a
ফাইল ছবি
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতা করায় যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ ইহুদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইহুদিদের সংগঠন ‘জিউইশ ভয়েস ফর পিস’ এই বিভেক্ষের আয়োজন করে। খবর আল-জাজিরার।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গাজায় অনবরত হামলার বিরুদ্ধে গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের সামনে এক বিক্ষোভ আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইহুদিরা। তাদের পরনে ছিল যুদ্ধ বিরোধী টিশার্ট, যেখানে লেখা ‘নট ইন আওয়ার নেম’(আমাদের নামে নয়)।
মার্কিন কংগ্রেস ভবনের লবির মেঝেতে বসে পড়েন সংগঠনের শত শত সদস্য। হাতে ছিল যুদ্ধবিরতি লেখা সম্বলিত ব্যানার। তাদের দাবি, গাজায় নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে।
জিউইশ ভয়েস ফর পিস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে যুদ্ধবিরোধী এক মিছিলে অংশ নিয়েছেন ১০ হাজার ইহুদি। আমরা কংগ্রেসে বসে আন্দোলন করেছি যেন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের ওপর চলা ইসরায়েলি নিপীড়নের দিকে দৃষ্টি দেয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া থেকে কম মূ্ল্যে তেল আমদানি করছে ভারত।
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বারবারই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতকে। সবশেষ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের চলতি ব্রাসেলস সফরে বিষয়টি ফের সামনে আসে। এ সময় রুশ অপরিশোধিত তেল থেকে ভারতীয় পরিশোধিত তেলজাত পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান জোসেফ বোরেল। এরপরেই তার কড়া জবাব দিয়ে জয়শঙ্কর তাকে কার্যত ইউরোপীয় কাউন্সিলের নিয়মকানুনের পাঠ পড়িয়ে শুনান।
জোসেফ বোরেলের প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের বিধানগুলো দেখুন। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, রুশ অপরিশোধিত তেল তৃতীয় কোনো দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হলে তাকে আর রুশ তেল হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।
রাজনৈতিকভাবে বিতর্ক হলেও আমদানি-রফতানির জন্য বিদেশি মুদ্রার আয়-ব্যয়ের ঘাটতি বা ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’ ভারত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে রাশিয়া থেকে এই তেল আমদানির জন্যই। কারণ, কম বিদেশি মুদ্রা খরচে রাশিয়া থেকে তেল কিনে তাকে শোধন করে, একটা বড় অংশ বিদেশে রফতানি করে বিদেশি মুদ্রা আয়ও হয়েছে।
বেলজিয়ামের রাজধানীতে এক বাণিজ্য-প্রযুক্তি আলোচনায় যোগ দেন জয়শঙ্কর। তার সঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং কেন্দ্রীয় উদ্যোগ, দক্ষতা উন্নয়ন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোসেফ বোরেলও।
বৈঠকের আগেই এক সাক্ষাৎকারে বোরেল বলেছিলেন, ভারত রুশ তেল কেনে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তারা রুশ তেল থেকে তৈরি ডিজেলের মতো পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য ইউরোপে বিক্রি করবে, এটা ঠিক নয়। এর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এর জবাব দেন জয়শঙ্কর। সেই সময়ে অবশ্য বোরেল ছিলেন না। তার জায়গায় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত কমিটির কার্যনির্বাহী সহ-সভাপতি মার্গ্রেথ ভেস্টেগার। জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার আইনগত ভিত্তি সম্পর্কে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারত বন্ধু। বন্ধু হিসেবে এই নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। পরস্পরকে দোষারোপ করা ঠিক নয়।
এর আগে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি করা নিয়েও আপত্তি তুলেছিল ইইউ। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কমানোর জন্য নয়াদিল্লিকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা ধারাবাহিক ভাবে চলছে। তখনও রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পক্ষে কঠোর যুক্তি দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ইউরোপ এক বিকালে যে পরিমাণ তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে, ভারত তা করে এক মাসে। ভারতের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোর রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক বেশি, সে সময় তথ্য পেশ করে দেখিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, বিডি প্রতিদিন
ছবি: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
এবার পশ্চিমাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে রাশিয়াও পশ্চিমাদের আক্রমণ করার জন্যে বা তাদের দৌড়ের উপর রাখতে পশ্চিমাবিরোধী বিভিন্ন দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করবে বলে জানান।
ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন পুতিন। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানো অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ।
পশ্চিমাদের এমন কর্মকাণ্ড ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলেও হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন পুতিন।
বিদেশি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পুতিন বলেছেন, ‘যদি কেউ ভাবে এভাবে রণাঙ্গণে অস্ত্র সরবরাহ করে আমাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করা সম্ভব, তবে কেন আমরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একই ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করার অধিকার রাখবো না, যা দিয়ে পশ্চিমাদের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থাপনায় হামলা করা যাবে।’
তবে মস্কো কোন কোন দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাননি পুতিন। সূত্র: বিবিসি