a
ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাসেনকোভ শুক্রবার দাবি করেছেন রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় জ্বালানি ডিপোটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।
রাজধানী কিয়েভের কাছে অবস্থিত কালইয়ানকোভা ডিপোতে এ হামলা চালানো হয়। এই ডিপোর জ্বালানি ব্যবহার করে আসছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। জ্বালানি ডিপোটি উড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাসেনকোভ বলেন, ২৪ মার্চ সমুদ্র থেকে কালিবার ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র কালইয়ানকোভা ফুয়েল ডিপোতে আঘাত করা হয়।
তিনি আরও বলেন,বর্তমানে ইউক্রেনে যে কটি জ্বালানির ডিপো রয়েছে, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ডিপো ছিল। এই ডিপো থেকে ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় অংশে থাকা সেনাদের ফুয়েল সরবরাহ করা হত। রাশিয়ার করা হামলায় ডিপোটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
রাশিয়ার দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে এটি ইউক্রেনের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা বলে বিশেজ্ঞরা মনে করেন। কারণ রাজধানী কিয়েভের কাছে অবস্থান করা সেনারাই রাজধানীকে এখনো অক্ষত রেখেছেন।
ডিপোটি ধ্বংস হওয়ার পর যদি তারা জ্বালানির সংকেট পড়ে, তাহলে রুশদের আক্রমণ প্রতিহত করা কঠিন হয়ে পড়বে। সূত্র: সিএনএন
ফাইল ছবি
পবিত্র মসজিদ জেরুজালেমের আল-আকসা ও এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর বর্বরোচিত হামলার জন্য ইসরাইলকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ার করেছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন- হামাস। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মার্জুক শনিবার এক বিবৃতিতে ওই হুশিয়ারি দেন। খবর ইয়েনিসাফাকের।
আল-আকসায় নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিদের ওপর গত শুক্র ও শনিবার টানা দুদিন ধরে হামলা চালায় ইহুদিবাদীরা। এতে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন। তিনি পবিত্র জেরুজালেমে ইহুদিদের হামলার ঘটনায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নীরবতাকে ধিক্কার জানান। হামাস নেতা মুসা আবু মার্জুক আরও বলেন, আমাদের এ নীরবতার সুযোগ নিয়ে দখলদার ইহুদিবাদীরা গোটা ফিলিস্তিনি গিলে খাচ্ছেন। একের পর এক ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করছেন। প্রতিবাদ করলেই নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য তুরস্ক ও ইরানসহ কয়েকটি মুসলিম দেশ এ বর্বর হামলার জন্য ইসরাইলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইসরাইলি একটি আদালত সম্প্রতি পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দাদের বাড়ি খালি করার আদেশ দিলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নেখানকার বাসিন্দারা।
অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণের জন্য এখন পূর্ব জেরুজালেম পর্যন্ত দখলদারিত্ব কায়েম করছে ইসরাইল। এ জবরদখলে ধারা অব্যাহত রেখেছে সেই ১৯৬৭ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়াখ্যাত ইহুদিবাদী এ দেশটি।
আজ ঐতিহাসিক ২৫শে মার্চ, ভয়াল ‘কালরাত’
আজ ঐতিহাসিক ২৫শে মার্চ। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে নিরীহ ঘুমন্ত বাঙালির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাই দিবসটি ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বাঙালিরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) ও জরুরি স্থাপনাগুলো এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
আজকের রাতে কোনো সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। তবে ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা যাবে। ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসের জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে পাক-হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে চালায় বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ ছিল বাঙালির একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জেনারেল টিক্কা খান বলেছিলেন, ‘আমি পূর্ব পাকিস্তানের মাটি চাই, মানুষ চাই না’। ফলশ্রুতিতে বাঙালি জাতির জীবনে নেমে আসে এই বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত্রি।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি গত বছরের মতো এ বছরও করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২৫শে মার্চ গণহত্যার কালরাত্রির আলোর মিছিলসহ সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
তবে আজ সন্ধ্যা ৭টায় স্বাধীনতা ও গণহত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৫০টি মোমবাতি প্রজ্বালন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।