a
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ১১ দিন ধরে চলা ইসরায়েলি বর্বরতার হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২২৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৪ জন শিশু ও ৩৮ জন নারী রয়েছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন দেশের নিন্দা-প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।
এ কারণে ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যে ইসরায়েলি মালিকানাধীন একটি ড্রোন কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকারীরা।
কারখানাটির ছাদে অনেকেই প্রতিবাদ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। তাদের নামাতে স্থানীয় দমকল বাহিনী ডেকেছিল ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ, কিন্তু তারা জানিয়ে দিয়েছে, মানবিক কাজে নিয়োজিত এই বাহিনী ফিলিস্তিনপন্থীদের গায়ে হাত দিতে পারেন না।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছে, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ চালাতে ব্যবহৃত ড্রোন ওই কারখানায় তৈরি করা হয়। এজন্য কারখানাটির প্রবেশদ্বারে তালা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। এতে সেখানকার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলেও দাবি তাদের। সূত্র : বিবিসি
ফাইল ছবি
সম্প্রতি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের বেশ কিছু কর্মকর্তারা। এবার সেই হুমকির দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ রেজা আশতিয়ানি।
তিনি বলেছেন, ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক ক্ষেত্রে যে উন্নতি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন করেছে তা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং বাইরের যে কোনও আগ্রাসন মোকাবেলার জন্য ব্যবহার করা হবে।
রেজা আশতিয়ানি বলেন, “শত্রুর যেকোনও পাগলামি ও ধৃষ্টতাপূর্ণ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইরানি জাতি নিশ্চিতভাবে দাঁতভাঙা জবাব দেবে এবং শত্রুকে চরম মূল্য দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, ইরান শত্রুর বিরুদ্ধে যেকোনও ক্ষেত্রে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইসরায়েলের উদ্দেশে জেনারেল আশতিয়ানি আরও বলেন, হতাশা থেকেই ইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে অভিযুক্ত এবং বাগাড়ম্বর করছে। তিনি বলেন, সামরিক খাতে ইরান তার উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখবে।
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ মস্কো সফরে গিয়ে বলেন- ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যেকোনও মূল্যে তা ঠেকাতে হবে। অন্যথায় ইসরায়েল একাই ব্যবস্থা নেবে। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটও ইরানের ওপর হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। সূত্র: প্রেস টিভি
ফাইল ছবি: বিলাওয়াল ও নওয়াজ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অনেক আগে থেকেই হতে চান পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। এবার হয়তো সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আড়াই বছর করে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো, এমন শর্তে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সঙ্গে জোট সরকার গঠনে রাজি হয়েছে পিপিপি। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে জোট সরকার গঠনের চেষ্টায় রোববার দুই দলের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে পিএমএল-এন এবং ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) একই পদ্ধতিতে ক্ষমতা ভাগাভাগি করেছিল। সেসময় দুই দলের দুই মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদ ভাগাভাগি করে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। লাহোরের বিলাওয়াল হাউসে রোববারের বৈঠকে পিপিপি-পিএমএলএন উভয় পক্ষই সাধারণ নির্বাচনের পর দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে পিপিপি-পার্লামেন্টারিয়ান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পিএমএল-এন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা উপস্থিত ছিলেন। ভেতরের খবর বলছে, বৈঠকে পিএমএল-এন আনুষ্ঠানিকভাবে পিপিপি’কে জোট সরকারে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ সময় পিপিপি’কে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী এবং এমকিউএম-পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়েও অবহিত করেছে নওয়াজ শরিফের দল। বৈঠকের শুরুতে পিএমএল-এন নেতারা দাবি করেন, তারাই প্রধানমন্ত্রীর পদ ধরে রাখবেন। অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি দাবি করেন, পিপিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি (সিইসি) এরই মধ্যে বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছে। এরপর দুই দলের নেতারা পাঁচ বছরের মেয়াদ অর্ধেক করে নিজ নিজ দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্তে একমত হন। সূত্র: যুগান্তর