a
মৃত্যুর ৯ বছর পর খোঁজ পাওয়া গেল তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের কবর। তার মৃত্যু এবং কোথায় কবরস্থ করা হয়েছে তা এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল।
১৯৯৬-২০০০ মেয়াদে আফগানিস্তানের সরকার গঠন করে তালেবান। সেই সরকারের প্রধান ছিলেন মোল্লা ওমর। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনে ক্ষমতাচ্যুত হন মোল্লা ওমর। আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে তালাবানকে উৎখাত করা হয়।
এ ঘটনার পর মোল্লা ওমরের অবস্থান নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছিল না। ২০১৫ সালে তালেবান স্বীকার করে দুই বছর আগে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কোথায় তার কবর সে সম্পর্কে মুখ খোলেনি তখন।
তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করে বলেন, মোল্লা ওমরের কবর জাবুল প্রদেশের সুরি জেলার ওমরজোর গ্রামে। শত্রুরা যাতে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য বিষয়টি গোপন ছিল।
মুজাহিদ বলেন, শুধু পরিবারের সদস্যরা মোল্লা ওমরের কবরের ব্যাপারে জানতেন। এখন আমরা সমাধিস্থলটি উন্মুক্ত করেছি, কারণ এখন আর শত্রুর ভয় নেই।
মোল্লা ওমার ৫৫ বছর বয়সে মারা যান। সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান দখলের পর ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় নিজে তালেবান সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মোল্লা ওমর। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এক হাজার কেজি বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ ‘হাড়িভাঙা’ আম উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছা উপহার কোরবানির ঈদের দিনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের রাষ্ট্রাচার কর্মকর্তার কাছে ইসলমাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ শুভেচ্ছা উপহার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং তা গ্রহণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উপহার দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ নজির হিসেবে বিবেচিত বলে ধারণা করা হয়।
এর আগে, ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এই উপহার বাংলাদেশ হাইকমিশন গ্রহণ করে।
বিখ্যাত ’হাড়িভাঙা’ আম উপহার গ্রহণ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এ শুভেচ্ছা উপহার পাঠানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন বলে ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ফাইল ছবি
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ হামলার পর ইউক্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক নাগরিকেরা নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান দশম দিনে গড়িয়েছে। স্থানীয় সময় আজ শনিবার ভোরে দুই পক্ষের সেনাদের লড়াই চলছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।
রাশিয়ার সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের শহরগুলো চাপের মুখে আছে। ইউক্রেন বলছে, বেসামরিক অবস্থান লক্ষ্য করেও নির্বিচার আক্রমণ চলছে। কৃষ্ণসাগর উপকূলীয় ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলো আছে সবচেয়ে বেশি চাপে। এ ছাড়া দেশটির উত্তর ও পূর্ব দিক থেকেও আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা।
সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে কৌশলগত বড় বড় বন্দর আছে। এর নিয়ন্ত্রণ রাশিয়াকে ইউক্রেনে আসা সরবরাহ পথ বন্ধ করে দিতে সহায়তা করবে। দক্ষিণ-পূর্বের বন্দর নগরী মারিওপোল দখল করে রুশ সেনারা শহরটি অবরুদ্ধ করেছেন জানিয়ে মানবিক সাহায্যে করিডর তৈরির আকুতি জানিয়েছেন এর মেয়র।
গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী। ইউরোপে এটি সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। মারিওপোল রাশিয়াকে ইউক্রেনের একটি বড় বন্দরের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে। এর সঙ্গে ক্রিমিয়া এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রে করিডর তৈরি করবে রাশিয়া।
এদিকে, ইউক্রেনের আকাশকে উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা (নো-ফ্লাই জোন) ঘোষণার দাবি বারবার প্রত্যাখ্যান করায় পশ্চিমাদের নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন