কপাল এবং পায়ে চোট লেগেছে। এরপর প্রচারণা বন্ধ রেখে কলকাতায় ফিরিয়ে নেওয়া হয় তাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন।
বুধবার হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নন্দীগ্রামে ফিরে আসার সময় সেখানে একাধিক মন্দির পরিদর্শন করছিলেন। সবশেষ রেয়াপাড়ায় একটি মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় ভিড়ের মধ্য থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবরে আরও বলা হয়, ভীড়ের মধ্যে আকস্মিক ধাক্কা দেওয়ার ফলে তিনি মুখ থুবড়ে পড়ে যান। এতে তার কপালে ও মাথায় আঘাত লাগে। এছাড়া তিনি পায়েও ব্যাথা পান।
ঘটনাস্থলে তখন কোনো পুলিশ ছিল না বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। পরে দেহরক্ষীরাই সেখান থেকে তাকে তুলে গাড়িতে নিয়ে যান হাসপাতালে।
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম আলোর সিনিয়র প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা ওই নারীর নাম মাকসুদা সুলতানা পলি। তিনি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অডিট অনুবিভাগের অফিস সহায়ক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সোমবার (১৭ মে) সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার ঘটনার পর সোস্যাল মিডিয়া একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, রোজিনা ইসলামের গলা চেপে ধরেছেন এক নারী। তিনি একজন অতিরিক্ত সচিব বলে গুঞ্জন ওঠে।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, হেনস্তাকারী ওই নারী মাকসুদা সুলতানা পলি। এ ঘটনার ছবি প্রকাশ পাওয়ায় নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করছেন।
গত বুধবার (১৯ মে) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পলির কক্ষে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, মঙ্গলবার অফিসে আসেননি তিনি। বুধবার সকালে অফিসে এলেও বেশিক্ষণ থাকেননি। এরপর দুপুরে আবার এসে কয়েক মিনিট পর বের হয়ে যান।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে মাকসুদা সুলতানা পলির মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেও কোনো কথা বলেননি তিনি। এরপর আরও কয়েকবার কল করা হলেও আর রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়।একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। রাতেই তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রোজিনাকে আদালতে নেওয়া হয়। বেলা ১১টার একটু পরে সিএমএম আদালতে তোলা হয় তাকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে আছেন।