a
ফাইল ছবি
বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যের জন্য শিরোনামে আসলেও এবার ভিন্ন এক কারনে আলোচনায় আসলো এই জায়ান্ট কোম্পানি। দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়মানুসারে তাদেরকে উত্তরাধিকার কর দিতে হবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের চেয়ারম্যান লি কুন-হির পরিবারের।
এই কর দেওয়া হলে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল রেকর্ড তৈরি করবে। কারণ তাদের করের পরিমাণ ১২ ট্রিলিয়ন ওন (দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা) বা ১০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৮৪ হাজার ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা! ব্রিটিশ গণ্যমাধ্যম বিবিসি'র সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার নিজস্ব নিয়ামানুসারে উত্তরাধিকার কর অনেক বেশি। মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের তার সম্পদের ওপর প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। এই রকম করের নিয়ম সবচেয়ে বেশি জাপানে, এরপরেই আছে দক্ষিণ কোরিয়া।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর স্যামসাংয়ের চেয়ারম্যান লি কুন-হির মৃত্যু হয়। যিনি ছিলেন স্যামসাংয়ের প্রতিষ্ঠাতা লি বিয়ং-চুলের সন্তান। পিতার ছোট্ট ব্যবসাকে লি কুন-হি শুধু নিজ দেশেই সীমাবদ্ধ রাখেননি,বরং তিনি কঠোর পরিশ্রম আর সাধনা করে বিশ্বেরই একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। এক বিবৃতিতে স্যামসাং নিশ্চিত করে এই অর্থ শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়াই নয় যা বিশ্বে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উত্তরাধিকার কর।
বিবিসি বলছে, পাঁচ বছর সময় নিয়ে মোট ছয় কিস্তির মাধ্যমে স্যামসাং পরিবার এই বিশাল অঙ্কের কর পরিশোধ করবে। সূত্র : বিবিসি
ছবি সংগৃহীত: সুপ্রিম কোর্ট, ভারত
ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদরাসা বন্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্ব গঠিত একটি বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেয়েছে ওই রাজ্যের ১৬ হাজার মাদরাসার ১৭ লাখ শিক্ষার্থী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুক্রবার বলেন, মাদরাসা বোর্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ লঙ্ঘন করছে বলে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তা সঠিক নয় বলে জানান।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আরও বলেন, মাদরাসায় মানসম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া হয় না, এমনটি বলা ভুল। আবার মাদরাসা সর্বজনীন ও বিস্তৃত নয় এমনটিও বলা যাবে না। এছাড়া মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার যে নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্ট দিয়েছেন, সেটি বৈষম্যমূলক রায় বলা হয়।
এদিকে, মাদরাসা বন্ধে কেন এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও উত্তর প্রদেশ সরকারকে জবাব দিতে নোটিশ পাঠিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে শুনানির জন্য জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই পর্যন্ত এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে ও মাদরাসাগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে কোন সমস্যা নেই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
মতিঝিল আরামবাগ এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি ভবনে আজ রাজউক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান।
রবিবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযান শেষ হয় বিকেলে। অভিযান চলাকালীন কয়েকটি নকশা বহির্ভূত ভবনে সেটব্যাক ও ভয়েড দখল করে ইমারতের নির্মাণ কাজ করায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক জোন-৬/১) এর মতিঝিল আরামবাগ এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণ করে। কয়েকটি ভবনের মালিককে সতর্ক করে দেওয়া হয় যাতে তারা পরবর্তীতে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ না করে।
মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ, সহকারী অথরাইজড অফিসার সাব্বিরুল ইসলাম , প্রধান ইমারত পরিদর্শক ইমরান হোসেন, বেলাল হোসেন ও মোঃ মোত্তালিব হোসেন ও রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তারা। সূত্র: ইত্তেফাক