a রক্তাক্ত হাতে আপনি ইতিহাস লিখছেন: বাইডেনকে এরদোয়ান
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

রক্তাক্ত হাতে আপনি ইতিহাস লিখছেন: বাইডেনকে এরদোয়ান


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ১৯ মে, ২০২১, ১১:০৪
রক্তাক্ত হাতে আপনি ইতিহাস লিখছেন: বাইডেনকে এরদোয়ান

ফাইল ছবি

 

ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে কথা বলেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

এরদোয়ান বলেছেন, ‘আপনি আপনার রক্তাক্ত হাতে ইতিহাস লিখছেন। এ কথা বলতে আপনি আমাদের বাধ্য করেছেন। কারণ, আমরা এ নিয়ে আর চুপ থাকতে পারি না। আজ আমরা দেখলাম, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে সই করেছেন আপনি।’

তুরস্কের টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে বাইডেন সম্পর্কে এরদোয়ান বাইডেনকে এসব মন্তব্য করেন।
  
গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক সন্ত্রাসী হামলার মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে এবং প্রায় ৭৩.৫ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

এছাড়া গাজায় হামলায় শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে আসছে জো-বাইডেন। এ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, ‘ইসরায়েলের নিজেকে সুরক্ষার অধিকার রয়েছে।’
 
এছাড়া, গত রোববার এই সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বানসংবলিত বিবৃতি আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে নিরাপত্তা পরিষদের রোববারের বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মধ্যপ্রাচ্যের যোদ্ধাদের ইরান ড্রোন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে:ইসরাইল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:৩২
মধ্যপ্রাচ্যের যোদ্ধাদের ইরান ড্রোন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে:ইসরাইল

ফাইল ছবি

মধ্যপ্রাচ্যের যোদ্ধাদের ইরান ড্রোন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ দাবি করছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা এসব তথ্য জানতে পেরেছেন। 

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ দাবি করেন, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদেরকে ড্রোন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইরান। ইস্পাহান শহরে অবস্থিত একটি বিমানঘাঁটিতে ইরান এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় । 

এর কয়েকদিন আগে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। অবিলম্বে তেহরানকে থামানো না গেলে মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে।   

রোববার তেল আবিবের নিকটবর্তী রেইচম্যান ইউনিভার্সিটিতে এক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় কিভাবে মনুষ্যবিহীন ড্রোন বানানো যাবে তেহরান সেটা স্থান্তরিত করার চেষ্টা করছে। ইরানের ইস্পাহান শহরের কাসানে ড্রোনের রানওয়ে আছে বলেও দাবি করেন।

তবে এ বিষয়ে ইরান কোনো মন্তব্য করেনি। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জাতিসংঘের একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, তেহরান গোপনে পরমাণু চুল্লি বৃদ্ধি করেছে।
 
বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার দীর্ঘদিনের অঘোষিত ছায়াযুদ্ধ এখন একটি বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইডেন মহিলা কলেজকে বিলুপ্ত বা একীভূত করার উদ্যোগ অযৌক্তিক- হেলেন জেরিন খান


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪০
ইডেন মহিলা কলেজকে বিলুপ্ত বা একীভূত করার উদ্যোগ অযৌক্তিক- হেলেন জেরিন খান

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:   সম্প্রতি ঘোষিত 'ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি' সংক্রান্ত প্রস্তাব ও নীতিগত সিদ্ধান্তের কারনে ইডেন কলেজের সক্ষমতা সংকোচন ও স্বাতন্ত্র্য বিনষ্ট হওয়ার আশংকা প্রবল হয়েছে। ইডেন মহিলা কলেজ প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দের পক্ষ থেকে হেলেন জেরিন খান, প্রফেসর নিশরাত বেগম, সুলতানা রাজিয়া, খন্দকার ফারহানা ইয়াসমীন আতিকা, ডক্টর নাহিদ মনসুর, প্রফেসর শামীমা, প্রফেসর রহিমা সুলতানাসহ অন্যান্যদের নেতৃত্বে আজ তাদের স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। 

ইডেন মহিলা কলেজ প্রাক্তন ছাত্রীবৃন্দ আজ ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ইং দুপুরে রাজধানী ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। এখানে লিখিত মূল বক্তব্য পাঠ করেন হেলেন জেরিন খান। তারা বলেন, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি সরকারী কলেজকে ঘিরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন ও প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও নাগরিক সমাজে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইডেন মহিলা কলেজ উপমাহাদেশের প্রথম নারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রায় ২২,০০০ শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। অসংখ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশে সুনাম ও কৃতিত্বের সাথে জাতির অগ্রযাত্রায় অবদান রাখছেন । 

আমাদের পর্যবেক্ষন
১। ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা কলেজ দীর্ঘকাল ধরে নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় অবিস্মরনীয় ভুমিকা পালন করে আসছে। বিশেষত ধর্মপ্রাণ ও নিম্ন-আয়ের পরিবারের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এগুলো নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও মর্যাদাপূর্ন শিক্ষাকেন্দ্র। কিন্তু খসড়া অধ্যাদেশের ৬(১)(খ) ধারা অনুযায়ী ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজে সহশিক্ষা চালুর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে যা নারীশিক্ষার নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার পরিপন্থী । এটি নারী শিক্ষার্থীদের পছন্দের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করবে এবং শতবর্ষব্যপী নারী শিক্ষার ঐতিহ্য নষ্ট করবে। প্রস্তাবিত সংকোচন কার্যকর হলে রাজধানীতে নারীদের উচ্চশিক্ষা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে, তাদের প্রবেশাধিকার সংকীর্ন হবে এবং সংবিধান প্রদত্ত সমান সুযোগের নিশ্চয়তা লঙ্ঘিত হবে। সংবিধানে ২৮(১) ও (২) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ২৮ (8) অনুচ্ছেদে নারীর জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানের অনুমোদন রয়েছে। একই সাথে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG ৪.৩ ও ৪.৪) নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য সমানভাবে উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারনের আহ্বান জানিয়েছেন । সুতারং প্রস্তাবিত সংকোচন কেবল সাংবিধানিক দায়িত্বের পরিপন্থী নয় বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।

২। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ সেশনে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার সময় আসন সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করা হয়েছে। ফলে দেশের বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা হতে বঞ্চিত হবে এবং তুলনামূলক সামর্থবান অনেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ঝুঁকবে, যা শিক্ষার বানিজ্যিকীকরণ বাড়াবে।
৩ । বিসিএস সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পেশায় ইডেন মহিলা কলেজ ও বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা সফলতার সাথে কর্মরত রয়েছেন । উল্লেখ্য ইডেন মহিলা কলেজের ৫১ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে নিজ কলেজেই কর্মরত আছেন, আর সারাদেশে এ সংখ্যা আরও বেশি। আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় হলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের পদ সেখানে সংকুচিত হয়ে যাবে।  ইতোপূর্বে জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরের ফলে সেখানকার ৪০০+ পদ বিলুপ্ত হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য যে, গত ১০ বছরে এই ক্যাডারে কোনো নতুন পদ সৃষ্টি হয়নি। বর্তমানে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলে সাত কলেজের ১৪০০+ পদ বিলুপ্ত হলে তা ভবিষ্যত বিসিএস সাধারন শিক্ষা ক্যাডার পদপ্রার্থীদের বিশাল সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে।

৪। ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ প্রস্তাবিত কাঠামোর প্রতি অনাগ্রাহ প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছে। ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাই সকল অংশীজনের মতামত ও পরামর্শ বিবেচনা না করলে ব্যাপক শিক্ষার্থী অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি তৈরি হবে।

আমাদের সুপারিশ:
১। জাতীয় ইতিহাস ও সামাজিক বাস্তবতায় ইডেন মহিলা কলেজকে বিলুপ্ত বা একীভূত করার উদ্যোগ
অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত হবে ।
২। কলেজগুলোর বিদ্যমান অবকাঠামো, সক্ষমতা ও ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনা করে ৭ কলেজকে কলেজিয়েট বা অধিভুক্তিমূলক কাঠামোর আওতায় রাখা ।
৩ । শিক্ষকদের পদ সংখ্যা বৃদ্ধি, গবেষণা বাজেট, আধুনিক ল্যাব, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আবাসন ও বৃত্তি সুবিধা সম্প্রসারনের মাধ্যমে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা।
৪। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত যৌক্তিকীকরণ করা। পাশাপাশি পাঠদানকৃত বিষয়সমূহ ও সিলেবাস পুনর্বিবেচনা করে যুগোপোযুগী করে তোলা ।
৫ । শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের স্বার্থ সুরক্ষা করে শিক্ষা পরিবেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ।
৬ । সকল অংশীজনের জানার অধিকার ও তথ্যের স্বচ্ছতা বজায় রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ৷
৭। প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিকে অন্য কোন পৃথক ক্যাম্পাসে স্থাপন করে ঢাকার সাতটি কলেজসহ বিভাগীয় অন্য আরও শতবর্ষী কলেজকে অন্তর্ভূক্ত করা।
আমরা শান্তি চাই, স্থিতি চাই। ইডেন কলেজসহ সাত কলেজের ঐতিহ্য ও স্বতন্ত্র মর্যাদা যেন বলি না হয়, ইডেন মহিলা কলেজ ও বদরুন্নেসা মহিলা কলেজে যেন সহশিক্ষা চালু না হয়, শিক্ষার বানিজ্যিকীকরণ যেন না হয় - এটাই আমাদের কাম্য।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক