a
ফাইল ছবি
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানায়, আফগানিস্তান থেকে ৯০ শতাংশেরও বেশি মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাইডেন সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।
আজ বুধবার এক সাক্ষাৎকারে তালেবান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি দাবি করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের কারণে কট্টরপন্থী তালেবান গোষ্ঠীর হত্যাকাণ্ডের মুখে পড়তে হবে আফগানিস্তানের নিরীহ মানুষদের।
ডয়চে ভেলেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে বুশ আরও বলেন, আফগানিস্তানের নারী ও শিশুরা অবর্ণনীয় কষ্টের মুখে পড়তে যাচ্ছে। সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভুল। নীরিহ আফগানিদের কট্টরপন্থী তালেবান গোষ্ঠীর শিকার হওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়া হলো। এ সিদ্ধান্ত আমার মন ভেঙে যাচ্ছে। সূত্র: এনডিটিভি ও ডয়চে ভেলে।
জেনারেল বিপিন রাওয়াত
আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সামরিক জোট ন্যাটো। আগামী ১ মে থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এক সুরক্ষা সম্মেলনে তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর প্রস্তাবিত সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। কারণ, সেনা প্রত্যাহারের ফলে দেশটিতে তৈরি হওয়া শূন্য স্থানটিতে "বিঘ্নকারীরা" পদক্ষেপ নিতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও দেশটিকে সমর্থন দিয়ে যাবে। তবে এই সমর্থন কোনোভাবেই সামরিক হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে দীর্ঘতম যুদ্ধটি বন্ধ করার।’
বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানে আমাদের সামরিক উপস্থিতি প্রসারিত অব্যাহত রাখতে পারি না। তাদের সাথে সামরিকভাবে জড়িত থাকবো না। তবে আমাদের কূটনৈতিক ও মানবিক কাজ অব্যাহত থাকবে এবং আমরা আফগানিস্তান সরকারকে সমর্থন অব্যাহত রাখবো।
বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা ও সাড়ে ৯ হাজার ন্যাটো আফগান মিশনে অংশ নিতে দেশটিতে অবস্থান করছে।
ফাইল ছবি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ হত্যা-খুন-গুমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বরং আওয়ামী লীগই বার বার হত্যা-ক্যু-খুন-গুম ও ষড়যন্ত্রের অপরাজনীতির নির্মম শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গুম নিয়ে বিএনপি মিথ্যা বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অথচ তাদের গুমের নাটকের নেপথ্যের আখ্যান আজ দেশবাসীর অজানা নয়।’
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ গুম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করছে, তা বাস্তবতাবিবর্জিত ও ভিত্তিহীন। বিদেশি বন্ধু ও প্রতিনিধিদের করুণা লাভের আশায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ধারাবাকিভাবে গুম-খুন নিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। বিএনপির অর্ন্তদ্বন্দ্ব ও কোন্দলের ফলে যেসব গুম ও খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেটার দায় তারা সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর তার দায় সরকারের উপর চাপানো হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেই জামাল উদ্দিন নিজ দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা গুমের শিকার হয়েছিল। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একইভাবে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার পর তার দায়ভারও সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন। এমনকী বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনায় বিএনপির এক সিনিয়র নেতা তার বক্তব্যে বলেছেন, ইলিয়াস আলীকে বিএনপির লোকজনই গুম করেছে। যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সীমাহীন ত্যাগ ও সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে পাহাড় সমান প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর। যেখানে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন