a
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় ৯ শিশুসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার সকালে ত্রুটিপূর্ণ স্পেস হিটার থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। রয়টার্স
প্রতিবেদন বলছে, ভবনটির নিচতলার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ধোঁয়ার কারণে আটকে পড়া বাসিন্দারা বাতাস চলাচলের জন্য জানালা ভেঙে, তোয়ালে ভিজিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন। এ সময় আহত বেশ কয়েকটি শিশুকে উদ্ধার করে অক্সিজেন দিতে দেখা যায়।
ফায়ার কমিশনার ড্যানিয়েল নিগ্রো জানান, কিছু লোক অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে ভবন থেকে নামতে পারেননি। ৬০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন এবং ১৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে নিহতদের বেশির ভাগই ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে না পারায় প্রাণ হারিয়েছেন।
মেয়র এরিক অ্যাডামস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দুর্ঘটনাস্থলের বেশির ভাগ বাসিন্দার আদি নিবাস পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার অধিবাসী। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনাল মইসিকে হত্যার ঘটনায় তার নিরাপত্তা প্রধান জিয়ান লগুয়েল সিভিলকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। হত্যার তদন্তের অংশ হিসেবে সোমবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর সিভিলকে রাজধানী পোর্ট-অ-পিন্সের কাছে দেলমাসের একটি কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। গত ৭ জুলাই মইসিকে তার বাসভবনে মধ্যরাতে সশস্ত্র কমান্ডোদের হামলায় হত্যার ষড়যন্ত্রে নিরাপত্তা প্রধান জড়িত থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির পুলিশের মুখপাত্র ম্যারি মিশেল ভেরিয়ার নিশ্চিত করে জানান, প্রেসিডেন্ট জোভেনাল মইসির হত্যার বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ সোমবার জিয়ান লগুয়েল সিভিলকে গ্রেফতার করেছে।
এ ছাড়া এ হত্যা ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অংশ হিসেবে কলম্বিয়ার ২০ ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্র : ফ্রান্স২৪
ফাইল ছবি
আজ ৩ মে সকালে মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মায় স্পিডবোট ডুবিতে পিতা-মাতা ও দুই বোনকে হারিয়ে অলৌকিকভাবে প্রানে বেঁচে গেল শিশু মিম। আজ সকালে দুর্ঘ’টনার পর নদীতে একটি ব্যাগ ধরে ভাসতে থাকা মিমকে উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
সোমবার দুপুরে শিবচরের পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু মিম শিবচর ইউএনও অফিসের এক কর্মচারি ও বাংলাবাজার স্পিডবোট ঘাটের নৈশ প্রহরী দেলোয়ার ফকিরের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের একটি কক্ষে দুপুরের ভাত খাচ্ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিশু মিমের বাবা মনির হোসেন, মা হেনা বেগম, ছোট দুই বোন সুমি (৫) ও রুমি (৩) স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মারা গেছে। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মিমকে উদ্ধারকারী নৌ পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী বলেন, ‘শিশুটিকে নদীতে ব্যাগ ধরে ভাসতে দেখি, তার হাত ও চোখের কাছে কিছুটা আঘাতের চিহ্ন ছিল। দ্রুত তাকে পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে জানা যায় শিশুটির পরিবারের সকল সদস্যরাই মারা গেছে।’
শিশু মিম শুধু জানে তার মা, বাবা, বোনেরা কেউ বেঁচে নেই। মাঝে মাঝেই মা মা বলে কেঁদে উঠছে সে। কান্নারত অবস্থায় মিম বলে, আমরা দাদা মারা গেছে দাদাকে শেষবারের মত দেখতে আমরা বাড়ি যাচ্ছিলাম। এখন আমার আর কেউ রইলো না।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা স্পিডবোটটি কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে এসে নোঙর করে রাখা একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন ৷