a
ফাইল ছবি
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করার দাবিতে দেশটি জুড়ে রেল অবরোধ চলছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে এ অবরোধ এবং চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
এর আগে, অজয়ের ছেলেকে উত্তর প্রদেশে গাড়িচাপা দিয়ে কয়েকজন কৃষককে হত্যার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এসব জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এই অবরোধের ডাক দিয়েছে। পাঞ্জাব এবং অন্যান্য অঞ্চলে কৃষকদের রেললাইনে বসে থাকতে দেখা গেছে।
'রেল রোকো' আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে লখনউ পুলিশ। তারা বলেছে, যারা জনগন চলাচলের স্বাভাবিকতা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফাইল ছবি:প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান
আমেরিকাবিহীন ন্যাটো গঠনের দাবি তুললেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক জোটের অন্যতম সদস্য হাঙ্গেরি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন, ইউরোপের জন্য নতুন সামরিক জোটের প্রয়োজন রয়েছে যেখানে আমেরিকার অযাচিত কোনও প্রভাব থাকবে না।
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের একটি ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলেন, আমেরিকা ইউরোপকে একটি যুদ্ধের ভিতর ঠেলে দিচ্ছে যাতে জেতা সম্ভব হবে না এবং যেখানে বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি রয়েছে। এই অবস্থায় সমাধান হচ্ছে আমেরিকা মুক্ত ইউরোপীয় ন্যাটো জোট গঠন করা।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকার প্রভাবকে আরও বিস্তৃত করার আকাঙ্ক্ষার কারণেই রাশিয়া এবং পশ্চিমাদের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনা সৃষ্টি এবং তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাটো জোটকে পূর্ব ইউক্রেন এবং জর্জিয়ায় বিস্তৃত করার পরিকল্পনা থেকেই মস্কো উদ্বিগ্ন। রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে ভিক্টর অরবান রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনা করেন এবং সে আলোচনায় মস্কোর এমন উদ্বেগের কথা উঠে আসে।
ভিক্টর অরবান বলেন, পুতিন তাকে বলেছিলেন যে, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় আমেরিকা যে ন্যাটো ঘাঁটি গড়ে তুলেছে তাই পশ্চিমাদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে উঠেছে। সূত্র: আরটি, ফার্স্টপোস্ট
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জবি প্রতিনিধি: রমজান মানেই ইবাদত, সংযম ও ভ্রাতৃত্বের এক অপূর্ব মিলনমেলা। ভ্রাতৃত্বের এ বন্ধনকে আরেকটু বাড়িয়ে দিতে ১৩ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজন করে ইফতার অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের ২২২ নাম্বার রুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
শেষ রাতে সাহরির পর দিনশেষে ইফতার পরম আনন্দের মুহূর্ত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ইফতার আয়োজন অনেকটাই ভিন্ন। রমজানে প্রতিদিন পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় ইফতারির প্রস্তুতি। খোপে খোপে বসে ক্যাম্পাসে ইফতারের প্রস্তুতি নেয় জবি শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বরে জমে উঠে ইফতারের আয়োজন। ক্যাম্পাসের সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তাদের নিজস্ব কার্যালয়ে বা বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে ইফতারের আয়োজন করা হয়।
ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল সাংবাদিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী প্রতিনিধিবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, জবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সাংবাদিক সহ প্রায় শতাধিক অংশগ্রহনকারী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি অমৃত রায় বলেন, ‘এই ত্যাগের মাসকে সামনে রেখে জবিরিউ পরিবারের একত্রে ইফতার পালন করা একটি সুন্দর বিষয়। এতে অংশ নিয়েছে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই। ইফতার সাজানো, পরিবেশন করা ছিল উপভোগ্য। ক্যাম্পাসে আসলে আপন বলতে এই একটা জায়গা, যেখানে নিজের দ্বিতীয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করলাম।’