a ভারতের সেনা প্রশিক্ষণে ট্রেনিং নিয়েছেন তালেবানের শীর্ষ নেতা
ঢাকা শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ভারতের সেনা প্রশিক্ষণে ট্রেনিং নিয়েছেন তালেবানের শীর্ষ নেতা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২০ আগষ্ট, ২০২১, ০৬:১০
ভারতের সেনা প্রশিক্ষণে ট্রেনিং নিয়েছেন তালেবানের শীর্ষ নেতা

ফাইল ছবি

১৯৮২ সালে ভারতের সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই। সেই 'শেরু' এখন প্রথম দশ তালেবান নেতার মধ্যে একজন।

ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি (আইএমএ) সুপ্রসিদ্ধ। ভারতীয় সেনা ছাড়াও প্রতিবেশী কোনো দেশের সেনা অফিসাররা এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। ১৯৭১ সাল থেকে আফগান সেনা ক্যাডেটদের জন্য আইএমএ-এর দরজা খুলে যায়। ১৯৮২ সালের ব্যাচে আরো ৪৫ জন ক্যাডেটের সঙ্গে আইএমএ-তে এসেছিলেন ২০ বছরের শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই। বন্ধুরা তাকে 'শেরু' বলে ডাকতেন। সেই শেরু এখন প্রথম ১০ জন তালেবান নেতার একজন।

''শেরুর কাছে কখনো চরমপন্থি কোনো কথা শুনিনি। আমরা বন্ধু ছিলাম। মনে পড়ে গোঁফ নিয়ে খুব সচেতন ছিল শেরু। দেখার মতো গোঁফ। তবে উচ্চতা একটু কম ছিল। তা নিয়ে ক্ষ্যাপানোও হতো ওকে।'' 

মোহাম্মদ আব্বাসের কথা গড়গড় করে বলে যেতে পারেন ওই একই ব্যাচের আইএমএ ক্যাডেট মেজর জেনারেল ডিএ চতুর্বেদি। তিনি ভাবতেই পারেন না যে, তার বন্ধু শেরু এখন তালেবান নেতা।

একসঙ্গে হৃষিকেশ যাওয়ার কথা মনে পড়ছে আইএমএ-তে শেরুর আরেক বন্ধু কর্নেল কেশর সিং শেখাওয়াতের। সে সময়ের ছবিও আছে তার কাছে। যেখানে আইএমএ-এর সুইমিং ট্রাঙ্ক পরে শেরু পদ্মায় গোসল করছেন।

আইএমএ-তে ট্রেনিং নেওয়ার পরে মোহাম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই লেফটন্যান্ট হিসেবে সরাসরি যোগ দেন আফগানিস্তানের জাতীয় সেনা বাহিনীতে। সবেমাত্র তখন সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে গেছে। ১ দশক সেখানে কাজ করার পর ১৯৯৬ সালে সেনাবাহিনী ছেড়ে মোহাম্মদ আব্বাস তালেবান শিবিরে যোগ দেন এবং অচিরেই গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠেন।

স্পষ্ট ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন মোহাম্মদ আব্বাস এবং সে কারণেই তালেবান শিবিরে তার জনপ্রিয়তা তৈরি হয়। ১৯৯৭ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে স্তানেকজাইকে তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তালেবানের আফগানিস্তানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাতে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে, তা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছিলেন স্তানেকজাই।

এরপর ২০১২ সালে দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক দফতরেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। একাধিক আলোচনায় তিনি মূল আলোচক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমান তালেবান নেতৃত্বে তার অবস্থান প্রথম দশজনের মধ্যে।

শেরুর বন্ধুরা মনে করেন, এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত হবে না ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। মেজর জেনারেল চতুর্বেদির মতে, আইএমএ-এর স্মৃতি উসকে দিয়ে তালেবানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় যেতে পারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে ও দ্য ইকোনোমিক টাইমস/বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ভয়াবহ অক্সিজেন সংকটের মুখে ভারত


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:১১
ভয়াবহ অক্সিজেন সংকটের মুখে ভারত

ফাইল ছবি

ভারতে ভয়াবহ অক্সিজেন সংকট ও হাস্যপাতালের বেডের অভাবে আম্বুলেন্সেই মারা যাচ্ছে করোনাআক্রান্ত রোগী। দেশটির হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের মারাত্মক সংকটে পড়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট জরুরি সাহায্য চেয়েছে রাজ্য সরকারগুলো।

ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাওয়ায় প্রশাসন যথেষ্ট ঢিলেঢালা পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব এবং রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে জনসমাগমে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেও জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন। এসব নিয়ে এখন যথেষ্ট সমালোচনার মুখে রয়েছেন তিনি ও তার প্রশাসন।

এদিকে, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়া আজ বুধবার বলেছেন, 'রাজধানীর বড় সরকারি হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন মজুদ দিয়ে আট থেকে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সেবা কার্যক্রম চালানো যাবে। বেসরকারি হাসপাতালে মজুদের পরিমাণ আছে মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার মতো। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালের মধ্যে পর্যাপ্ত সরবরাহ না পেলে একটা বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, 'চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলো এবং বেসরকারি খাতও একত্রে চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা অক্সিজেনের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানোরও চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশজুড়ে হাসপাতালের শয্যা, অক্সিজেন ও ভাইরাস প্রতিরোধক ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে কেন্দ্র।'
 
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ। সংক্রমণের এই রেকর্ড বৃদ্ধিতে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত: চীনা রাষ্ট্রদূত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৭ আগষ্ট, ২০২৩, ০৫:৪৮
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত: চীনা রাষ্ট্রদূত

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তার দেশের ‘হস্তক্ষেপ না করার’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত। আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘আমাদের নীতি অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ, আর তা হলো- চীন কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জোহানেসবার্গে বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যা বলেছেন তা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন নিশ্চিত করতে বাহ্যিক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ এবং অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন।

বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে সমর্থন করে। চীন বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের পাশাপাশি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখে।’

তিনি বলেন, বর্তমানে ৬০০টিরও বেশি চীনা এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশে কাজ করছে এবং হাজার হাজার চীনা নাগরিক এখানে বসবাস ও কাজ করছেন।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও অনুসারে, চীনা কোম্পানিগুলো স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সেবা প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা, জনশক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে।

তিনি বলেন, ‘তাদের অবদান ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের হৃদয়কে আরও কাছাকাছি আনা হয়েছে।’

উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে চীনা কোম্পানি ও নাগরিকদের স্বার্থ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইয়াও বলেন, চীনা নাগরিক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও যৌথ উন্নয়নের জন্য এখানে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত এবং বৈধ স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’ গত বছরের শেষের দিকে ঢাকায় আসার পর তার প্রথম সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। সূত্র: ইউএনবি/ইত্তেফাক।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক