a মোল্লা ওমরের কবর ৯ বছর পর খোঁজ পাওয়া গেল
ঢাকা মঙ্গলবার, ৮ পৌষ ১৪৩২, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মোল্লা ওমরের কবর ৯ বছর পর খোঁজ পাওয়া গেল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৮:১৪
মোল্লা ওমরের কবর ৯ বছর পর খোঁজ পাওয়া গেল

মৃত্যুর ৯ বছর পর খোঁজ পাওয়া গেল তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের কবর। তার মৃত্যু এবং কোথায় কবরস্থ করা হয়েছে তা এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল।

১৯৯৬-২০০০ মেয়াদে আফগানিস্তানের সরকার গঠন করে তালেবান। সেই সরকারের প্রধান ছিলেন মোল্লা ওমর। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনে ক্ষমতাচ্যুত হন মোল্লা ওমর। আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে তালাবানকে উৎখাত করা হয়।

এ ঘটনার পর মোল্লা ওমরের অবস্থান নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছিল না। ২০১৫ সালে তালেবান স্বীকার করে দুই বছর আগে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কোথায় তার কবর সে সম্পর্কে মুখ খোলেনি তখন।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করে বলেন, মোল্লা ওমরের কবর জাবুল প্রদেশের সুরি জেলার ওমরজোর গ্রামে। শত্রুরা যাতে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য বিষয়টি গোপন ছিল।

মুজাহিদ বলেন, শুধু পরিবারের সদস্যরা মোল্লা ওমরের কবরের ব্যাপারে জানতেন। এখন আমরা সমাধিস্থলটি উন্মুক্ত করেছি, কারণ এখন আর শত্রুর ভয় নেই।

মোল্লা ওমার ৫৫ বছর বয়সে মারা যান। সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান দখলের পর ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় নিজে তালেবান সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মোল্লা ওমর। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ব্যাপক সমঝোতার অঙ্গীকারে ইরান-সৌদি আরবের চুক্তি হয়েছিল : চীন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২১ আগষ্ট, ২০২৩, ১১:১৮
ব্যাপক সমঝোতার অঙ্গীকারে ইরান-সৌদি আরবের চুক্তি হয়েছিল : চীন

ফাইল ছবি

চীনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালী দেশ ও পরস্পরেরর চিরশত্রু গণ্যকারী সৌদি  আরব-ইরান সমঝোতা চুক্তি করেছিল। সেই সমঝোতা চুক্তির রহস্য জানালেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই।

ওয়াং-ই বলেছেন, অসংখ্য বিষয়ে আপসের অঙ্গীকারে চালিত হয়ে ওই চুক্তি হয়েছিল। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরআব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে এক টেলিফোন বার্তায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের নিজস্ব স্বার্থ বজায় রাখার স্বার্থে চীন বিবাদমান দেশগুলোকে নিয়ে বসতে এবং তাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী।

ইরানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশটির পাশে দাঁড়ানোরও অঙ্গীকার করেন ওয়াং-ই।

চলতি বছরের মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে আকস্মিক বৈরিতার অবসান হয়। এই দুই দেশের মধ্যে বৈরিতার কারণে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। সূত্র: আল জাজিরা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লেজুড়বৃত্তির ঊর্ধ্বে রাজনীতি করার আহ্বান: রাষ্ট্রপতি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ১১:৩১
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লেজুড়বৃত্তির ঊর্ধ্বে রাজনীতি করার আহ্বান: রাষ্ট্রপতি

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে অন্যতম বড় অন্তরায়। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’ জাবির ষষ্ঠ সমাবর্তনে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইদানিংকালে পত্রপত্রিকা খুললেই দেখা যায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজির নেতিবাচক খবর... নিজেদেরকে দুর্নীতি ও  স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে রাখবেন’। আবদুল হামিদ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দলীয় লেজুড়বৃত্তির ঊর্ধ্বে উঠে রাজনীতি করারও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘পড়াশোনার জায়গাটা ঠিক রেখে তারপরে রাজনীতি, সমাজসেবা, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিজেদের যুক্ত করতে পারেন। কোনোভাবেই লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আপস করা যাবে না।’

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে প্রথম ১০০০ এর মধ্যেও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ায় রাষ্ট্রপ্রধান হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীগণ মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন। তারা রাজনীতির অনুশীলন এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণও করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি প্রত্যাশিত’।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শুধু সনদসর্বস্ব শিক্ষা দিয়ে দেশ ও দশের উন্নয়ন সম্ভব না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে বাস্তব জীবনের যোগসূত্র স্থাপন করতে পারলে তবেই সেই শিক্ষা সফল হয়েছে বলা যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘উপাচার্য ও শিক্ষকদের মনে রাখতে হবে শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মূল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আর শিক্ষার্থীদের মূল কাজ লেখাপড়া ও জ্ঞান অর্জন।’

কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠান ও প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ নয়, রাষ্ট্রপতি হামিদ শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষ সাধনেও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তরুণ সমাজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে... এর জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নিরন্তর গবেষণা’।

তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘দখলবাজি আর চাঁদাবাজির কারণে ছাত্ররাজনীতিকে এখন আর মানুষ আগের মতো সম্মানের চোখে না দেখে নেতিবাচকভাবে দেখে।’ গ্র্যাজুয়েট ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে মেধাবী তরুণদের যথাযথ পরিচর্যার জন্য আমাদের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে।’গ্র্যাজুয়েটবৃন্দকে দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একক নয়, পরিবার, সমাজ ও জাতীয় উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘ব্যবসায়ী শিল্পপতিরাও ব্যবসা শুরু করেই নীতি-নৈতিকতাকে বাদ দিয়ে কীভাবে শুধু নিজে বড়লোক হতে পারবে সেই চিন্তাভাবনায় ব্যস্ত থাকেন।’ তিনি বলেন, ‘বড় বড় ব্যবসায়ী শিল্পপতিরাই বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপী হন’। তিনি চাকরিজীবীদের উদ্দেশে বলেন, চাকরিতে ঢুকেই কিভাবে গাড়ি-বাড়ির মালিক হওয়া যায় সেই চিন্তায় বিভোর থাকেন। নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য অনেক সময় দেশ ও জাতির বড় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতেও পিছপা হন না।

দেশকে জাতির পিতা স্বপ্নের সুখী ও সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে এবং একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য রাষ্ট্রের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে স্নাতকরা তাদের মেধাশক্তি ও মানবিকতা দিয়ে কাজ করবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এবারের সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী মোট ১৫ হাজার ২১৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে ১৬জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেন রাষ্ট্রপতি। তাদের মধ্যে নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী ১১ হাজার ৪৪৪ জন, উইকেন্ড প্রোগ্রামের ৩ হাজার ৪৬১ জন, এমফিল ডিগ্রির ৩৪ জন এবং পিএইচডি সম্পন্নকারী ২৮০ জন।

সমাবর্তনে অন্যান্যদের মধ্যে সংসদ সদস্যবৃন্দ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এবং সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক