a
ফাইল ছবি
ইউক্রেন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের পূর্বাঞ্চলীয় ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণ করে যাচ্ছে রাশিয়া। আর সেই হামলা প্রতিহত করে চলেছে ইউক্রেন বিমান বাহিনী।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী এলাকা বরিসপিল ও বিভিন্ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে যাচ্ছে রাশিয়া।
তবে ওই বিবৃতিতে দক্ষিণ অঞ্চলে রুশ প্যারাট্রুপের সদস্যরা প্রবেশ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী আবারও সৌদি আরবের দক্ষিণের 'কিং খালিদ' বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা করেছে। আজ রবিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার কথা নিশ্চিত করেন।
সৌদির খামিস মুশাইত এলাকায় অবস্থিত বিমানঘাঁটিতে কে-টু ড্রোনের সাহায্যে এই হামলা করা হয়।
সৌদির গণমাধ্যম দাবি করছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইয়েমেনি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এর আগে, গত কয়েক সপ্তাহে কিং খালিদ বিমানঘাঁটিতে এ নিয়ে কয়েক দফা হামলা চালায় ইয়েমেনি বাহিনী। কয়েক দিন আগে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আরামকো তেল স্থাপনায় ছয়টি ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালায় ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে ইয়েমেনের জনপ্রিয় সংগঠন হুথি আনসারুল্লাহ সমর্থিত ইয়েমেনি সেনারা সৌদি আরবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ও তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে। হুদিতের দাবি- সৌদি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে।
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তরের প্রধান শহরগুলোর চারপাশে তীব্র যুদ্ধ চলছে। খবর বিবিসির
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি দখল করে নেওয়ার। এর পর তারা দেশটির নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে। কিয়েভের মাইডান স্কয়ারের কাছে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং শহরের ত্রয়েশ্চিনা এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কিয়েভের ওপর গোলা হামলার শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে, শহরের কেন্দ্র থেকে কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত শব্দ পেয়েছেন তারা। কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, শহরের চিড়িয়াখানার কাছে এবং শুলিয়াভকা শহরের আশপাশে ৫০টিরও বেশি বিস্ফোরণ এবং ভারি মেশিনগানের গোলাগুলি হয়েছে।
ইউক্রেনীয় স্টেট স্পেশাল সার্ভিসের মতে, রাজধানীর ট্রয়েসচিনা এলাকার সিএইচ পি-৬ পাওয়ার স্টেশনের কাছে তীব্র লড়াই চলছে। এ হামলার মাধ্যমে পুরো শহরটিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে পারে।
কিয়েভের পেরেমহি অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির ধ্বংসাবশেষ এবং বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
ভাসিলকিভের একটি বিমানঘাঁটির কাছে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ান প্যারাট্রুপাররা কিয়েভের ওপর হামলা চালানোর জন্য এই ঘাঁটি তাদের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে।
অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করছে, তারা কৃষ্ণসাগরের শহর মাইকোলাইভে থেকে রাশিয়ানদের সফলভাবে হটিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কিয়েভ সেনাঘাঁটিতে হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী শনিবার একটি ফেসবুক পোস্টে জানায়, কিয়েভের একটি সেনাঘাঁটিতে রাশিয়ান সৈন্যরা আক্রমণের চেষ্টা করলে তারা এর বিরুদ্ধে তুমুল লড়াই শুরু করে। এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থোনিও গুতেরেস রুশ সেনাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শান্তিকে আরেকটি সুযোগ দেওয়া উচিত। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর পরই তিনি মন্তব্য করেন, যেখানে ইউক্রেনে আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতার কারণে এই খসড়া প্রস্তাবটি ব্যর্থ হয়ে যায়। সূত্র: যুগান্তর